ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বজমিন

কাবুলে ড্রোন হামলা চালিয়ে আল-কায়দা প্রধান জাওয়াহিরিকে হত্যা করলো যুক্তরাষ্ট্র

মানবজমিন ডেস্ক

(১ বছর আগে) ২ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবার, ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩৩ অপরাহ্ন

mzamin

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি। এ খবর নিশ্চিত করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রোববার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালিত এক ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন। তাকে হত্যার খবর নিশ্চিত করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, জাওয়াহিরির বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের হত্যা ও সহিংসতার প্রমাণ রয়েছে। এখন ন্যায় বিচার হয়েছে এবং এই সন্ত্রাসী নেতা আর নেই। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে জানানো হয়, জাওয়াহিরি মূলত তার একটি সেফ হাউজে পালিয়ে ছিলেন এবং সেখানে হামলা চালিয়েই তাকে হত্যা করা হয়। তাকে টার্গেট করে পরপর দুটি মিসাইল চালানো হয়। এতে তার বাড়ির বারান্দা ধ্বংস হয়ে যায়। হামলার সময় তিনি বারান্দায় অবস্থান করছিলেন। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, হামলার সময় জাওয়াহিরির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সে বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন
কিন্তু তাদের কোন ক্ষতি হয়নি।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, ৭১ বছর বয়সী জাওয়াহিরিকে হত্যার জন্য হামলা করতে তিনি অনুমোদন দিয়েছিলেন। এজন্য কয়েকমাস ধরে পরিকল্পনা করা হয়। জাওয়াহিরিকে হত্যার মধ্য দিয়ে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলায় নিহতদের পরিবার বিচার পেলো। বাইডেন আরও বলেন, তাকে হত্যা করতে কত বছর লেগেছে সেটা বড় বিষয় নয়, কোথায় লুকিয়ে ছিল সেটাও কোন ব্যাপার নয়। কিন্তু কেউ যদি মার্কিন জনগণের জন্য হুমকি হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে খুঁজে বের করবে। 

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার সময় তালেবানের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে যে, কাবুলের একটি আবাসিক এলাকায় মার্কিন ড্রোন হামলা হয়েছে। তিনি এই আক্রমণকে আন্তর্জাতিক নীতির পরিষ্কার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন।

আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন এবং আল-জাওয়াহিরি এক সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের আক্রমণের পেছনেও দুজনেরই হাত ছিল। বিবিসি জানিয়েছে, আল-জাওয়াহিরি মিশরের ‘ইসলামি জিহাদ’ নামক জঙ্গি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে আল-কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে। এরপর থেকে আয়মান আল-জাওয়াহিরি আল-কায়েদার প্রধান হন। তার আগে আল-জাওয়াহিরিকে ওসামা বিন লাদেনের ডান হাত আর আল-কায়েদার মূল চিন্তাবিদ বলে গণ্য করা হত।
এদিকে আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, আল-জাওয়াহিরিকে আশ্রয় দেয়ায় তালেবানকে দায়ি করছে যুক্তরাষ্ট্র। তালেবান চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, দোহায় তালেবানের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল এবং পরবর্তীতে বিশ্বকে তালেবান বারবার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। তারা বলেছিল, আফগানিস্তানে কোনো সন্ত্রাসীকে তারা আশ্রয় দেবে না। 
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ওয়াশিংটন এবং তালেবান একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তি অনুযায়ীই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়। অপরদিকে তালেবান প্রতিশ্রুতি দেয় তারা আল-কায়দা ও ইসলামিক স্টেটের মতো জিহাদি গোষ্ঠীগুলোকে আফগানিস্তানের মাটিতে আশ্রয় দেবে না। তালেবানের আশ্বাস পেয়ে ২০২১ সালের ৩১শে আগস্ট দেশটি ছেড়ে আসে বিদেশী সেনারা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আল-কায়দাকে আফগানিস্তানের মাটিতে আশ্রয় দিয়ে তালেবান শুধু আফগান জনগণকেই ঠকায়নি, তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে নিজেদের স্বীকৃতি আদায়কেও হুমকিতে ফেলেছে।

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

‌‌‘‌আমাদের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা নয়’‌/ আমেরিকাকে সতর্ক করলো উপসাগরীয় দেশগুলো

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status