প্রথম পাতা
গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল স্বীকার করলেন কামাল
মানবজমিন ডেস্ক
২৫ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার
মুখ খুললেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বীকার করলেন গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথা। কেন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন আর ভবিষ্যতে কী করা উচিত সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানালেন নিজের মতামত। আওয়ামী লীগ আমলের এই দাপুটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৭ই আগস্ট বাড়ি ছাড়েন তিনি। ধারণা করা হয়, বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানকার সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া তার সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য:
প্রশ্ন: চলমান পরিস্থিতি থেকে আওয়ামী লীগ কোথায় যাবে? দলটির পুনরুত্থান কীভাবে হবে?
উত্তর: আমি ১০ বছর ছয় মাস বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলাম। এ সময়ের মধ্যে আমি বহু উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছি...। এখন সবকিছু ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে উল্টে গেছে। গত বছরের ৩রা আগস্ট থেকে ৫ই আগস্টের মধ্যে প্রায় ৪৬০টি থানা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র লুট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেখানে থাকেন সেই গণভবন থেকে এসএসএফের (ভিভিআইপি নিরাপত্তার দায়িত্বপালনকারী বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী) অস্ত্রও কেড়ে নেয়া হয়। আমি নিজে ৫ এবং ৬ই আগস্ট ঢাকায় ছিলাম; পরে ৭ই আগস্ট আমার বাড়ি ছাড়ি।
প্রশ্ন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আপনি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। আপনি কি এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না?
উত্তর: যখন থানাগুলো পুড়েছে কার্যত পুলিশ তখন অকার্যকর হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে মৃতদের সাক্ষী করে তাদের মৃতদেহ গণনা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। যেখানে পুলিশ সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা দেয় সেখানে তারা যখন নিজেরাই অকার্যকর হয়ে যায় তাহলে বিষয়টা কেমন হয়? আমি বলবো সেখানে যৌথ অভ্যুত্থান ঘটানো হয়েছে। ইসলামী উগ্রবাদ এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভ্যুত্থান।
প্রশ্ন: স্পষ্টতই এখানে গোয়েন্দাদের বড় রকমের ব্যর্থতা ছিল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আপনি কি এ বিষয়টি স্বীকার করেন?
উত্তর: হ্যাঁ আমি এ বিষয়ে একমত যে, ইচ্ছাকৃত হোক বা অন্যভাবেই হোক গোয়েন্দাদের বিশাল ব্যর্থতা ছিল। সেনাবাহিনীর বিশেষ একটি গোয়েন্দা ইউনিট রয়েছে, ডিজিএফআই (ডিরেক্টর জেনারেল ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স)। তারা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাও সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে। এমনকি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে। গোয়েন্দাদের রিপোর্টের সারসংক্ষেপটাই শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আসে।
প্রশ্ন: আপনি কি স্বীকার করেন যে, আপনার দল কিছু মৌলিক ভুল করেছে; যার ফলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তর: আমি বিষয়টিকে ভুল বলবো না, তবে হ্যাঁ, দল পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের অনেক দেরি হয়ে গেছে। এটাই মূল কথা। দুই বছর পর নতুন নেতাদের আসার কথা ছিল। কিন্তু আমরা যথাসময়ে নেতা নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছি।
প্রশ্ন: আপনার দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে কি আপনার যোগাযোগ হচ্ছে?
উত্তর: তার সঙ্গে দেখা করতে পারছি না; তবে তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয়। সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে, তিনি দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। ৪ঠা আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আমি তার সঙ্গেই ছিলাম। পুলিশের প্রধানও ছিলেন সেখানে। সেনাপ্রধানও সেখানে ছিলেন। তিনি শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, কিছুই হবে না। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। সেনাপ্রধান শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন আপনার সুরক্ষার দায়িত্ব আমার জিম্মায়। এসব কিছুর সাক্ষী আমি নিজে। তখন আমি সেনাপ্রধানকে জিজ্ঞেস করেছি- আপনি কি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছেন? তিনি জবাবে হ্যাঁ বলেছিলেন। এরপর আমি আমার অধীনে থাকা পুলিশ প্রধানকে সেনাপ্রধানের সঙ্গে স্বাধীনভাবে আলোচনা করার কথা বলেছি। তারা যেন সব স্বাভাবিক করে। কিন্তু আপনি দেখেছেন ৫ই আগস্ট কী হয়েছে।
প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পলাতক আছেন; অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আটক। তাদের মনোবল ধরে রাখতে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তা কীভাবে মোকাবিলা করবেন?
