অনলাইন
ফেনীতে পাম্পে বিক্ষোভ
ফেনী প্রতিনিধি
(১ সপ্তাহ আগে) ৬ আগস্ট ২০২২, শনিবার, ১০:২২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:২৬ অপরাহ্ন

ফেনীতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির খবরে শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রল ও অকটেন বিক্রি বন্ধ করে দেয় পাম্পগুলো। রাতেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী বাইপাসসহ জেলা ও উপজেলার পরিবহন মালিক ও চালকরা তেল কিনতে না পেরে আশাহত হয়েছে। কোথাও বাকবিত-া বা কোথাও বিক্ষোভ হয়েছে। কিছু পাম্প নতুন দাম সমন্বয় করে তেল বিক্রি করলেও রাতভর বন্ধ ছিলো বেশ কিছু ফিলিং স্টেশন।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে পেট্রল ও অকটেন তেলের দাম বাড়ছে গুঞ্জনে পেট্রোল পাম্পগুলোতে ভিড় করতে থাকে মোটরসাইকেল আরোহীরা। মোটরসাইকেল আরোহীদের চাপ থেকে তেল বিক্রি বন্ধ করে ফিলিং স্টেশনের মালিকরা। রাত প্রায় ১২টার দিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে নতুন দাম ঘোষণা করে সরকার। একলাফে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২.৫% বেড়ে হয়ে যায় প্রতি লিটার ১১৪ টাকা। পেট্রোলের দাম ৫১.১৬% বেড়ে প্রতি লিটারের দাম হয় ১৩০ টাকা। আর অকটেনের দাম বেড়েছে ৫১.৬৮%, প্রতি লিটার কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৩৫ টাকা।
শহর ও মহাসড়ক ঘুরে রাত ১২টার দেখা যায়, পাম্প মালিকরা রাত ১২টার আগে তেল বিক্রি করতে রাজি হয়নি। তারা রাত ১২টার পর নতুন নির্ধারিত মূল্যে তেল বিক্রি করতে আগ্রহী।
শহরের জেল রোডের আলহাজ্ব আবদুল কুদ্দুস ফিলিং স্টেশনে রাত ১০টার পর পেট্রল বিক্রি বন্ধ করে ম্যানেজার কাউন্টার ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। এসময় শত শত মোটরসাইকেল আরোহী তেল নিতে না পেরে ফিরে যায়।
একই অবস্থা ছিলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মাহসড়কের মহিপাল হাজী নজির আহম্মদ ফিলিং স্টেশন, লালপোল স্টার লাইন ফিলিং স্টেশন, মহিপাল ফিলিং স্টেশন, মুহুরী ফিলিং স্টেশন, ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের পাঁচগাছিয়ার প্রগতি ফিলিং স্টেশনসহ আশ-পাশের সকল পাম্পে।
শহরের পেট্টবাংলার বাসিন্দা মোটরসাইকেল আরোহী নজির আহম্মদ রতন বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে রিজার্ভ তেলে বাইক চালাচ্ছিলেন। রাত ১০টার দিকে পাম্পে তেল নিতে গেলে তিনি তেল নিতে পারনে নি। পরে আরো চারটি পাম্প ঘুরে রাত ১টার পর নতুন দামে তেল কিনতে পেরেছেন।
ব্যবসায়ী সরওয়ার হোসেন সজল জানান, মোটরসাইকেলের অকটেন কিনতে শহরের তিনটি পাম্প ঘুরে রাত ১টার পর নতুন দামে তেল কিনতে হয়েছে। যা ব্যক্তিগত পরিবহন চালকদের মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।
হাজী নজির আহম্মদ ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুর আজম জানায়, ফুয়েল ডিসপেনসার মেশিনে তেলের মুল্য সমন্বয় করায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। রাত ১টার পর থেকে নতুন দামে তেল বিক্রি করা হচ্ছ।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পাম্পের পাশে পুলিশের সরব উপস্থিত ছিলো চোখে পড়ার মতো।
এর আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তেলের দাম বৃদ্ধি তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ার বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ণ রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) পরিশোধিত এবং আমদানি/ক্রয়কৃত ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলে মূল্য সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায়ে পুনঃনির্ধারণ করেছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তাপর্যায়ে খুচরা মূল্য ডিজেল প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, কেরোসিন প্রতি লিটার ১১৪, অকটেন প্রতি লিটার ১৩৫ ও পেট্রল প্রতি লিটার ১৩০ টাকায় বিক্রি হবে।