অনলাইন
সহযোগীদের খবর
বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৭১%
অনলাইন ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরেনাম ‘বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৭১%’। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগে (এফডিআই) বড় ধরনের পতন হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে গত অর্থবছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় নিট বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ৭১ শতাংশ, যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিনিয়োগ কমার পেছনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা।
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই দেশজুড়ে ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তৈরি হয় নতুন পরিস্থিতি। এর পরও কাটেনি অস্থিরতা, নানা দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন বারবারই পথে নেমেছে। শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে বিনিয়োগের কোনো পরিবেশ নেই। গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের ধারাবাহিকতার কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
তা ছাড়া বিনিয়োগের বাধার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাংকের উচ্চ সুদহার। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ছে বেকারত্বের হারও। নতুন বিনিয়োগে যাচ্ছেন না দেশীয় বিনিয়োগকারীরা। তাঁদের মতো নতুন বিনিয়োগকারীরাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
দেশের মোট এফডিআইয়ের ৯০ শতাংশের প্রতিনিধিত্বকারী ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার কালের কণ্ঠকে বলেন, “দুই-তিন বছর ধরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল ছিল। এতে বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস কমে যায়। দেশের মাটিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁরা নিরুৎসাহিত হয়েছেন। ফলে এখন তাঁরা বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকছেন।
পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা বিনিয়োগের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছেন। বলা যায়, ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি গ্রহণ করেছেন। ঘন ঘন নীতির পরিবর্তন বিদেশি বিনিয়োগ কমার অন্যতম কারণ।”
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত দুই অর্থবছর ধরেই সামষ্টিক অর্থনীতির কিছু বিষয়ে সমস্যা সৃষ্টি করেছে। এই সমস্যাগুলোর মধ্যে মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়া, ডলারের বাজারে অস্থিতিশীলতার কারণে মূলধন কমে যাওয়া এবং আমদানিতে প্রভাব পড়া অন্যতম। এসবের সঙ্গে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে অভ্যুত্থান-পরবর্তী অস্থিরতা যোগ হয়। ফলে উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটে এবং সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়। সব মিলিয়ে আপাতত বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক কমে গেছে।’
১১ বছরে সর্বনিম্ন বিনিয়োগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে দেশে নিট সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ গত অর্থবছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় প্রায় ৭১ শতাংশ কমেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বিদেশ থেকে সরাসরি বিনিয়োগ আসে ৯৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আর এ সময় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৮৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার নিয়ে গেছেন। তাতে নিট বিনিয়োগ দাঁড়ায় ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বিদেশ থেকে সরাসরি বিনিয়োগ আসে ৯০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এ সময় আগের বিনিয়োগের অর্থ পরিশোধ হয় ৫৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সে হিসাবে তখন নিট বিনিয়োগ দাঁড়ায় প্রায় ৩৬ কোটি ডলার। এতে এক বছরের ব্যবধানে বিনিয়োগ কমেছে ২৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার বা ৭১ শতাংশ।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিক এপ্রিল থেকে জুন সময়ে নিট বিনিয়োগ ছিল ২৭ কোটি ২২ লাখ ডলার। সে সময় ১০৮ কোটি ডলার দেশে এলেও আগের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পরিশোধ হয় ৮১ কোটি ১০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে আগের প্রান্তিকের চেয়ে চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে নিট বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৬১.৭৪ শতাংশ।