উত্তর: আওয়ামী লীগের কর্মীদের মনোবল অনেক উঁচু। শেখ হাসিনা ছাড়া তারা ভবিষ্যতের কথা ভাবতে পারে না। তিনিই বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি অর্থনীতির পরিবর্তন করেছেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলার পরিবর্তন করেছেন।
প্রশ্ন: আপনি ভারতের কাছ থেকে কী আশা করছেন? ভারত কীভাবে সাহায্য করতে পারে?
উত্তর: আমি মুক্তিযোদ্ধাদের একজন কমান্ডার ছিলাম, তাই আমি জানি ১৯৭১ সালে ভারত বাংলাদেশের জন্য কী করেছে। আমি স্বীকার করি যে, ভারত সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্য সেখানে ছিল। এখন ভারত কূটনৈতিকভাবে আমাদের সাহায্য করতে পারে। আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা আদালতে যেতে পারছেন না। নতুন করে বিচারক নিয়োগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথমত, আদালত যাতে পুনরায় কাজ শুরু করতে পারে, সেজন্য কূটনৈতিক চাপ এবং এর পক্ষে আওয়াজ উত্থাপন করা উচিত। আমি মনে করি ভারত এভাবে সাহায্য করতে পারে।
প্রশ্ন: আপনার পরিবার এবং অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ কী?
উত্তর: আমার একমাত্র ছেলে বর্তমানে জেলে...আমার অনেক আত্মীয়স্বজনও ভালো অবস্থায় নেই। আমার ছেলে কাশিমপুরের একটি কারাগারে রয়েছে; যেখানে আমরা একসময় সন্ত্রাসীদের আটক রাখতাম। কয়েকদিন পরপরই ছেলের কাছে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা কেউ না কেউ আমার অবস্থান জানতে চায়। এ ছাড়া আমার ওপর একের পর এক মামলা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে প্রায় ২৯০টি খুনের মামলা হয়েছে। এটি নিশ্চয়ই একটি রেকর্ড, হয়তো আন্তর্জাতিক রেকর্ডও। ৫৪টি মামলায় যাকে খুন করার কথা বলা হয়েছে তিনি জীবিত ফিরে এসেছেন...সেই মামলাগুলোতে, আমার সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতার নামও রয়েছে।
প্রশ্ন: আপনি কি বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে আইনের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত? এ ছাড়া আওয়ামী লীগ কি নির্বাচনে লড়তে প্রস্তুত?
উত্তর: আমি ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছি না। তবে তা কেবল তখনই সম্ভব যখন আইনের শাসন পুনরুদ্ধার করা হবে, বিচারকরা অবাধে এবং নির্ভয়ে মামলার শুনানি করতে পারবেন এবং আমাদের আইনজীবীরা আমাদের পক্ষে উপস্থিত হতে পারবেন। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি, আমরা অবশ্যই নির্বাচনে লড়বো যদি আমরা সবাই সেখানে যেতে পারি...।
প্রশ্ন: শেখ হাসিনা নির্বাসিত। দলের বেশির ভাগ নেতাও এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে। এমন পরিস্থিতিতে দলকে শক্তিশালী করাটা কতোটা চ্যালেঞ্জের বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: এটা অসম্ভব নয়। আমি বিশ্বাস করি- এটা সম্ভব। আমার বিশ্বাস খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা বদলে যাবে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমি সেখানকার পরিস্থিতি দেখেছি। সেখানকার জনগণকে দেখেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমরা খুব শিগগিরই চলমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো। যদিও অনেক নেতার সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো খোঁজ নেই...। তবে যদি লড়াই শুরু করি তারা পুনরায় ফিরে আসবেন। আমার বয়স ৭৫ হতে চলেছে, আমি বিশ্বাস করি যে, আমি এখন বোনাস জীবনে আছি। সেজন্য আমি ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। আওয়ামী লীগের তরুণ নেতারাও এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। তরুণদের এগিয়ে আসার সময় এসেছে।
প্রশ্ন: চলমান পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা কী?
উত্তর: গণমাধ্যম সম্পূর্ণভাবে এখন তাদের (অন্তর্বর্তী সরকারের) নিয়ন্ত্রণে। গণমাধ্যম কোনো বিষয়ে স্বাধীনভাবে মন্তব্য করতে পারছে না। তারা সবকিছুর জন্য আওয়াজ তুলতে পারে না। তারা এখন নীরব। আমি বিশ্বাস করি যদি আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে এগিয়ে আসতে বলেন, তাহলে অবশ্যই সেটা ঘটবে।
প্রশ্ন: শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলার সময় তার কাছ থেকে কী নির্দেশনা পেয়েছেন?
