অনলাইন
সহযোগীদের খবর
গুজব–ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না: সেনাপ্রধান
অনলাইন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:৪৫ অপরাহ্ন

প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘গুজব–ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না: সেনাপ্রধান’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যে দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেনাবাহিনী কাজ করছে, সেটি দেশ ও জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে। সোমবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনাপ্রাঙ্গণে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে (অফিসার্স অ্যাড্রেস) তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, সেনাপ্রধান দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নানা ধরনের অপপ্রচার, গুজব, উসকানিমূলক বক্তব্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কথা বলেন। ঢাকার বাইরের সেনা কর্মকর্তারা অনলাইন মাধ্যমে এ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হন।
সূত্র জানায়, কর্মকর্তা ও সৈনিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান বলেন, তাঁদের আত্মত্যাগ দেশ সব সময় স্মরণ করবে। তিনি সবাইকে ধৈর্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যেকোনো উসকানিমূলক বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া না দেখানোর বিষয়ে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, এমন কিছু করা যাবে না, যাতে উসকানিদাতাদের লক্ষ্য অর্জিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি পেশাদার বাহিনী। সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে সরকার জানে, জনগণও জানে। এসব কথা উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে; কিন্তু দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি। অনেকে নানা ভুল তথ্য, অপতথ্য নানাভাবে ছড়াচ্ছে, এতে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। পরিস্থিতি সামলাতে হবে ধৈর্যের সঙ্গে। সেনাবাহিনীর কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশ ও দেশের জনগণ।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সামনে ঈদ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে হবে। যদি কোনো কারণে কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়, কঠোরভাবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। ৫ আগস্ট–পরবর্তী পরিস্থিতি যেভাবে সেনাবাহিনী সামলেছে, সে বিষয়েও সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরকালে কক্সবাজারে এক লাখ রোহিঙ্গার ইফতার আয়োজনে সহযোগিতার জন্য সেনাপ্রধান রামু সেনানিবাসকে ধন্যবাদ জানান।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর গ্যারি পিটারস সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর সেনাবাহিনীর কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার কথা উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, গত রোববার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা মালঞ্চে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের সম্মানে ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যুগান্তর
‘শুরুতেই হোঁচট এনসিপির’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র ও তরুণদের দল। ব্যাপক জনপ্রত্যাশার স্নায়ুচাপ সৃষ্টি করে তৃতীয় ধারার এ রাজনৈতিক দলটি সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করেছে। কিন্তু একেবারে দল গঠনের প্রথম দিন থেকে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। সঙ্গে নানামুখী অভিযোগের চাপও ঘিরে ধরেছে তারুণ্যনির্ভর এ দলটিকে।
আন্দোলনের সময় কোনো সিদ্ধান্ত না থাকলেও এই পর্যায়ে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করা, গণ-অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বীরোচিত ভূমিকা রাখা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন, শহিদ পরিবারসহ আহতদের পাশে সক্রিয়ভাবে না থাকা, দল গঠনের সময় শুধু একটি কোরগ্রুপকে প্রাধান্য দেওয়া, দল পরিচালনার তহবিল গঠন প্রশ্নে জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সব প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট না করা, সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইনহাউস বৈঠকের তথ্য প্রকাশ্যে আনা এবং সর্বোপরি দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার ঘটনায় এনসিপিকে নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সোমবার যুগান্তরের কাছে এমন সব মন্তব্য করেন বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
তাদের মতে, বিশেষত এনসিপির কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর সাম্প্রতিক সময়ের একটি আলোচিত ফেসবুক স্ট্যাটাস এখন টক অব কান্ট্রি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ হিসাবে পুনর্বাসন করার জন্য ক্যান্টনমেন্ট থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে ওই ফেসবুক পোস্টে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরা হয়। আর এ ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা যখন তুঙ্গে, তখন এর একদিন পর হাসনাতের সহযোদ্ধা এনসিপির কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের আর একটি পোস্ট রোববার দুপুরে দ্বিতীয় দফায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তোলে। নাতিদীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম হাসনাতের ফেসবুক পোস্টের মূল বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করলেও কিছু কিছু বিষয়ে দ্বিমত অবস্থান তুলে ধরেন।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘সংস্কারে আশা-নিরাশা’। খবরে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ১১টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে সাতটি কমিশন এরই মধ্যে সুপারিশ জমা দিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কিন্তু এর সফলতা এখনো স্পষ্ট নয়।
