রাজনীতি
রিজভী
বিচারের পর জনগণ আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দিলে আমাদের কিছু বলার নেই
অনলাইন ডেস্ক
(৪ সপ্তাহ আগে) ২১ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার, ৪:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১১ পূর্বাহ্ন

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ পুরনো দল। অপরাধীদের বিচার হওয়ার পর যদি জনগণ তাদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়, সেখানে তো আমাদের কিছু বলার নাই। যে লোক আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবেন, তিনি যদি কোনো অপরাধ না করেন, ছাত্র হত্যা না করেন, অর্থ লোপাট বা পাচার না করেন—তাহলে সেই আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না?এটি হচ্ছে আমার বক্তব্য।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া হাজী শুকুর আলী মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে দুস্থদের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, যারা টাকা পাচার করেছে, যারা শিশু-কিশোর, আহনাফ, আবু সাঈদ, মুগ্ধ এদের হত্যা করেছে, এসব ঘটনায় জড়িতদের বিচার হতে হবে। শ্রমিক, রিকশাচালক, ছাত্র-ছাত্রী যাদের হত্যা করেছে-তাদের বিচার আমরা করি না কেন?
তিনি বলেন, অনেকে কথা উঠছে, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা। কিন্তু এই কথা উঠছে না, যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার হবে কিনা। কারা চালিয়েছে? এটা কি মানুষ দেখেনি? কোন পুলিশের ওসি, ডিসি, এসি, এখানে ভূমিকা রেখেছে? কার নির্দেশে এসব ঘটেছে? রক্তপাত ঘটানোর জন্য আওয়ামী লীগের কোন নেতারা নির্দেশ দিয়েছেন?
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা আল্লাহকে বিশ্বাস করতেন কিনা সন্দেহ আছে। তার ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা ছিল টাকা। যার ঈশ্বর টাকা হয়, তিনি তো কোনোদিন ভালো কাজ করবেন না। তাদের প্রত্যেকেরই ঘর-বাড়ি ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় আছে। তারা সরকারি অর্থ লোপাট করেছে, ব্যাংক খালি করে দিয়েছে। লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে। এই পাচারে অধিকাংশই শেখ হাসিনার আত্মীয়-স্বজন পছন্দের লোকজন জড়িত। তাদের তো বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, মিথ্যা অঙ্গিকার দিয়ে তারা দুইবার ক্ষমতায় এসে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। একবার তার বাবা সব দল বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল করলেন। আর তার মেয়ে নতুন কায়দায় নতুনভাবে আরও ভয়াবহ বাকশাল তৈরি করে বিরোধী দলের কথা বলা, মানুষের কথা বলা, যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ন্যূনতম কেউ আওয়াজ করলে তার স্থায়ী ঠিকানা হয় কারাগার, আর অস্থায়ী ঠিকানা হয় তার বাড়ি। এই ছিল শেখ হাসিনার আমল। সুতরাং সেই রাজত্ব যাতে ফিরে না আসে। তিনি আরও বলেন, যে হালুয়া-রুটি খেয়েছে এই ফ্যাসিবাদে তার বিচার করতে হবে। যে মাংস খেয়েছে এবং ওই মাংসের ঝোল খেয়েছে তারও বিচার হতে হবে। তাহলে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটানোর চেষ্টা আর কেউ করবে না।
পাঠকের মতামত
জুলাই আন্দোলনের সকল পক্ষকে সকল ভেদাভেদ ভুলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এখনই মাঠে নাম উচিত। এই মুহর্তে জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকা একান্ত জরুরি, অন্যথায় ওয়ার্কাররা দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দিবে।
বিক্রি হয়ে যাওয়া এই বুড়া ধামরা গুলা কেন যে এই কথা বলছে তা জনগণ ভালোই বুঝে। বলেছেন শেখ হাসিনার ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা ছিল টাকা, আর আপনাদের কি? জনগণ কি লেবেনচুষ চুষে?
আওয়ামী লীগের কেউ কি অপরাধ থেকে মুক্ত? জনগণ মনে করে মানে কি? আপনারা যদি জনগণের দল হয়ে থাকেন তাহলে জানেন না কেন?
জণগণ আওয়ামী লীগকে ধাওয়া দিয়ে এই দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে রাজনীতি করার জন্য কি? রিজভী সাহেব কি ঘুমিয়ে আছেন না শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার ধান্দায় আছেন? এতো পাগল হইয়েন না আস্তে আস্তে যান
নিজের দলের খবর নাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে তারা মহাব্যস্ত। আপনি দল চেঞ্জ করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিন
আওয়ামী লীগ কে পুনর্বাসনের সুযোগ দিলে বড় ভুল করবে এ জাতি। এরা হাসিনাকে পুনর্বাসন করে দেশকে চিরদিনের জন্য ভারতের হাতে তুলে দিয়ে ক্ষমতার মসনদে থাকবে।
নরম সুর--- হাসনাত আবদুল্লাহর কথাই সত্য।
আওয়ামীলীগ করে এমন লোক কোথায় পেলেন? যে হত্যা লুটপাট না করে আছে? তাহলে তো সে ফেরেস্তা আওয়ামী লীগ নয় মুজিব মারা যাওয়ার পর জিয়াউর রহমান সুযোগ দিয়েছেন তাজউদ্দীন আহমদের স্ত্রীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ফিরে এসেছে এবং দেশ দুইশো বছর পিছিয়ে পড়েছে এখন আর পিছনে পড়বে বলে মনে হয় না সরাসরি ভারতের ভূখণ্ডে যোগ হবে রিজভীর লজ্জা নেই
প্রথম থেকেই বুঝতে পারছিলাম যে বিএনপি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চাচ্ছে এবং সেই জন্য বিচার ও সংস্কার না করে দ্রুত নির্বাচন নির্বাচন করছে। এখন একেবারে পরিষ্কার হয়ে গেল যে কারা টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চাচ্ছে।
BNP looks like the main agent of AL!