উত্তর: তিন দিন আগে আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। তার নির্দেশনা হচ্ছে- সকল নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে; যার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা যায়।
প্রশ্ন: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আপনার বার্তা কী?
উত্তর: তার চেয়ারে বসার কোনো অধিকার নেই, তিনি কোনো নেতা নন, কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিও নন। দেশে খুব অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ এক অদ্ভুত উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ড. ইউনূসের উচিত তার পদ ছেড়ে আওয়ামী লীগ সহ সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে লড়তে দেয়া এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার সুযোগ করে দেয়া। কেননা, এটাই একমাত্র উপায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছে: প্রেস উইং
ওদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেক এক বার্তায় জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিরোধী প্রপাগান্ডার অংশ হিসেবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক দিনে একাধিক মিথ্যা বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রচার করেছে। গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের মনগড়া বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে। তাদের দাবি করা তথ্যের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কারো কোনো বক্তব্য নেয়া হয়নি।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল যেসব তথ্য দিয়েছেন তা সত্য নয় দাবি করে এর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে।
পাঠকের মতামত
AL মানে ভারতের দালাল। এরা দেশের জনগণের শত্রু।
এই হারামিদের কথা শুনলে মুখ থেকে আপনাপনি অশ্রাব্য গালি বেরিয়ে আসে। আবার এদের জন্য কিছু লোক মায়াকান্নাও কাঁদে। আসলে চোরেদের শক্তি বৃদ্ধি করাই তাদের লক্ষ্য। সব ফকিরের বাচ্চা থেকে নেতা হয়েছে যে।
ভারতের প্রেসক্রিপশন - এ এই দেশে রাজনীতি আর কখনো ই হবে না
আপনি জঙ্গি নাটকের মাস্টারমাইন্ড খুনি দেশদ্রোহী পলাতক। এত ভালো মানুষ পালালেন কেন?
মিথ্যা বলতে বলতে এরা একসময় মিথ্যাকেই সত্য করে ফেলবে। ভারত এখন তাদের বক্তব্য প্রচার করে করে সূদুরপ্রসরী চিন্তা থেকে, একসময় তাদের ভাবমূর্তি আবার তৈরি করার জন্য।
Somoy kharap hole sobai gali dey aita e amader niom.
মিথ্যা কথা কত সুন্দর করে গুছিয়ে বলা যায়, শিখলাম
তিনি আমাদের জন্য একজন মহান মানুষ ছিলেন।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, 75 বছর বয়সে গণতন্ত্রের জন্য এবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তাও আবার হাসিনার আমলে গণতন্ত্রের জন্য। হাজারো শহীদের তাজা রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, পলাতক প্রধানমন্ত্রীর সাথে নাকি কথা হয়েছে? গণতন্ত্র ফেরাবে পলাতক কামাল গংরা।হাজারো শহীদের রক্ত ভেজা বাংলাদেশ চট করে ঢুকে পড়ো, তোমার জন্য আয়না ঘর রেডি আছে, খাবারে থাকবে গরম ডিম,।
আপনাদের সবার জন্য দেশবাসী অপেক্ষা করছে? আপনাদের নেত্রী যেদিন দেশ ছেড়েছে সেদিন দেশের কোথাও মিষ্টি কিনতে পাওয়া যায়নি। (আমি নিজেও সন্ধ্যার পর বেরিয়ে মিষ্টি পািইনি সব শেষ হয়ে গিয়েছে) ইতিহাসে এ রকম 2 বার একবার আপনাদের পিতার জন্য আর একবার তার মেয়ের জন্য। শুধুমাত্র এটাই আপনাদের ইতিহাস। আপনাদের দেখে আফসোস হয় আওয়ামিগিল কখনো ইতিহাস দেখে শিক্ষা নেয় না। আর যে শিক্ষা নেয় না তার পরিনাম আপনাদের সামনে। আমরা আর আপনাদের মতো নেতাদের ও আওয়ামিগিলকে চাইনা।
তুমি এতো গুলো মানুষ মাইরা ফালাইছ, তোমার ভিতর কোনো দুঃখ নাই । তুমি তো নর পিশাচ ।
tore paile 100 ta jutar bari ditam
শালা নাকি নির্বাচনে বিশ্বাসী। গত ১৬ বছরে কেমন নির্বাচন হইছে?
