দেশ বিদেশ
অন্য দলের নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন ছাত্ররা
স্টাফ রিপোর্টার
৩১ জানুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার
দল গঠনের প্রক্রিয়া অনেকটা গুছিয়ে এনেছেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ঘোষিত হতে পারে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল। শুরুতে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে পরবর্তীতে কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন তারা। ইতিমধ্যে সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে ছাত্র আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফরম জাতীয় নাগরিক কমিটি। নতুন দল ঘোষণার আগে ছাত্ররা যোগাযোগ রক্ষা করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেও। উদ্দেশ্য- তাদেরকে নতুন দলে ভেড়ানো। এ ছাড়াও বিভিন্ন দলের নেতারা নিজ থেকেও যোগাযোগ করছেন ছাত্রদের সঙ্গে। ছাত্রদের যোগাযোগ হচ্ছে সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গেও।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের বিষয় সামনে এনেছেন ছাত্ররা। উদ্দেশ্য- পুরনো বন্দোবস্তকে বিদায় দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করা। তারুণ্য নির্ভর দল গঠন করে সব মত-পথের মানুষকে ঠাঁই দিতে চায় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। নেতাদের দাবি- মধ্য পন্থার এ নতুন রাজনৈতিক দল হবে গণমানুষের দল। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত।
দল ঘোষণাকে সামনে রেখে পর্যায়ক্রমে পদত্যাগ করবেন সরকারে থাকা ছাত্রদের তিন প্রতিনিধি। যাদের একজন নতুন দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিতে পারেন। জানা গেছে, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সরকারের আইসিটি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা নাহিদ ইসলাম। যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নম্বর সমন্বয়ক ছিলেন। শোনা যাচ্ছে, নাহিদকে সামনে রেখে দল ঘোষণা হতে পারে। নাহিদের পর উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবেন আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। যিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। নাহিদের পদত্যাগের পরের ধাপে আসিফ পদত্যাগ করতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে অথবা অক্টোবরের শেষে পদত্যাগ করতে পারেন। তবে পদত্যাগ ইস্যুতে গতকাল নাহিদ ইসলাম বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। যদি হয় তাহলে আমরা নিজেরাই বলবো। রাজনৈতিক দলে অংশগ্রহণের পরিস্থিতি হলে, আমরা সরকার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলে সেটা আনুষ্ঠানিকভাবেই বলবো।
এদিকে, নিজেদের নতুন দলে পরিচিত একজন রাজনৈতিক মুখকে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। সে লক্ষ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে। এ তালিকায় রয়েছে বিএনপিসহ অন্যান্য ছোট দলের নেতারা। যেখানে বিএনপি’র হয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এমন ব্যক্তিও রয়েছেন। এ ছাড়াও দলটির তরুণ কয়েকজন নেতাকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা চলমান রয়েছে। বিএনপি ছাড়াও দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নতুন দলে যোগ দেয়ার। এ ছাড়াও বিএনপি’র সঙ্গে জোটে থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা ব্যক্তিও রয়েছেন এ তালিকায়। তবে এদের কেউই দলে যোগদানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। কেউ কেউ নিজেদের অনাগ্রহের কথা জানিয়েছেন। সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিচ্ছেন কয়েকজন। এ ছাড়াও সুশীল সমাজের কয়েকজন ব্যক্তিকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছেন ছাত্ররা।
