দেশ বিদেশ
কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল তামিল প্রেমকান্ত
বরগুনা প্রতিনিধি
৯ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবারদক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বরিশালে এসে ‘মারধরের শিকার’ হয়েছেন প্রেমকান্ত এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি পুলিশ। দেখা করতে আসা কিশোরীর সঙ্গে গাড়িতে বসে খারাপ আচরণ করায় দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা সেটি সমাধানের চেষ্টা চালায়। উত্তেজিত প্রেমকান্তকে অটো থেকে নামানোর চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। মূলত দেখা হওয়ার পর পরই কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল প্রেমকান্ত। একইসঙ্গে তার সঙ্গে কিশোরীকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিল। আর সে কারণেই কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় প্রেমকান্তর। স্থানীয়রা ভারতীয় নাগরিক দেখে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করলে আত্মরক্ষার্থে মিথ্যার আশ্রয় নেন প্রেমকান্ত। অভিযোগ তোলেন মারধর, টাকা ও মোবাইল নিয়ে যাওয়ার। প্রেমকান্তের এসব অভিযোগ ‘অসত্য’ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ হালদার বলেন, প্রেমকান্তের অভিযোগগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আমরা দেখেছি। কিন্তু তদন্তে তার করা অভিযোগুলো অসত্য বলে উঠে এসেছে।
এদিকে শুক্রবার বরগুনা জেলার তালতলী থানায় প্রেমকান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তার কথিত প্রেমিকার বাবা। সেখানে তাদের দুজনের প্রেমে ফাটল ধরার কারণ স্পষ্ট। মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে বন্ধু হয়ে ২৪শে জুলাই প্রেমকান্ত বরিশালে চলে আসেন। ২৫শে জুলাই একটি রেস্তরাঁয় ওই কিশোরী তার তিন বান্ধবীসহ দেখা করে দুপুরের খাওয়া শেষে চলে যায়। এরপর প্রেমকান্তের অনুরোধে ২৭ তারিখ কাশিপুর এলাকায় দেখা করে। সেখানে অটোরিকশার মধ্যে প্রেমকান্ত ওই কিশোরীকে খারাপ সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। একইসঙ্গে তার সঙ্গে ঢাকা যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। ওই ছাত্রী প্রেমকান্তের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে দুজনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা মারাত্মক রূপ নেয়। তাদের বহনকারী গাড়িটি থামিয়ে স্থানীয়রা বাকবিতণ্ডা বন্ধ করে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশন বিমানবন্দর থানায় জানায়। সেখান থেকে পুলিশ এসে প্রেমকান্তকে তাদের হেফাজতে নেয়। কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক তা এয়ারপোর্ট থানার ওসি নিজে কলেজে এসে নিশ্চিত হয়ে গেছেন। সে মতে হাইকমিশনে জানালে, হাইকমিশন ওই যুবককে দেশে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু সে দেশে না ফিরে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে, আমার পরিবার নিয়ে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচার চালিয়ে যায়।