অনেক বিষয়ে ভিন্নমত প্রকাশের খবর মিলছে। বেশ কিছু বিষয়ে এক দলের চাওয়ার সঙ্গে অন্য দলের চাহিদা মিলছে না। আশা-নিরাশার এই দোলাচলে রাষ্ট্রের মেরামত কতটা সম্পন্ন হবে তা নিয়ে জনপরিসরে নানামুখী আলোচনা চলমান। ঐকমত্য কমিশন ১৬৬টি সুপারিশের ওপর রাজনৈতিক দলের মতামত নিচ্ছে।
এর মধ্যে ৭০টি সংবিধানসংক্রান্ত, ২৭টি নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারসংক্রান্ত। বিচার বিভাগসংক্রান্ত ২৩টি, জনপ্রশাসনসংক্রান্ত ২৬টি ও ২০টি দুর্নীতি দমন কমিশনসংক্রান্ত। এই সুপারিশে একমত, আংশিক একমত ও ভিন্নমতে ‘টিক’ চিহ্ন দিয়ে জানাতে ‘স্প্রেডশিট’ দেওয়া হয়েছে। তবে এর বাইরেও মতামত রাখছে দলগুলো।
সমকাল
‘বেড়েছে দারিদ্র্যের হার, কমেছে খাদ্য নিরাপত্তা’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দেশে দারিদ্র্যের হার এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা আগের চেয়ে বেড়েছে। গত বছর বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) পরিচালিত এক ধারণা জরিপ বা পারসেপশন সার্ভেতে এমন চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার বিআইডিএসের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সেমিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২২ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয় ও ব্যয় জরিপে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। বিআইডিএসের ধারণা জরিপে এ হার হয়েছে ২৩ দশমিক ১১ শতাংশ। যদিও বিবিএসের খানা আয় ও ব্যয় জরিপ দেশব্যাপী অনেক বড় নমুনার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। আর বিআইডিএস পাঁচটি জেলার ওপর ধারণা জরিপ করেছে। বিআইডিএস বলেছে, তাদের জরিপটি খানা আয় ও ব্যয় জরিপের সঙ্গে তুলনা করার জন্য নয়। তবে ধারণা জরিপে এটি ফুটে উঠেছে যে, দুই বছর আগের চেয়ে দারিদ্র্য ও খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সহায়তায় জরিপটি পরিচালিত হয়। ঢাকা, বান্দরবান, খুলনা, রংপুর ও সিলেট জেলা জরিপের জন্য নির্ধারণ করা হয়। মোট ৩ হাজার ১৫০টি খানা বা পরিবারের ওপর তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে শহরের খানা ১ হাজার ৯৯০টি এবং গ্রামীণ খানা ১ হাজার ১১৬টি। সবচেয়ে বেশি ৭৫০টি খানা ঢাকার।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘ঈদের ছুটিতে নিরাপত্তার শঙ্কা’। খবরে বলা হয়, ঈদের লম্বা ছুটি শুরু হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে। দীর্ঘ এই ছুটিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন হবে? ছুটির সময়ে রাজধানী ফাঁকা হয়ে যায়। ফলে চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়ে যায়। আর লম্বা ছুটিতে ঘরমুখী মানুষ নানা প্রতারণা ও অপরাধের শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শঙ্কা আছে সারা দেশের নিরাপত্তা নিয়ে।
তবে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এবার ঈদকেন্দ্রিক নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। সারা দেশে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ছাড়াও আনসার সদস্যরা এ সময় মাঠে থাকবে। ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. নাসিমুল গনি গতকাল সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরো অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিয়োজিত রয়েছেন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, মহাসড়কের নিরাপত্তা এবার নড়বড়ে। মহাসড়কে এমনিতেই ডাকাতি হচ্ছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকলে একার ডাকাতের কবলে পড়ার আশঙ্কা আছে। আর লম্বা ছুটির কারণে ঢাকা থেকে ধাপে ধাপে মানুষ ঢাকার বাইরে যাবে। তাই শুধু তিন-চার দিনের জন্য নিরাপত্তা বাড়ালে হবে না। আরেকটি বিষয় হলো যেভাবে ছিনতাই হচ্ছে তাতে ঈদের ঘরমুখী মানুষ বাসা থেকে বাস, রেল বা লঞ্চ স্টেশন পর্যন্ত নিরাপদে যেতে পারেন কী না তাও আশঙ্কার বিষয়। এর বাইরে ঈদের সময় অজ্ঞান পার্টি, প্রতারক দল, টানা পার্টি, মলম পার্টিসহ নানা ধরনের অপরাধীরা সক্রিয় থাকে।
নয়া দিগন্ত
‘দ্রুত বিচারে ট্রাইব্যুনালের সামনে বিক্ষোভ’-এটি নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দ্রুত বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত পরিবারের সদস্যরা। গতকাল বেলা ১টার পর জুলাই-২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটির ব্যানারে অবস্থান নেন তারা। বেলা পৌনে ৪টা পর্যন্ত তারা ট্রাইব্যুনালের গেটের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তারা ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের পদত্যাগ দাবিতে স্লোগান দেন।
নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, আট মাস অতিবাহিত হলেও এখনো হত্যার বিচার হচ্ছে না। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। বিচারের নামে রঙ্গমঞ্চ ও তামাশা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে দেশে নিয়ে এসে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড় করাতে হবে।
শুরুতে দুপুর দেড়টার দিকে ট্রাইব্যুনালের গেটের সামনে জুলাই মঞ্চের ব্যানারে একটি মিছিল নিয়ে আসা হয়। জুলাই হত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানান তারা।
এ সময় শহীদ আমিনের মা বলেন, আমাদের সন্তানদের বিচার চাই। সরকার গদিতে বসে সব ভুলে গেছে। আমরা আমাদের সন্তান হারিয়েছি। তারা ক্ষমতা পেয়ে সব ভুলে গেছে। হাসিনার অত্যাচারের শিকার হয়েছে সবাই।
আজকের পত্রিকা