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘সাবেক ২৪ এমপির গাড়ি নিলামে’। খবরে বলা হয়, দ্বাদশ সংসদের সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা বাতিল হওয়ার পর গত পাঁচ মাসে মাত্র একজনই শুল্ক–কর দিয়ে একটি গাড়ি খালাস করেছেন। দুই দফা চিঠি দেওয়ার পরও আমদানি করা অন্য গাড়িগুলো খালাস নেননি সাবেক সংসদ সদস্যরা (এমপি)। এসব গাড়ির ২৪টি আগামী সপ্তাহে নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
এসব গাড়ি আমদানিতে সাবেক সংসদ সদস্যরা ৯৫ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন। সব মিলিয়ে গাড়ি কেনা বাবদ সবাই মিলে খুইয়েছেন প্রায় ২৩ কোটি টাকা। এই টাকা তাঁরা আর ফেরত পাচ্ছেন না। এখন কাস্টমস নিলামে তুলে বিক্রি করে যা পাবে, তা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।
গাড়িগুলোর সংরক্ষিত মূল্য (শুল্ক–করসহ) ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে কাস্টমস। প্রথম নিলামে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি সর্বোচ্চ দরদাতা এই গাড়ি কিনতে পারবেন। এই হিসাবে প্রতিটি গাড়ি কিনতে ন্যূনতম ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা দর দিতে হবে। ২৫ শতাংশ করসহ এই গাড়ির সর্বনিম্ন দাম পড়বে ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সংসদ সদস্যের মেয়াদে শুল্কমুক্ত সুবিধায় খালাস হওয়া একেকটি গাড়িতে অগ্রিম আয়কর বাবদ ৪ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা রাজস্ব পেয়েছে সরকার। এখন প্রথম নিলামে বিক্রি করা গেলে একেকটি গাড়িতে সোয়া ৭ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। এ হিসাবে গাড়িগুলো থেকে ১৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের আশা রয়েছে।
সাইদুল ইসলাম জানান, আগামী রোববার থেকে সাবেক সংসদ সদস্যদের ২৪টি গাড়ি অনলাইন নিলামে তোলা হবে। আগ্রহী দরদাতারা এসব গাড়ি সরেজমিন দেখতে পারবেন ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি। নিলামপ্রক্রিয়া শেষ হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। দেশের যেকোনো স্থান থেকে যে কেউ অনলাইনে এই নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
কয়েকটি ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্যদের গাড়িগুলো নতুন মডেলের। নতুন গাড়ি আমদানির অর্ডার (ঋণপত্র খোলার) দেওয়ার পরই গাড়ি নির্মাণ শুরু করেছিল জাপানের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা। ন্যূনতম তিন থেকে চার মাসে এসব গাড়ি তৈরি করা হয়। অর্থাৎ নিজেদের পছন্দমতো মডেলের গাড়ি আনার পর এখন তা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
যুগান্তর
‘রাতের ভোটের কুশীলবরা কোথায়’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, নৈশভোটের কারণে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবার সেই নির্বাচনের ‘কুশীলবদের’ সম্পর্কে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে রাতের ভোটের হোতা হিসাবে চিহ্নিত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার অন্যতম বেশির ভাগ সহযোগী এখন পলাতক। আবার অনেকেই গ্রেফতার হয়ে কারাবন্দি। তবে ২০১৮ সালের ওই ভোট কারচুপি পরিচালনায় মাঠের দায়িত্বে থাকা ১১৬ জন ডিসি-এসপির বেশির ভাগ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। চাকরিতেও আছেন বহাল। দুদকের পাঁচ সদস্যের একটি টিম এদের সম্পর্কে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। সংগ্রহ করা হচ্ছে তাদের আয়কর নথি।
অনেকের বিপুল অবৈধ সম্পদও পাওয়া গেছে। তবে নৈশভোট সম্পন্ন করতে মাঠ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা থানার অফিসার ইনচার্জরা (ওসি) আছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। সে সময় থানার ওসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদেরও অনুসন্ধানের আওতায় আনা দরকার বলে জনিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধমূলক অসদাচরণ, জাল-জালিয়াতি, দিনের ভোট রাতে করা এবং আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সংসদ-সদস্য নির্বাচনের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। পাঁচ সদস্যের একটি টিম এ-সংক্রান্ত কাজ করছে। অনুসন্ধান শেষে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
সমকাল
দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম ‘সরকারি চাকুরেরা আপাতত পাচ্ছেন না মহার্ঘ ভাতা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আপাতত পাচ্ছেন না মহার্ঘ ভাতা। জানুয়ারি থেকেই এ ভাতা কার্যকরের যে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, অর্থনীতির বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতিতে সেখান থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন হলে রাশ টানা যেত না মূল্যস্ফীতির, সমাজে দেখা দিত বৈষম্য– এমন শঙ্কায় সব মহল থেকে সরকারের এ উদ্যোগ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ পটভূমিতে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে মহার্ঘ ভাতা থেকে কিছুটা পিছিয়েছে সরকার। তবে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এলে নতুন অর্থবছরের বাজেটে বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য ঠিক রেখে মহার্ঘ ভাতার অর্থ সংস্থান করা সরকারের জন্য বেশ কঠিন। তবু অন্য খাত থেকে টাকা কাটছাঁট করে ভাতা দেওয়ার খসড়া চূড়ান্ত করেছিল অর্থ বিভাগ। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বিষয়টিতে সায় না দিয়ে মহার্ঘ ভাতার নথি ফেরত পাঠিয়েছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আপাতত এ ভাতা দেওয়া সমীচীন হবে না। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি ফের বিবেচনা করা যেতে পারে।
সূত্র জানায়, সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ। তবে ইতোমধ্যে পাওয়া সরকারি চাকরিজীবীর বাড়তি ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বাদ দেওয়ার সুপারিশও করা হয়। অর্থ বিভাগের হিসাবে এটি বাস্তবায়নে এক অর্থবছরে বাড়তি খরচ হবে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
ইত্তেফাক
‘বাংলাবাজার ও শেরপুর থেকে বিনা মূল্যের ২৪ হাজার পাঠ্যবই উদ্ধার, আটক ৩’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা দেশে স্কুলে পাঠ্যপুস্তকের জন্য হাহাকার চলছে। অথচ খোলা বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে সরকারি বই। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বিতরণের বই খোলাবাজারে বিক্রি ও মজুতের সঙ্গে জড়িত চক্রের তিন জনকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে গত দুই দিনে ২৪ হাজার পাঠ্যবই জব্দ করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, অবৈধ মজুতদারেরা বছরের শুরুতে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টাকে নস্যাত্ করতে এবং অবৈধ উপায়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে এসব বই মজুত করে বিক্রি করে আসছিলেন। আটককৃতদের দেওয়া তথ্যে চক্রের আরো বেশ কয়েক জন সদস্যের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারে ডিবির তত্পরতা অব্যাহত রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় ২০টি অসাধু ছাপাখানার মালিক বেশি মুনাফা পেতে পাঠ্যবই সরকারকে না দিয়ে বাইরে বিক্রি করেছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে প্রতিটি পাঠ্যবই ছাপাতে খরচ হয় ৩০ থেকে ৫০ টাকা। সেগুলো বিক্রি করা হয় ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। আর দোকানে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকায়। অসাধু ছাপাখানার মালিকদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। এদিকে কালোবাজারিতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই বিক্রিতে জড়িত এক শ্রেণির উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। তারা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে বরাদ্দে বেশি বই গ্রহণ করেছেন। এরপর বাড়তি বইগুলো অধিক মূল্যে বিক্রি করেছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এক শ্রেণির প্রধান শিক্ষকও এই সিন্ডিকেটে জড়িত। সারা দেশ থেকে আসা সেসব বই রাজধানীর নীলক্ষেত ও বাংলাবাজারে বিভিন্ন বইয়ের দোকানে বিক্রি হচ্ছে। প্রাথমিকের প্রতি শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পাঠ্যবইয়ের প্যাকেজ বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়। আর মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির পাঠ্যবই প্যাকেজ সাড়ে ৪ হাজার টাকায় ক্রয় করা যাচ্ছে। সন্তান লেখাপড়ায় পিছিয়ে যাবে, এ দুশ্চিন্তা থেকে অনেক অভিভাবক এসব বই দোকান থেকে কিনছেন বেশি টাকা দিয়ে। জানা গেছে, অসাধু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে এনসিটিবি।
নয়া দিগন্ত
দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর ‘সংবিধানের একটি অনুচ্ছেদই বাধা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধান বিচারপতির দফতর থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকেও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ যেভাবে আছে, সেভাবে রেখে পৃথক সচিবালয় বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচারবিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতি দান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃক্সক্ষলাবিধান রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সুপ্রিম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হইবে।’ সংবিধানের এই ১১৬ অনুচ্ছেদ চ্যালেঞ্জ করে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুলের শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী এসব যুক্তি তুলে ধরেন।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির আদালতে বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বড় বাধা। এই অনুচ্ছেদটিকে যদি অসাংবিধানিক ঘোষণা না করা হয়, তা হলে বিচার বিভাগকে পরিপূর্ণ স্বাধীন করার যে পরিকল্পনা তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এই বিচার বিভাগের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা বলতে বুঝায় তার একটি পৃথক সচিবলায় প্রতিষ্ঠা করা। তাদের বদলি, পদোন্নতি, ছুটি এবং শৃঙ্খলা সব কিছুই সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত থাকবে। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে এখন এটি রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত আছে। যদি সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যাস্ত করা যায় তাহলে নিম্ন আদালতের বিচারকদের ওপর সরকারের যে নিয়ন্ত্রণ আছে তা থাকবে না।
আইন মন্ত্রণালয় অতীতে অধস্তন আদালতের বিচারকদের যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে, রায় দেয়ার ক্ষেত্রে, তারিখ দেয়ার ক্ষেত্রে, সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে, বদলি করার ক্ষেত্রে, রায় দিলে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি পাঠিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে, এই সব ধরনের অসাংবিধানিক ও স্বাধীনতাবিরোধী যে কর্মকাণ্ড তাদের ওপর করা হয় তা থেকে তাদেরকে মুক্ত করে দেয়া প্রয়োজন। এখানে অনেক মেধাবী অফিসার আছেন, অনেক যোগ্য ব্যক্তি আছেন। যোগ্য ব্যক্তিকে যদি স্বাধীনতা দেয়া হয় তাহলে তারা স্বাধীনভাবে বাংলাদেশের জন্য, বিচার বিভাগের জন্য কাজ করতে পারবেন।
বণিক বার্তা
‘ভাগ্যবান’ ঋণখেলাপি আব্দুল আজিজ আবারো সক্রিয় বিনোদনজগতে-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের শীর্ষ ঋণখেলাপিদের অন্যতম ক্রিসেন্ট গ্রুপের আব্দুল আজিজ। বাংলা সিনেমা জগতের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধারও তিনি। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জনতা ব্যাংক, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলায় ব্যাংকের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও আব্দুল আজিজ থেকে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। আদালতের পক্ষ থেকে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলে কার্যকর হয়নি সেটিও। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন শীর্ষ এ ঋণখেলাপি।
ব্যাংক ও চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আব্দুল আজিজ হলেন দেশের ‘ভাগ্যবান’ ঋণখেলাপি। দেশের বড় ঋণখেলাপিদের বেশির ভাগই হয় কারাগারে গিয়েছেন, নয়তো দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্তু এ তালিকার শীর্ষস্থানীয়দের অন্যতম হয়েও আব্দুল আজিজ সব সময় ক্ষমতার কেন্দ্রে থেকেছেন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে দহরম-মহরম ছিল তার। জনতা ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ বের করতে চলচ্চিত্র জগতের নায়ক-নায়িকাদের ব্যবহার করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আবার গ্রেফতার এড়ানো বা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষেত্রেও এখন একই পদ্ধতি অনুসরণ করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঋণখেলাপের ঘটনায় গত কয়েক বছর কিছুটা চাপে থাকার পর সম্প্রতি আবারো চলচ্চিত্র অঙ্গনে সরব হওয়ার চেষ্টা করছেন আব্দুল আজিজ। জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত সিনেমায় অভিনয় করা নায়িকাদের সঙ্গে বিভিন্ন আড্ডায় দেখা যাচ্ছে তাকে। গতকাল ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করেন আব্দুল আজিজ। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমরা এখন ছোট না’।
