অনলাইন
জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমেছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখনো প্রায় ১১ শতাংশ
স্টাফ রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ৮:০৬ অপরাহ্ন
জানুয়ারি মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সাধারণ মানুষকে সবচেয়ে বেশি চাপে রাখা খাদ্য মূল্যস্ফীতিও কমেছে। যদিও এখনো ১০ শতাংশের উপরেই রয়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি। মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিবিএস সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে। ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১২.৯২ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে যেটি ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে ডিসেম্বর মাসে সার্বিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ থাকলেও জানুয়ারি মাসে সেটি বেড়ে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। বিবিএসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে গ্রামীণ এলাকায় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে এই মাসে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। তবে গ্রামীন এলাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেশি হলেও শহরের তুলনায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি কম। জানুয়ারি মাসে গ্রামীণ এলাকায় যেখানে খদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ, সেখানে শহর এলাকায় ছিল ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এছাড়া শহরের চেয়ে গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও বেশি। জানুয়ারিতে গ্রামীণ এলাকায় যেখানে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ, সেখানে শহর এলাকায় ছিল ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।
বাড়তি মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মূল্যস্ফীতিতে মানুষ সমস্যায় রয়েছে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে তা কমাতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতি কমতে আরও ২ থেকে ৩ মাস অপেক্ষা করতে হবে। জুনের মধ্যে যদি আমরা মূল্যস্ফীতি ৬ থেকে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারি, তাহলে আমরা এটিকে সন্তোষজনক বলে মনে করব।