খেলা
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা না পাওয়া ক্রিকেটারদের ছন্দে থাকা স্বস্তি দিচ্ছে নির্বাচকদের
স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২২ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বাদ পড়লেন আগের দিন, পরদিন রাতে লিটন কুমার দাস করলেন বিস্ফোরক এক সেঞ্চুরি। শুধু লিটন নয়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে থাকতেও পারতেন এমন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারই বিপিএলে আলো ছড়াচ্ছেন। হাসান মাহমুদ, শেখ মেহেদীরা পারফর্ম করছেন নিয়মিত। দলের বাইরে আছেন কিন্তু দলে থাকতে পারতেন এমন ক্রিকেটারদের ছন্দে থাকাকে স্বস্তি হিসেবে মানছেন নির্বাচকরা। ২০২৪ সালটা পারলে ভুলে যেতে চাইবেন লিটন। সব সংস্করণেই রান খরায় ভুগেছেন তিনি। বিশেষ করে ওয়ানডেতে যেন রান করাই ভুলে গেছেন। বিপিএলেও প্রথম কয়েক ম্যাচে রান পাননি, বাদ পড়েছেন একাদশ থেকেও। স্বাভাবিকভাবেই বাদ পড়েছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে। তবে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েই যেন টনক নড়ে লিটনের। এরপর ৩ ম্যাচে ১টি ফিফটি ও ১টি সেঞ্চুরি আসে ঢাকা ক্যাপিটালসের এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। প্রথম ৩ ইনিংসে রান না পাওয়া লিটন পরের ৪ ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করছেন। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৭৩ দিয়ে রানে ফেরেন তিনি। এরপর দুর্দান্ত রাজশাহীর বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৫ বলে ১২৫ রানের টর্নেডো সেঞ্চুরি। পরের ম্যাচে ১৩ রান করার পর সোমবার সিলেটের বিপক্ষে করেন ৭০ রান। এতেই ৩২৩ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় লিটন উঠে এসেছেন ৩ নম্বরে। শীর্ষে থাকা এনামুল হক বিজয়ের রান তার চেয়ে মাত্র ২২ বেশি। বিজয়ও এবারের আসরে দারুণ ছন্দে আছেন। শুরু থেকেই রাজশাহীকে সামনে থেকে নেতৃতে দিচ্ছিলেন তিনি। যদিও তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে দলটি। তবে ৩৪৫ রান করা এই ব্যাটারই আসরের সেরা ব্যাটার। ২টি ফিফটি আর ১ সেঞ্চুরি আছে তার। এ ছাড়া ৮ ম্যাচে ২৯৮ রান করা জাকির হাসানের দিকেও চোখ আছে নির্বাচকদের। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের টপ অর্ডারে থাকবেন সৌম্য সরকার, তানজীদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে দলের বাইরে থাকা লিটন-বিজয়দের এমন ছন্দে থাকা স্বস্তি দিচ্ছে নির্বাচকদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নির্বাচক বলেন, ‘ওরা আমাদের কাজ সহজ করে দিচ্ছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যদি কেউ চোটে পড়ে বা আর্জেন্ট কাউকে বদলি করতে হয় তাহলে আমাদের খুব বেশি ভাবার প্রয়োজন হবে না। কারণ, বিকল্প হিসেবে যাদের ভাবা হচ্ছে, লিটন-বিজয় সবাই ছন্দে আছে। এটা আমাদের জন্য
দারুণ বিষয়।’ বোলিংয়ে আলোচনা হচ্ছে হাসান মাহমুদকে নিয়ে। অনেকের মতেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তার না থাকা স্রেফ দুর্ভাগ্যজনক। হাসান অবশ্য বিপিএলে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছেন। গেল ম্যাচেও রাজশাহীর বিপক্ষে শেষ ওভারে ১০ রান আটকে দিয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে ৭ ম্যাচে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৮ ম্যাচে ৯ উইকেট আছে স্পিনার শেখ মেহেদীর। নতুন বলে প্রতিপক্ষকে পাওয়ার প্লে ব্যবহার না করতে দেয়ার জন্য দলের অন্যতম ট্রাম্পকার্ড হয়ে উঠছেন এই স্পিনার। এ ছাড়া এনসিএল টি-টোয়েন্টির পর বিপিএলেও ফর্ম ধরে রেখেছেন আবু হায়দার রনি। ৭ ম্যাচে তার শিকার ১৩ উইকেট।