ছাত্রদের নতুন দলের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নাম চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে অনলাইন ও অফলাইনে গণমানুষের মত নেয়া হবে। মানুষের দেয়া নাম ও নিজেদের প্রস্তাবনা থেকে দলের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এক্ষেত্রে নতুন দলের নামেও জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের প্রতিফলন রাখতে চান ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এ ছাড়া গঠনতন্ত্রের বিষয়টিও শেষ দিকে রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে এটি চূড়ান্ত করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রেও জুলাই-আগস্টের স্প্রিট রাখতে চান তারা। আজ জনমত তৈরির লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিভিন্ন সভা করছেন তারা। আনুষ্ঠানিকভাবে দলের ঘোষণা দেয়ার আগে রংপুর থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত লংমার্চ করারও পরিকল্পনা রয়েছে। এদিকে, দল গঠনের আগে দেশব্যাপী নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই একাধিক উপজেলা কমিটি গঠন করে দল গোছানোর চেষ্টায় রয়েছেন তারা। কমিটিগুলো নিজ নিজ এলাকায় দল গঠনের বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে করা হচ্ছে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ।
দল গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অনেকটা ক্লোজডোর আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ। নাগরিক কমিটির অভ্যন্তরীণ সভাগুলোতে আলোচনা হলেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসে ক্লোজডোর আলোচনায়। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এ প্রক্রিয়ার নেপথ্যে কাজ করছেন। এ ছাড়াও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, মুখপাত্র সামান্তা শারমিনও রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়। অন্যদিকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠন সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ও মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসউদ রয়েছেন। এদিকে ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদের একাধিক ব্যক্তির একটি গোপন বৈঠক নিয়ে আলোচনা রয়েছে নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভ্যন্তরে। সূত্রের দাবি, জানুয়ারির মাঝামাঝিতে ঢাকার পার্শ্ববর্তী একটি রিসোর্টে এ বৈঠক হয়। যেখানে সাত ছাত্রনেতা ছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের একাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তবে এ ধরনের কোনো বৈঠকের বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা কিছু প্রকাশ করেননি।
জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, আমরা দল গঠনের আগে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গেই যোগাযোগ করছি। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোও রয়েছে। বিষয়টা এমন না যে তাদেরকে দলে ভেড়াতে এ উদ্যোগ। তিনি বলেন, আমাদের নতুন দলে সব জাতি, ধর্ম, বর্ণের অংশগ্রহণ থাকবে। মধ্যপন্থার দল হবে। নেতৃত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতারাই নেতৃত্বে থাকবে। আর দলের নামের ক্ষেত্রে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের যেন প্রতিফলন ঘটে এমন একটি নামই আমরা চূড়ান্ত করবো।
ছাত্ররা নতুন দল গঠন করবে, ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে ড. ইউনূস: এদিকে লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন ছাত্ররা দল গঠন করবে। এ লক্ষ্যে তারা দেশ জুড়ে লোকজনকে সংগঠিত করছে। একটি সম্ভাবনা হলো, ছাত্ররা নিজেরাই একটি দল গঠন করবে। শুরুতে যখন তারা উপদেষ্টা পরিষদ সভা গঠন করছে, তখন আমি তিনজন ছাত্রকে আমার উপদেষ্টা পরিষদে নিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, যদি তারা দেশকে “জীবন” দিতে পারে, তাহলে তারা উপদেষ্টা পরিষদে বসতে পারে এবং জীবন দেয়ার জন্য কী করছে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তারা ভালো কাজ করছে। এখন ছাত্ররা বলছে, কেন আপনি আপনার-আমাদের নিজস্ব দল গঠন করেন না, আমরা একটা সুযোগ নেবো। তারা বলেছে, আপনার কোনো সুযোগ নেই, এমনকি সংসদে আপনার একটি আসনও থাকবে না। কেন? কারণ, কেউ আপনাকে চেনে না। আমি তাদের বললাম, পুরো জাতি তাদেরকে চেনে। তারা যা করতে চায়, সে বিষয়ে তাদেরকে একটা সুযোগ দিই। সুতরাং, তারা এটা করবে। তিনি বলেন, এটা দরকার। কারণ, রক্ত দিয়ে তারা যেগুলো অর্জন করেছে, সেগুলো তাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। অন্যথায় সেগুলো সেই সব ব্যক্তি নিয়ে যাবে, যারা বিগত প্রশাসন ও অন্যান্যের মতো সব কিছুর পুনরাবৃত্তি করার সুযোগ খুঁজছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দল গঠনের প্রক্রিয়ার মধ্যে হয়তো তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এটাও একটা বিপদ। কারণ, রাজনীতি শুরু করলে সব ধরনের রাজনীতিবিদ তাদের সঙ্গে মিশে যাবে। তাই আমরা জানি না তারা আমাদের দেশে যে রাজনীতি, তা থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারবে কি না। এ ধরনের সুযোগ আছে, যা আমাদের নিতে হবে। তবে ছাত্ররা প্রস্তুত। তারা প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা দেশ জুড়ে লোকজনকে সংগঠিত করছে। তিনি বলেন, তরুণরা সত্যিই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের খারাপ কোনো কিছুর সংস্পর্শে নেই বা নিজেদের রাজনৈতিক আখের গোছানোর ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা নেই। তারা এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল গঠন করছে বা রাজনীতিতে যুক্ত হচ্ছে। এটাই বাংলাদেশে আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশ। সুতরাং তারা এটা রক্ষা করার চেষ্টা করছে। তাই আমি বলবো, ছাত্রদের স্বচ্ছ অভিপ্রায় থাকবে।
পাঠকের মতামত
পরিবারতন্ত্রমুক্ত একটি সুস্থ রাজনৈতিক দলের অনেক প্রয়োজন। কারণ পরিবারকে কেন্দ্র করে সিন্ডিকেট গড়ে উঠে লুটতরাজ সংগঠিত হয়।
অন্যদলের নেতাদেরকে বাগিয়ে নিয়ে দল গঠন করলে তরুণদের গড়া দল বিশ্বাস যোগ্যতা হারাবে।
ছাত্ররা যদি রাজনৈতিক দল করে তাহলে বাকি দলের কপাল পোড়বে হয়ত,তাই এত চিন্তা
সাধারণ জনগন চোর বাটপার হাত থেকে বাঁচতে চায় নতুন রাজনৈতিক দল আসলে সমস্যা কোথায় ভারতে যেমন আছে আন আদমি পাটি শুভকামনা
রক্ত দিয়ে তারা যেগুলো অর্জন করেছে, সেগুলো তাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। অন্যথায় সেগুলো সেই সব ব্যক্তি নিয়ে যাবে, যারা বিগত প্রশাসন ও অন্যান্যের মতো সব কিছুর পুনরাবৃত্তি করার সুযোগ খুঁজছে। প্রধান উপদেষ্টা
লাভের লাভ কিছু হবে না। বরং ছাত্রদের একটা ছোট অংশের ক্ষমতার লোভের কারনে সংস্কার ও স্বৈরাচারের বিচার ব্যাহত হচ্ছে।
দল গঠন বা রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে। তাঁরা দল গঠন করবে এটি শুরুতেই অনুমেয় ছিল। তবে রাজনৈতিক দল গঠনের শুরুতেই নিজেদের সংখ্যা ও শক্তির উপর ভরসা না করে বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠী থেকে ভাগিয়ে আনার অনৈতিক পরিকল্পনা ভবিষ্যতের জন্য ভালো ইঙ্গিত বহন করে না। আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার হিসেবে থেকে রাজনৈতিক দল গঠনের সামগ্রিক প্রক্রিয়া শেষ করে তারপর পদত্যাগ করে দলের দায়িত্ব নেয়া, তারপর আরেকজন, তারপরে শেষ মুহূর্তে আরেকজন পদত্যাগ করবে, এই ধরনের নাটক না করলেই ভালো হতো। বলা যেতে পারে, সরকারে তাদের অবস্থানের পুরো সময় আর্থিক ও অনার্থিক অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।
ভালো উদ্যোগ। আমি আছি। দেশ কে ৩ লুটেরা থেকে বাঁচাতে হবে। সফল হতে হবে।
তরুণদের নুতন দল হওয়া উচিত। জাতি গতানুগতিক রাজনৈতিক ধারা থেকে বের হয়ে অগ্রসরমুখী গনতান্ত্রিক চেতনাধারী রাজনীতি আশা করে।
Youth is power, I appreciate young Spirit to go ahead honestly.
ছাথ্র জনতা আমাদের শুভকামনা রইল। ৮০+ভোটার।
নাম হোক "জুলাই ৩৬"
তাদের দল তারা ঘটন করুক সমস্যা নেই রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে সাধীন দেশ। সাধীন ভাবে মত প্রকাশ করুক আমার পরামর্শ হলো বি এন পির উচিৎ হবে চুপ থেকে সব কিছু অবজার্ব করা। সহসা কোনো প্রতিক্রীয়া না যানা। ২ নং এতে ভুজা যাবে কাদের নিয়ে এরা রাজনৈতিক দল ঘটন করবে। বি এন পির ভিতর কেনো গাদদার থাকলে তাদের মুখুশ ও সামনে এসে যাবে।অত পর তারেক জিয়া খালেদা জিয়া দেশে আসলে ইনশাআল্লাহ দল দেশের প্রয়োজনে আবার এক কাতারে চলে আসবে।