শত শত গুম-খুনের অভয়ারণ্য হয়ে যাওয়া এই বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল বিভীষিকাময় এক জনপদ। প্রতিহিংসাপরায়ণ, প্যাথোলজিক্যালি লায়ার, আপাদমস্তক স্বৈরাচারের ডিএনএ দিয়ে নির্মিত এক ব্যক্তির একক শাসনে পরিচালিত হয়েছে এই বাংলাদেশ। ১৬ বছরের প্রতিটি মুহূর্তে সে ক্রমাগত নিজেকে ছাড়িয়ে গেছে গণতন্ত্রহীনতার চর্চায় এবং জনগণকে মানুষ মনে না করার প্রবণতায়। নিজেকে বিকল্পহীন, অপরাজেয়, অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক সত্তায় পরিণত করার প্রয়াস ফুটে উঠতো প্রতিটি কথায়, আচরণে। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার উন্মত্ত আয়োজন সম্পন্ন করে রেখেছিল রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার মাধ্যমে।
শেখ হাসিনার দানব হয়ে উঠার পেছনে এই দুর্বৃত্তের অবদান সবার চেয়ে বেশী ছিল।
এই তৃতীয় শ্রেণির ফালতু বাটপার খুনি কামাইল্ল্যার হাতে শতশত ছাত্র জনতার রক্ত লেগে আছে যা এখনো দগদগে ক্ষতের মতো জ্বলছে এদেশের জনতার বুকে। ক্ষমা চাওয়া বা অনুশোচনা তো দূরের কথা, অথচ এই জানোয়ার এখনো স্বপ্ন দেখছে এদেশে রাজনীতি করার। এদেশের মানুষের উচিৎ হবে প্রথম সুযোগই এইসব ভাদা বিষাক্ত কালো সাপকে সমূলে বিনাশ করা নয়তো এরা আবারো সংগঠিত হয়ে এদেশকে নরকের কুন্ড বানাবে।
বোনাস লাইফ হলে কুত্তা তুই ইন্ডিয়া গেছস কি কালি পুজা করতে। হারামি তুই দেশে আস
বহুদিন পর সকাল সকাল পতিত স্বৈরাচারের বয়ান শুনে মনে হইলো সূর্য আজ কোনদিকে উঠেছে। সেই শব্দ, সেই বাক্য, নাই আফসোস নাই অনুতাপ। এরা আসলে বহু আগে মানুষের কাতার থেকে সরে গিয়েছিলো। ওহে ভারত বর্ষ! তোমাদের প্রিয় অতিথি ও তার অনুসারীদের আন্দামান দ্বীপ কিংবা তদ্রুপ কোন দ্বীপে পাঠিয়ে দিচ্ছো না কেন? এতে তাদের ক্ষমতার ঠাট ও আপাপূজা দুইটাই বজায় থাকে।
ওরা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করত না কিন্তু বিশ্বাসী ছিল হাসিনার উপর আর হাসিনা বিশ্বাসী ছিল সন্ত্রাসীদের উপর। কিন্তু বিধির বিধান, ওই পর্যন্তই ছিল ওদের সন্ত্রাসীর শেষ দিন।
আমি ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছি না-- কি সুন্দর রশিকতা!!
ভুতের মুখে রামনাম। হা ! হা ! হা !
আওয়ামী সরকারের বিভিন্ন অন্যায় ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের , ‘আপনি ভাব করবেন জুলাইয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ মারেন নাই, ১৬ বছর ধরে গুমের সংস্কৃতি কায়েম করেন নাই, নিজের ক্যাশিয়ার দিয়ে ব্যাংক লুটপাট করেন নাই, বিচার-নির্বাহী-পুলিশ বাহিনী ধ্বংস করে দেন নাই, এমনকি সেনাবাহিনীর ভেতর জিয়াউল আহসানের মত নির্যাতনের টুল বানান নাই, সেটা হবে না। এত এত প্রমাণের যুগে অস্বীকার করাটা ব্র্যান্ড ইমেজ রক্ষা করার কোনো উপায় না।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তথা ইন্ডিয়ার যৌথ প্রোপাগান্ডা। এত আত্ম বিশ্বাসী হলে কামাল পালিয়ে কেন। আওয়ালীগ ও এই দলের নেতা-কর্মীদের লজ্জাশরম নেই। এত দাপুটে শাসক গোষ্ঠী দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ইন্ডিয়া এই ফ্যাসিস্টদের তাদের স্বার্থে আবার বাংলাদেশে পুনঃ প্রতিষ্ঠা করার চক্রান্ত করছে। পলাতকদের কূকর্মের কোন একটি প্রশ্নও না করে শুধু তাদের এই দেশের রাজনীতি ও ক্ষমতায় কি ভাবে আবার ফিরে আসবে সেই প্রশ্নই করেছে। এটা কোন অনুষন্ধিতসু সাংবাদিকতা নয়। এটা ষড়যন্ত্রকারী সাংবাদিকতা। আমরা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এই প্রতিবেদন ঘৃনাভরে প্রত্যাক্ষান করি।
ওয়া কার তাহলে সেদিন তার সিদ্ধান্ত জনগনের চাপে পরে নিয়েছে। সেদিন জনগন না থাকলে তো ওয়া কার ছাত্রদের উপর গণহত্যা চালাতো ভোট চোর হাসিনার ক্ষমতা বাঁচাতে।কামালের কথাই এমনটাই মনে হচ্ছে। আর কামাল কে বলবো বয়স হয়েছে এখন আল্লাহর পথে ফিরে আসেন অযথা উস্কানীমূলক কথাবার্তা বলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলবেন না।
No remorse and no apology, what are these Kamals are made of?
