রাজনীতি
জিয়াউর রহমান রাজনীতিবিদ হিসেবে সফল: তারেক রহমান
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাজনীতিবিদ হিসেবে সফল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান রাজনীতিবিদ হিসেবে সফল ছিলেন বলেই আজকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে এত বছর পরেও আমরা মানুষের মাঝে ধরে রাখতে পেরেছি।
শনিবার রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) উদ্যোগে 'শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান: যার গল্প আমাদের দর্শন' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দুই পর্বের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । প্রথম পর্বে ঢাকার শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং শিশু-কিশোরদের নিয়ে জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে গল্প বলা অনুষ্ঠান হয়। একইস্থানে দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি আরও যুক্ত ছিলেন জেডআরএফের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. জুবাইদা রহমান।
জিয়াউর রহমানের প্রতি স্মৃতিচারণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একজন সৈনিকের কমিটমেন্ট হচ্ছে দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি, দেশের মাটির প্রতি, দেশকে রক্ষা করা, দেশের মানুষকে রক্ষা করা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। আমরা দেখেছি, যখন দেশকে রক্ষা করার সময় এসেছে, দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়ার সময় এসেছে, যখন দেশের মানুষকে রক্ষা করার সময় এসেছে শত্রুর কবল থেকে, আমরা দেখেছি, যখন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার সময় এসেছে- সেই সময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা যারা ছিলেন তাদেরকে (জিয়াউর রহমান) ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে আসার জন্য মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলেন। একজন সৈনিক হিসেবে যে দায়িত্ব, সেই দায়িত্ব সর্বোচ্চটা তিনি পালন করেছেন। আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধ করে সকলে মিলে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন।
তারেক রহমান বলেন, আমি বিশ্বাস করি যেহেতু উনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ছিলেন, আগামীতে যারা সশস্ত্র বাহিনীতে আসবেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও দেশের মাটিকে রক্ষা করার শপথ নিয়ে যারা আসবেন তাদেরকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কাজগুলো উজ্জীবিত করবে এবং সাহস যোগাবে।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, উনি যখন রাজনীতিবিদ হিসেবে কাজ শুরু করলেন, উনি কিন্তু ঢাকার মধ্যে বসে থাকলেন না। একজন রাজনীতিবিদের কাজ হচ্ছে দেশের মানুষকে সহযোগিতা করা, মানুষের কাছে উনি ছুটে গিয়েছেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন, মানুষের সমস্যা জানতে চেয়েছেন, সেভাবে উনি সমস্যা সমাধান করেছেন।
সভায় জিয়াউর রহমানকে নিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। কবিতাটি হল- তুমি গণতন্ত্রের প্রতীক। জনতার অধিকারের অতন্দ্র প্রহরী তুমি। অসাধারণ সাহসী মূর্তি। তুমি নেতা, তুমি কঠোর পরিশ্রমী, দিন কেটেছে তোমার সবার চিন্তায় বিরামহীন। তুমি সূর্যরশ্মি, চাঁদের আলোর মতো। তাই আজ বহুদূরে থেকেও আমরা তোমার আলোয় আলোকিত। তুমি বিদ্রোহী, তুমি আশার আলোর আরোহী। তুমি বিজয়ী, তুমি মৃত্যুঞ্জয়ী, তুমি স্বাধীনতা।
অধ্যাপক নাসরিন সুলতানার পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।
পাঠকের মতামত
বেশি প্রশংসা ভালো নয়। কে কি করেছে, এদেশের জনগন অবহিত ! এই কারণেই দেশে মুরাল ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা।