দেশ বিদেশ
বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা
ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলবের দাবি
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
২৬ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবারভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনারকে তলবের আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নেতারা। তারা বলেন, এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড কেবল ভারতেই সম্ভব। অবিলম্বে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে এ হত্যাকাণ্ডের কারণ ও সুষ্ঠু বিচারের জন্য জবাবদিহি চাওয়া হোক। গতকাল বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের ঢাকা কলেজের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রাকিব বলেন, এখন পর্যন্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডাকা হয়নি, এ ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের কোনো জবাব চাওয়া হয়নি। আমরা চাই না আর নতজানু হয়ে চলতে। আমরা চাই নতজানু না হয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে জোরালো পদক্ষেপ নেয়া হোক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, যখন ভারতের আরজি কর হাসপাতালে আমার বোন মৌমিতাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হলো তখন আমরা প্রতিবাদ করেছি কিন্তু যখন শুক্রবার নাজমাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হলো তখন কাঁটাতারের ওপারের সবাই চুপ কেন? তারা কি আজ মুখের কথা হারিয়ে ফেলেছে? হত্যার একদিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতি দেয়া হয়নি। আমরা বলতে চাই, এখন নতজানু হওয়ার সুযোগ নেই। এ দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি কোনো প্রশ্ন রাখা চলবে না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, ভারত দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের জনগণের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। তারা নিজেদের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। তারা শুধু উগ্রতাই ছড়িয়েছে। গতকাল ভারতে আমাদের বোন নাজমাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এটা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও উগ্রতা ছড়ানোর ফলাফল। তিনি বলেন, ভারতকে অবশ্যই এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবশ্যই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। হাইকমিশনারকে ডেকে জবাবদিহি করতে হবে। আগামীতে যেন এমন কোনো ধর্ষণ বা হত্যাকাণ্ড না ঘটে সেজন্য ভারতকে হুঁশিয়ারি প্রদান করতে হবে।