১৪,১৮,২৪ তে কি তোমরা নির্বাচন করেছিলে?এখন নির্বাচনের কথা বল কোন মুখে।আর গণহত্যার দায় তো তোমাদেরকে নিতে হবে।
অনেক দেখেছি, এবার দেশে আয়, তারপর….
শত শত মানুষ মেরে এবং দেশের অর্থ লুটপাট করে ভিখারি বানিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আপনাদের সময় মিডিয়ায় ভয়ে কেউ টু শব্দটাও করতে পারে নি। এমন আইন বানিয়েছিলেন যে আপনাদের সামান্য সমালোচনা করতেও কেউ সাহস দেখাত না। ভয়ংকর আয়নাঘর বানিয়ে মানুষকে নরক যন্ত্রণা দিয়েছেন। মানুষের এই যন্ত্রণা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। এতোটাই নির্মম আর নিষ্ঠুর ছিলেন আপনারা। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ আর আপনার দলের সন্ত্রাসীরা কুকুরের মত গুলি করে মানুষ মেরেছেন। লাশগুলো পুড়িয়ে দিয়েছেন। আপনারা কতটা নির্মম আর ভয়ংকর ছিলেন । ক্ষমতায় লোভে আপনারা কতটা অমানুষ হয়েছেন তা ভাবতেও ভয় লাগে। বাংলার মাটিতে আপনাদের বিচার হতেই হবে। এই দেশকে ৩৯০ ডিগ্রিতে ! বদলে দেয়া হবে। প্রমাণিত হয়েছে আপনারা এই দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার রাখেন না। অযোগ্য। তাই দেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। আপনাদের মতো খুনিদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। দেশকে মুক্ত করেছে। এই দেশে আর আপনাদের ঠাঁই হবে না। আপনারা ক্ষমতার মোহে একদম অন্ধ হয়ে গিয়েছেন। ক্ষমতা চিরকাল থাকে না তা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ? কেবল লুটপাট ও খুনখারাপি ছাড়া দেশের জন্য আপনারা কিছুই করেন নি। ক্রস ফায়ারের নামে শত শত মানুষ হত্যা করেছেন। আমি নিজে একজন আওয়ামী লীগের সাপোর্টার ছিলাম। জীবনের প্রথম ভোটটা আমি নৌকা মার্কায় দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কাছে সত্যের চেয়ে ব্যক্তি বড়ো না কখনোই। তা-ই আমি চাই প্রতিটি হত্যার জন্য আপনাদের বিচার হোক। এবং একই সাথে আওয়ামী লীগ চিরতরে নিষিদ্ধ করা হোক। অন্যদিকে প্রফেসর ইউনুস আমার কাছে যোগ্য লোক মনে হয়েছে ।
এই খুনির ইন্টারভিউ প্রচারের দরকার ছিলো না।
কি একটি প্যাথলজিক্যাল মিথ্যাবাদী? বিটিডব্লিউ, ভারত/র-এর দালাল আওয়ামী লীগ দ্বারা আমাদের জাতি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর না; আমাদের দেশে শিগগিরই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে।
একটা নিম্ন মানের চাঁদাবাজ এর বক্তব্য
পলাতক খুনীরা ভারত সরকারের খরচে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতে বসবাস করছেন। ভারত আর আপা ইংগিত দিলেই ফের বদমাইশিতে নেমে পড়বেন ।
ভারত নির্ভর রাজনীতি ও দেশের মানুষকে শাসন শোষন করতে গিয়ে গুষ্টি শুদ্ধা পালিয়ে গিয়েও এদের শিক্ষা হয়নি এখনও এরা ভারতের উপর ভর করে বাংলাদেশে পুনর্বাসনের আশা করে। শেখ হাসিনার দল ও সরকারকে গনবিরুধী বানানোর পেছনে এই কামালের অনেক অবদান আছে
?
টাকা লুট করার কোন কাহিনী তো শুনলাম না!