বিশ্বজমিন
ট্রাম্প বললেন গাজা দখল করে নেবে যুক্তরাষ্ট্র
মানবজমিন ডেস্ক
(২ সপ্তাহ আগে) ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন

এবার ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা দখলের কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গাজা উপত্যকা দখলের কথা বলে ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসিত করে সেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করবেন বলে জানিয়েছেন। যদি এমনটি ঘটে তাহলে গত কয়েক দশকের মধ্যে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের যে নীতি রয়েছে তা ভেঙে পড়বে।
তবে ট্রাম্পের এই আকস্মিক পরিকল্পনার পেছনে স্পষ্ট কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা প্রকাশ করেননি তিনি। মঙ্গলবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকের পর তার সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। এদিন গাজার প্রতিবেশী দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের প্রস্তাবের পরই এমন কথা জানালেন ট্রাম্প। তিনি গাজা উপত্যকাকে একটি ‘ধ্বংসস্থল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। টানা ১৫ মাস যুদ্ধের পর গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি চলছে। যদিও এটি বেশ নড়বড়ে।
ট্রাম্প যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন তাহলে তিনি তার মিত্র এবং শত্রু উভয় দলের পক্ষ থেকেই চাপে পড়তে পারেন। গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণ ওয়াশিংটন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের নীতির পরিপন্থী হবে। কেননা আন্তর্জাতিকভাবে মনে করা হয় গাজা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অংশ হবে যার মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং সেখানে আমরা কিছু কাজ করব। তিনি আরও বলেন, আমরা গাজার মালিক হব এবং উপত্যকাটির আশপাশে থাকা সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র ধ্বংস করব।
ট্রাম্প যোগ করেন, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা সেই অংশটি (গাজা) দখল করব। সেটির বিকাশ ঘটাব এবং সেখানে হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করব। সেখানে এমন কিছু হবে যার জন্য সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য খুব গর্বিত হতে পারে। গাজায় একটি দীর্ঘমেয়াদী মালিকানার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, আমি সেখানে দীর্ঘমেয়াদী মালিকানা দেখতে পাচ্ছি। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের ওই অংশে দুর্দান্ত স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে বলে মনে করেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং তারা এতে সমর্থন করেছেন।
গাজায় কারা বসবাস করবে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, সারা বিশ্বের মানুষের আবাসস্থল হতে পারে গাজা। গাজার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল যে সামরিক অভিযান চালিয়েছে তাতে উপত্যকাটির সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে হুমকি সৃষ্টি হয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা (উপকূলরেখা) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপকূলীয় অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘ সহিংসতার ইতিহাসের পরেও গাজায় ২০ লাখের বেশি মানুষ বাসবাস করছেন। এর মধ্যে কোন অধিকারে যুক্তরাষ্ট্র গাজা দখলে নেবে তার সরাসরি কোনো উত্তর দেননি ট্রাম্প। তার প্রথম মেয়াদে গাজায় মার্কিন সৈন্য মোতায়েনের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
পাঠকের মতামত
মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার আর একটি গুয়াতনামা'বে গঠনের প্রচেষ্টা চলছে ! হয়তো হবেও এবং তার জন্য দায়ী হামাস, টেররিস্ট প্যালেস্টাইন, ইরান, এরদোগান এবং ডিক্টেটর জর্ডান সহ ইজিপ্ট । এই বে'র মাধ্যমে আমেরিকা নিজের একটি ল্যান্ড পাবে, যেটা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইসরাইল ও শাসন করতে পারবে।
Does it mean that Israel has failed in Gazza? Now, it is America's turn to fight Sunnis.
যদি আমেরিকা গাঁজা দখলে নেয় এবং বিশ লক্ষ গাজাবাসীকে আমেরিকায় নিয়ে যায় এবং সেখানকার নাগরিকত্ব দেয়া , গাঁজার লোক এই প্রস্তাবে রাজি হতেও পারে।
This is a big and loud slap on the face of the people of the world who truly think the lest about freedom, humanity, morality and sovereignty? He is right in one sense; the Middle East is dominated by the majority of Muslims except Israel. And, altogether they could not bring any feasible solution for the Gaza-strip for a long time. If the Muslims were united, he could not dare to declare such a plan in the heart of the Muslim community, for sure? Thanks to Mr DJ Trump to try to give some sense of responsibility to the people who “talk much, but act very little”!
Trump is a wrong headed person.
Imperialist USA is trying to invade Gaza with it's illegitimate child Israel. Muslims will never let it happen. Only Puppets rulers will agree with him. The demise of USA has started when they invaded Iraq and now it will soon be a broken country. Shame for usa citizens
Mad Man . How dare made a such statement ?
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা, জনগণ আমেরিকা খুবই পছন্দ করে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ আমেরিকা যেতে চায়, কিন্তু আমেরিকা কখনোই বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ফ্রী কান্ট্রি করবেনা। সুতরাং বাংলাদেশীদের ইচ্ছা পূরণে আমেরিকা বাংলাদেশকে আমেরিকার ৫১তম স্টেট ঘোষণা করুক।
ট্রাম্প একটা ঊন্মাদ।
জনমানবহীন রাষ্ট্রের পূনর্বাসন ? পাগলে কী না বলে - ছাগলে কী না খায়
বেইমান, চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
We occupied America and open it for All.
এটা সমগ্র মানব জাতীর জন্য এক দু:সংবাদ।বিশ্বে অস্থিতিশীলতা সৃস্টির জন্য এ ধরনের হটকারি সিদ্বান্ত বিশ্বকে কোথায় নিয়ে যাবে? জোর যার মুল্লুক তার,পৃথিবীকে ধংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।এটা কোন দায়িত্বশীল রাস্ট্র প্রধানের বক্তব্য হতে পারেনা।ইতিমধ্যে গাজার সব অবকাঠামো ধংস করা হয়েছে।লক্ষ লক্ষ গাজা বাসি আজ ভিটে মাটি ছাড়া।লাখ লাখ আহত,৫৫০০০ হাজারের উপরে নিহিত।আজ ও ধংসস্তুপের নীচে ২০ টি গলিত মৃত দেহ পাওয়া গেছে।আজ মানবতা কোথায়? আমেরিকা বিশ্বে বেশি মানবতার কথা বলে আজ তারাই তা লংঘনে জায়নবাদি ইস্রাইলকে উসকানি ও সার্বিক শযোগিতা দিচ্ছে।এখন দেখার পালা চীন,রাশিয়া,ইসলামি দেশগুলো কি ভুমিকা নেয়।এটা মানবতাকে অপমান,নিজ ভিটা ও দেশ হতে অন্যকে গায়ের জোরে সম্পদের লোভে বাস্তচ্যুত করা।তার শুভ বুদ্বির উদয় হউক।