রাজনীতি
২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের কবলে ছিলো: ডা. শফিকুর রহমান
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ৬:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের কবলে ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামীর কারাবন্দি নেতা সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। জাতীয় প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগ গিয়ে বিক্ষোভ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
এর আগে বিকাল ৫ টার দিকে পল্টন মোড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্ষোভের পূর্বে সমাবেশ শুরু হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সবচাইতে মজলুম জননেতা এটিএম আজহার। ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের কবলে ছিলো। প্রথম নির্যাতন করেছিলো জামায়াতে ইসলামীর উপর। আজহারের মুক্তির জন্য আমাদের রাস্তায় নামতে হবে কখনো কল্পনাও করিনি। আমরা ভদ্র কিন্তু বোকা নই, ভদ্রতাকে কেউ যেন দুর্বলতা মনে না করেন। জামায়াতে ইসলামী কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করেনি,আপোষ করেনি। জীবন দিয়েছে, কিন্তু আপোষ করেনি। ফাঁসির কাঠগড়ায় নেতৃবৃন্দকে পাঠিয়ে দেয়ার আগে বহু অফার আমাদের কাছে এসেছিলো আমরা তা গ্রহণ করিনি। নিবন্ধন তো জালিম সরকার কেড়ে নিয়েছিলো। সেই জুলুম কি আপনারা আবার করবেন। এই জন্য কি হাজার হাজার মানুষ জীবন দিয়েছিলো? আমরা বাংলাদেশে আর কোনো বৈষম্য বরদাস্ত করবো না।
তিনি বলেন, একটি মানবিক বাংলাদেশ গঠন করার জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি। এই সংগঠন কারো কাছে মাথানত করে না। দলমত নির্বিশেষে আসুন সবাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াই।
ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন বলেন, আজহার ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় আসতে হবে কখনো ভাবিনি। এইটা আমাদের নায্য অধিকার। আজকে বৃটেনের আদালতে বলা হয়েছে এইটা উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য গঠিত হয়েছিলো। যদি আজহার ভাইকে মুক্তি এবং জামায়াতের নিবন্ধন দাঁড়ি পাল্লা যদি ফিরিয়ে না দেয়া হয়, আমরা পুরা ঢাকা মহানগরীতে বিক্ষোভ করব।
দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা দেখেছি প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা তার মামলা থেকে মুক্তি নিয়েছেন অথচ দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত অন্যায় ভাবে ফাসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছেন আজহার ভাই। কোন কারণে তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। আমরা দেখতে চাই এই ষড়যন্ত্র কারা করেছে। আমরা অবিলম্বে নিবন্ধন ফিরে পেতে চাই, আজহার এর মুক্তি চাই।
বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ।
পাঠকের মতামত
কথা ঠিক।কিন্তু এটাও তো ঠিক ২০০১ থেকে ২০০৬ বোমাবাজদের কবলে ছিলো।কেউ কথা রাখেনি।১৯৯০এর পর এবং ২০০১ এর আগ পর্যন্ত সব প্রায় ঠিকঠাক চলছিলো।কিন্তু ২০০১ এর পর থেকে ২০২৪ পর্যন্ত কোনো কিছুই ঠিকমতো চলেনি।২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যদি সব ঠিক মতন চলতো তবে ২০০৭,২০০৮------২০২৪ হতো কিনা এটা আগামীর গবেষণায় হয়তো এর উত্তর মিলবে।