ঘাটাইলে ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত শিকদারে বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হেকমত শিকদারের বিরুদ্ধে সিমাহীন দুর্নীতি, কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, অতিদরিদ্রদের টাকায় নিজের পকেট ভারী, বনবিভাগের জমি দখল করে লেবু ও কলার বাগান করা, প্রকাশ্য দিবালোকে সংরক্ষিত বনের শাল, নিজ ইউনিয়নের চৌকিদারকে মেরে ফেলার হুমকিসহ নানা অভিযোগে মানববন্ধন করেছে ইউনিয়নের মানুষ। জানা যায়, সাগরদীঘি ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত শিকদারের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মানববন্ধনের আয়োজন করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। শত শত নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়। এ সময় চেয়ারম্যান হেকমত শিকদারের নেতৃত্বে কিছু লোকজন শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে বাধা দেয়। একপর্যায়ে তারা মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পুলিশের উপস্থিতেই দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লোহার রড, হকিস্টিক, লোহার পাইপসহ উভয় পক্ষের লোকজন একে অপরের ওপর ঝাঁপিয় পড়ে। এ সময় চেয়ারম্যান হেকমত শিকদারকেও লোহার পাইপ নিয়ে হামলা করতে দেখা যায়। একপর্যায় উত্তেজিত জনতা ইউপি চেয়ারম্যানকে গণধোলাই দেয় ও তার লোকদেরকে ধাওয়া করে।

এ সময় পুলিশ এসে হেকমত শিকদারকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তার অনুসারীরা দৌড়ে স্থানীয় বিভিন্ন দোকানে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপরও দু’পক্ষের লোকজন সাগরদীঘি বাজারের দুইপাশে অবস্থান নেয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সার্কেল এসপি) সুহেল রানা ও ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলাম পিপিএম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।  এ ব্যাপারে সাগরদীঘি ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত শিকদার বলেন, আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ হেয় করার জন্য মাঝেমধ্যেই আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে। ইতিমধ্যে তারা আমার বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে। তারা আজকেও মানববন্ধনের আয়োজন করলে আমার লোকজনের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পুলিশ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে। যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে, তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।