বিশ্বজমিন
কাবুলে ড্রোন হামলা চালিয়ে আল-কায়দা প্রধান জাওয়াহিরিকে হত্যা করলো যুক্তরাষ্ট্র
মানবজমিন ডেস্ক
(২ সপ্তাহ আগে) ২ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবার, ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩৩ অপরাহ্ন

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি। এ খবর নিশ্চিত করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রোববার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালিত এক ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন। তাকে হত্যার খবর নিশ্চিত করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, জাওয়াহিরির বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের হত্যা ও সহিংসতার প্রমাণ রয়েছে। এখন ন্যায় বিচার হয়েছে এবং এই সন্ত্রাসী নেতা আর নেই। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে জানানো হয়, জাওয়াহিরি মূলত তার একটি সেফ হাউজে পালিয়ে ছিলেন এবং সেখানে হামলা চালিয়েই তাকে হত্যা করা হয়। তাকে টার্গেট করে পরপর দুটি মিসাইল চালানো হয়। এতে তার বাড়ির বারান্দা ধ্বংস হয়ে যায়। হামলার সময় তিনি বারান্দায় অবস্থান করছিলেন। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, হামলার সময় জাওয়াহিরির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সে বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, ৭১ বছর বয়সী জাওয়াহিরিকে হত্যার জন্য হামলা করতে তিনি অনুমোদন দিয়েছিলেন। এজন্য কয়েকমাস ধরে পরিকল্পনা করা হয়। জাওয়াহিরিকে হত্যার মধ্য দিয়ে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলায় নিহতদের পরিবার বিচার পেলো। বাইডেন আরও বলেন, তাকে হত্যা করতে কত বছর লেগেছে সেটা বড় বিষয় নয়, কোথায় লুকিয়ে ছিল সেটাও কোন ব্যাপার নয়। কিন্তু কেউ যদি মার্কিন জনগণের জন্য হুমকি হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে খুঁজে বের করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার সময় তালেবানের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে যে, কাবুলের একটি আবাসিক এলাকায় মার্কিন ড্রোন হামলা হয়েছে। তিনি এই আক্রমণকে আন্তর্জাতিক নীতির পরিষ্কার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন।
আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন এবং আল-জাওয়াহিরি এক সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের আক্রমণের পেছনেও দুজনেরই হাত ছিল। বিবিসি জানিয়েছে, আল-জাওয়াহিরি মিশরের ‘ইসলামি জিহাদ’ নামক জঙ্গি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে আল-কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে। এরপর থেকে আয়মান আল-জাওয়াহিরি আল-কায়েদার প্রধান হন। তার আগে আল-জাওয়াহিরিকে ওসামা বিন লাদেনের ডান হাত আর আল-কায়েদার মূল চিন্তাবিদ বলে গণ্য করা হত।
এদিকে আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, আল-জাওয়াহিরিকে আশ্রয় দেয়ায় তালেবানকে দায়ি করছে যুক্তরাষ্ট্র। তালেবান চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, দোহায় তালেবানের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল এবং পরবর্তীতে বিশ্বকে তালেবান বারবার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। তারা বলেছিল, আফগানিস্তানে কোনো সন্ত্রাসীকে তারা আশ্রয় দেবে না।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ওয়াশিংটন এবং তালেবান একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তি অনুযায়ীই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়। অপরদিকে তালেবান প্রতিশ্রুতি দেয় তারা আল-কায়দা ও ইসলামিক স্টেটের মতো জিহাদি গোষ্ঠীগুলোকে আফগানিস্তানের মাটিতে আশ্রয় দেবে না। তালেবানের আশ্বাস পেয়ে ২০২১ সালের ৩১শে আগস্ট দেশটি ছেড়ে আসে বিদেশী সেনারা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আল-কায়দাকে আফগানিস্তানের মাটিতে আশ্রয় দিয়ে তালেবান শুধু আফগান জনগণকেই ঠকায়নি, তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে নিজেদের স্বীকৃতি আদায়কেও হুমকিতে ফেলেছে।
পাঠকের মতামত
আলহামদুলিল্লাহ। পবিত্র ইসলাম ধর্মের নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ হত্যাকারীর এমন মৃত্যুই কাম্য ছিলো। এসব সন্ত্রাসীদের জন্য আজ বিশ্বব্যাপী সাধারণ মুসলিমরা নানা প্রতিকুলতার সম্মুক্ষিন হচ্ছে।
উনার অন্যান্য মর্তবার সাথে শহীদি মর্তবা যুক্ত হল। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।
নাটক ! নাটক ! নাটক ! এই খেলা মানুষ আর বিশ্বাস করছে না । এগুল সব তাদের সৃষ্টি !
জাওয়াহিরিকে হত্যার জন্য হামলা করতে তিনি অনুমোদন দিয়েছিলেন। জাওয়াহিরিকে হত্যার মধ্য দিয়ে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলায় নিহতদের পরিবার বিচার পেলো।---কিলিং অর্থ জাস্টিস ,এটা খুঁজে পাওয়া যায় নাই অভিধানে!(He authorized the attack to kill Zawahiri. By killing Zawahiri, the families of the victims of the September 11, 2001 attack on the United States got justice.---Killing means justice, It was not found in the dictionary!)
জাওয়াহিরিকে হত্যা করে কি আলকায়দাকে আটকানো যাবে । আরেকজন তার স্থান দখল করবে। ওরা আমেরিকান হত্যা করেছে। আসল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায় যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকান সেনাবাহিনী বহু দেশের জনগণকে হত্যা করেছে । হত্যার প্রতিহিঃসার জন্ম দেয়। আমরা শান্তি চাই। হত্যাকাণ্ড চাই না । আলকায়দা যদি বন্ধ হয় একজন কে হত্যার পর সেটা মন্দ নয়। তবে বাইডেনের বক্তব্য নিশ্চয়তা নেই।
যুক্ত রাষ্ট্রের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আরো একটি পালক সংযোজিত হল । হত্যা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না । হে আল্লাহ আপনি তাকে কবুল করুন ।