বিশ্বজমিন
অন্তঃসত্ত্বাকে লাথি, নিরাপত্তাকর্মী গ্রেপ্তার
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৯ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবার, ৫:২৪ অপরাহ্ন
পাকিস্তানে অন্ত:সত্ত্বা এক নারীকে লাথি মেরেছে এক নিরাপত্তা কর্মী। অবশেষে এ দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওই নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিন্ধু প্রদেশে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ বিষয়টি তার নজরে নিয়েছেন এবং ওই নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে আরও বলা হয়, সিসিটিভির একটি ফুটেজে দেখা গেছে একজন নিরাপত্তাকর্মী একটি এপার্টমেন্ট ভবনের বাইরে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে লাথি মারছে। ভবনটির বাইরে অচেতন হয়ে পড়ে থাকেন ওই নারী। এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে পাকিস্তানে তো অবশ্যই, আশপাশের দেশগুলোতেও ক্ষোভ দেখা দেয়। পরে পুলিশ ওই নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা দৃশ্যে দেখা যায়, ওই নারীকে থাপ্পর মারা আগে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হন ওই নিরাপত্তাকর্মী। এ সময় তাকে থাপ্পর মারতেই থাকে ওই নিরাপত্তাকর্মী।
অভিযোগে ওই নারী বলেছেন, তার নাম সানা। করাচির গুলিস্তানে জুউহারে ব্লকে ১৭ তে নোমান গ্রান্ড সিটিতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন। ৫ই আগস্ট ভোর ৩টার সময় তিনি তার ছেলে সোহেলকে খাবার দিয়ে যেতে বলেন। তার ছেলে ওই এপার্টমেন্ট ভবনে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে তাতে বাধা দেয় ইউনিয়নকর্মী আবদুল নাসির, আদিল খান এবং মাহমুদ খলিল। অভিযোগে তিনি আরও বলেন, যখন বিষয়টি দেখার জন্য আমি নিচে নামি, তখন আদিল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং আমাকে নির্যাতন শুরু করে। এরপর সে নিরাপত্তারক্ষীকে নির্দেশ দেয় আমাকে প্রহার করতে। আমি ৫ থেকে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। যখন সে আমাকে প্রহার করে, ব্যথায় চেতনা হারাই আমি।
এ অভিযোগে পুলিশ এফআইআর করেছে। সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ ঘটনাটি দেখছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, কিভাবে একজন নিরাপত্তারক্ষী একজন নারীর গায়ে হাত তুলতে পারে এবং সহিংস হয়ে ওঠে? এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই নিরাপত্তারক্ষীকে নেয়া হয়েছে নিরাপত্তা হেফাজতে। উল্লেখ্য, শুধু জুন মাসে পাকিস্তানে ১৫৭জন নারীকে অপহরণ করা হয়েছে। ১১২ জন শারীরিক নির্যাতনের শিকারে পরিণত হয়েছেন। ৯১ জনকে ধর্ষণ করা হয়েছে।