অনলাইন
জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের সাক্ষাৎ
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ২০ জানুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ৬:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের নির্বাচনী চাহিদা মূল্যায়ন মিশনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দরা। সোমবার ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়ে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎ শেষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, জাতিসংঘের নির্বাচনী চাহিদা মূল্যায়ন মিশনের আমন্ত্রণে আজ আমরা এখানে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছি। তারা কয়েকটি বিষয়ের ওপর জানতে চেয়েছে যে, ইলেকশনে ইউএনডিপি কী ধরনের সহযোগিতা করতে পারে এবং স্বচ্ছ-ফেয়ার ইলেকশন হওয়ার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেয়া দরকার এবং সে ব্যাপারে আমরা কী ভাবছি। এসকল বিষয়ে তারা কথা বলেছে এবং ইউএনডিপির এ মিশনকে আমরা ওয়েলকাম করি কি-না। আমরা বলেছি, যে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আমরা ওয়েলকাম করি সহযোগিতার জন্য। তবে ইন্টারফেয়ার করার জন্য নয়।
তিনি বলেন, উইদাউট ইন্টারফেয়ার-এ যদি আমাদের টেকনিক্যাল এবং ফান্ডিং এর ব্যাপারে সহযোগিতা করে সেটার জন্য আমরা বলেছি, ইউ আর ওয়েলকাম। ইলেকশন ফেয়ার হওয়ার ব্যাপারে আমরা আরেকটি কথা বলেছি, প্রত্যেক কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা সংযোগ করার জন্য। কারণ সিসি ক্যামেরা থাকলে ইলেকশনের সার্বিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে। এখানে হিউজ ফান্ডের কথা আসছে। আমরা বলেছি, এক্ষেত্রে তোমরা আমাদের সহযোগিতা কর। ইলেকশন ফেয়ার করার জন্য এটা বড় ধরনের সহযোগিতা হবে। তারা পার্টিসিপেটরি ইলেকশনের ব্যাপারে জানতে চাইলে আমরা বলেছি, আমরা নীতিগতভাবে পার্টিসিপেটরি, ফেয়ার, অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। এটা আমাদের মূলনীতির ভেতরেই আছে।
মো. তাহের বলেন, তারা বলেছে নির্বাচনের তারিখ কখন হতে পারে? আমরা বলেছি, এ্যাজ আরলি এ্যাজ পসিবল টাইম-এ সম্ভব। তবে এখানে কিছু জরুরি রিফর্মস প্রয়োজন। উইদাউট রিফর্মস-এ যদি ইলেকশন হয়, তবে ইলেকশন আগের মতই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জরুরি রিফর্মস করা এবং ইলেক্টরাল ল’ চেঞ্জ করা যেটা ইলেকশনকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বেশি অথরিটি দেবে, আমরা সেটার ওপর জোর দিয়েছি। সাংবিধানিক মৌলিক পরিবর্তন আনা দরকার বলেছি। আমরা বলেছি, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী কন্টিনিউ করতে পারবে না। প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। এসকল বিষয়েও রিফর্মস হওয়া দরকার বলে আমরা জানিয়েছি। এক্ষেত্রে রিফর্মস কমিশন যেসব প্রস্তাব জমা দিয়েছে আমরা মনে করি সেগুলোকে নিয়েই সরকারের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অনতিবিলম্বে ডায়ালগ শুরু করা দরকার। ডায়ালগ শেষ করেই কনসেসাস তৈরি করা প্রয়োজন মৌলিক বিষয়গুলোতে। এরপর ইলেকশন শুরু করার জন্য যে সময় দরকার তার ভিত্তিতেই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করা দরকার।
জাতিসংঘ মিশনের পক্ষে ছিলেন সাক্ষাতে রাজনৈতিক বিষয়ক কর্মকর্তা সারা পিট্রোপাওলি, আদিত্য অধিকারী, ডিজিটাল যুগে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়ায় (ইউএনডিপি) উপদেষ্টা নাজিয়া হাশেমি উপস্থিত ছিলেন।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন সাক্ষাতে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
জামায়াতে ইসলামীর উচিৎ সরকার গঠন করতে প্রস্তুতি থাকা, কারণ জামায়াতে ইসলামী ছাড়া বাংলাদেশে সচ্ছ কোন দল নাই যারা বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খা পুরন করতে পারে। জনগণ জামায়াতে ইসলামীর উপর ভরসা করছে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মানে জন্য। কারণ অন্য সব দল দূর্নীতিগ্রস্থ ও প্রমানিত।
আমরা জামায়াতে ইসলামীকে ওয়েলকাম জানাই। দলীয় কোন্দলের ঊর্ধ্বে একমাত্র দল জামায়াত। দলের নেতৃত্ব বাছাই এবং সকল কার্যক্রম পরিচালনায় গনতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় জামায়াতে। বহু বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে জনগণের মাঝে সাড়া জাগাতে জামায়াত সক্ষম হয়েছে। জনগণ আগামী নির্বাচনে জামায়াতকে নিয়ে ভাবছে। মানুষ বিশ্বাস করে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে জামায়াতে ইসলামীকে সুযোগ দেয়া উচিত। তাই আমরা জামায়াতকে ওয়েলকাম জানাই।