আজকের পত্রিকা
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘লুটপাটে গায়েব ভর্তুকির টাকা’। খবরে বলা হয়, কর্মকর্তাদের দুর্নীতিতে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকার ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প’। যন্ত্র কেনার জন্য কৃষককে প্রদেয় ভর্তুকির টাকার বড় অংশ হয়েছে লুটপাট। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পটি শেষ হবে চলতি বছরের জুনে। তবে দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে এটি আর এগিয়ে নিতে আগ্রহী নন কর্মকর্তারা। তাই ব্যয় না করেই প্রকল্পে বরাদ্দ করা প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়েছেন তাঁরা।
বাণিজ্যিকীকরণ ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক করে তোলার উদ্দেশ্যে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল সরকার। এই প্রকল্পে উন্নয়ন সহায়তার (ভর্তুকি) মাধ্যমে কৃষকদের ১২ ধরনের ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষিযন্ত্র দেওয়ার কথা। কৃষিযন্ত্র কেনার জন্য হাওর ও উপকূলীয় এলাকার কৃষকদের ৭০ শতাংশ এবং অন্য সব এলাকার কৃষকদের ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়ার কথা রয়েছে।
মাঠপর্যায়ের তথ্য থেকে জানা গেছে, বহু প্রকৃত কৃষক এ ভর্তুকির ছিটেফোঁটাও পাননি। টাকা জমা দিয়ে যন্ত্রের অপেক্ষায় বসে থাকার নজির যেমন আছে, তেমনি আছে কৃষি পেশার বাইরের লোককে যন্ত্র দেওয়ার ঘটনা। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকল্পের মোটা অঙ্কের ভর্তুকির সুবিধায় ভাগ বসিয়েছে তিনটি চক্র। চক্র তিনটি হচ্ছে অসাধু কৃষি কর্মকর্তা, যন্ত্র সরবরাহকারী বিভিন্ন কোম্পানি এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের দালাল। এই দালালেরা মূলত তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের সুপারিশে উপজেলা কর্মকর্তারা কৃষকদের নাম সুবিধাভোগীর তালিকাভুক্ত করেন। ঘুষ হাতবদল হয়েছে তাঁদের মাধ্যমে। অনেক সময় দালালেরা নিজেদের নামেই ভর্তুকিতে যন্ত্র কিনে বাইরে অনেক বেশি দামে বিক্রি করে দিয়েছে। এমনকি একই যন্ত্র একাধিকবার বিক্রি করে বারবার ভর্তুকি নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে এই প্রকল্পে। কৃষিযন্ত্র নষ্ট হলে কোম্পানিগুলো বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অনেক কৃষক।
দেশ রূপান্তর
নির্বাচন নিয়ে কাছাকাছি ইসি-রাজনৈতিক দল!-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা রয়েছে। বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো যারা গত ১৪-১৫ বছর রাজপথে আন্দোলন করেছে, তারা চলতি বছরেই নির্বাচন চাইছে। তারা ন্যূনতম সংস্কার শেষেই নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সরকারের দিক থেকে নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ উল্লেখ করা না হলেও এ বছরের শেষ দিকে বা আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন হওয়ার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আব্দুর রহমানেল মাছউদ আসছে ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীতে এক মতবিনিময় সভায় ব্যালটে ভোট করার কথাও বলেছেন তিনি।
এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো ও নির্বাচন কমিশন নির্বাচন নিয়ে অনেকটা কাছাকাছি এসেছে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদসহ অনেকে। এ বিষয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এটা শুভ লক্ষণ। সরকার ও কমিশন চাইলে নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলো এতে আপত্তি করবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর নিয়মিত যোগাযোগ থাকলে দূরত্ব তৈরি হয় না। দূরত্ব তৈরি হলে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকে।’
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য তিন-চার মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।’ তিনি বলেন, ‘যদি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অন্তর্র্বর্তী সরকার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকতে চান, তাহলে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে সমুন্নত রাখতে আগামী ৫ আগস্টেই সংসদ নির্বাচন করতে পারে।’ তিনি সরকারের প্রতি এমন আহ্বান জানালেও বিএনপি চায় চলতি বছরের মধ্যেই নির্বাচন।