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘সংস্কার হবে অধ্যাদেশে, পরে সংবিধান সংশোধন’। খবরে বলা হয়, পাঁচটি সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশগুলোর মধ্য থেকে ১২১টি প্রস্তাব আশু বাস্তবায়নের জন্য চিহ্নিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে দুটি বিষয় রয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন পড়বে। কিন্তু সরকার এ দুটি বিষয়ও অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর একটি নিয়ে ইতিমধ্যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সংবিধান সংশোধন করে ওই বিষয়গুলো নতুন অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সংবিধানে সংযোজন করা হবে বলে জানা গেছে।
সংবিধান সংশোধন করে বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়ে অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি ভবিষ্যতে প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। এ সরকারের নিজেরই সাংবিধানিক বৈধতা নেই। এখন সংবিধান সংশোধন করতে হবে, এমন সিদ্ধান্ত অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হলে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুত সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ করা ১৬৬টি প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর বাইরে সংলাপ ছাড়াই ১২১টি প্রস্তাব আশু বাস্তবায়নের জন্য চিহ্নিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংসদ কার্যকর না থাকায় অধ্যাদেশ জারি করে ওই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সরকারি দপ্তরকে কমিশনের এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে, তা নির্ধারণ করে সেগুলো বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা দিয়ে ১৯ মার্চ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠিও পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর মধ্যে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দুটি প্রস্তাব সংবিধান সংশোধন করে বাস্তবায়ন করার কথা। এই দুটি প্রস্তাবের ক্ষেত্রে পরে সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
দেশ রূপান্তর
‘চিকিৎসকের ৭৫ শতাংশ পদ শূন্য’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দেশের ৪৩৫টি উপজেলা হাসপাতালের ৪৭ শতাংশ চিকিৎসকের পদ শূন্য। যে ৫৩ শতাংশ চিকিৎসক আছে, এর মধ্যে ২৮ শতাংশ চিকিৎসককে সংযুক্তি করা হয়েছে সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে। সে হিসেবে এই মুহূর্তে উপজেলা হাসপাতালগুলোর ৭৫ শতাংশ চিকিৎসকের পদই ফাঁকা। অর্থাৎ মাত্র ২৫ শতাংশ চিকিৎসক দিয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবার কাজ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ ১১ মার্চের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
এসব হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন, চিকিৎসকের অভাবে তৃণমূল মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। চিকিৎসা দিতে না পারায় এ মাসেও ঘোষণা দিয়ে জরুরি চিকিৎসাসেবা ও রোগী ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছিল দুটি হাসপাতালে।
তবে উপজেলা হাসপাতালের এই চিত্র ‘পুরনো’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের পদায়নের চিত্র এ রকমই। এর মূল কারণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনাগত সমস্যা।
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘Northerners may hit snags on roads this Eid holiday’ অর্থাৎ ‘ঈদের ছুটিতে সড়কে দুর্ভোগের মুখে পড়তে পারে উত্তরাঞ্চলবাসী’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে এবং তাদের যাত্রা বেশিরভাগই ঝামেলামুক্ত হয়েছে।
বর্ধিত ছুটির কারণে এবারের ঈদের ছুটিতে যাতায়াত নির্বিঘ্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবহন মালিক ও রেলওয়ে কর্মকর্তারা।
তবে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বাড়লে, বিশেষ করে ২৭ ও ২৯ মার্চ উত্তরমুখী যাত্রীরা যানজটের সম্মুখীন হতে পারেন। যদি না সঠিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।
পর্যাপ্ত পুলিশ উপস্থিতি নিশ্চিত করা না গেলে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ এবং ঢাকা-রংপুর ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলমান থাকায় যানজট আরও বাড়তে পারে।
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘আট মাসে সরকার পেয়েছে ২.৩ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি’। খবরে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন করে বিদেশী সহায়তা বৃদ্ধির প্রত্যাশা তৈরি হয়। সরকারের নানা মহল থেকেও এ বিষয়ে শোনানো হয় আশার বাণী। অথচ চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) বৈদেশিক ঋণের নতুন প্রতিশ্রুতি কমে গেছে। দাতাগোষ্ঠীর কাছ থেকে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৬৮ শতাংশ। কমে গেছে অর্থছাড়ও।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্যানুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বহুপক্ষীয় ও দ্বিপক্ষীয় ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে কেবল ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি এসেছিল। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো প্রতিশ্রুতি কমেছে।
বিদেশী ঋণ গ্রহণ ও অনুদানের বিষয়ে গত আট মাসে ৪১টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি এসেছে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে। পরবর্তী সময়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে এসেছে ৭০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি। আর জাপান থেকে ২৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।