বাংলারজমিন
বরিশালে সাবেক মেয়রের মায়ের নামে শিশুপার্ক উচ্ছেদের জন্য দরপত্র
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
১৭ জানুয়ারি ২০২৫, শুক্রবারসারা দেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান শেখ পরিবারের নামে হয়েছে। বরিশালে হয়েছে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ও শাহানারা আব্দুল্লাহর নামে। অগণিত প্রতিষ্ঠান নাম পাল্টে এই দুই নামে নতুন করে পরিচিত লাভ করেছিল। এরমধ্যে একটি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহানারা বেগম পার্ক। শাহানারা বেগম হচ্ছেন বরিশাল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর স্ত্রী এবং সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর মা। চার লেনের মহাসড়কের মাঝখানে এ পার্কটি নির্মাণের সময়ই বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। অবশেষে এটি এখন ভাঙা হচ্ছে। পার্ক উচ্ছেদের জন্য সওজ দরপত্র আহ্বান করেছে।
নগরীর সিঅ্যান্ডবি সড়কটি ঢাকা-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়কের অংশ। বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এই মহাসড়কের একটি বাইলেন (পার্শ্ব সড়ক) দখল করে শিশুপার্ক নির্মাণ করেছিল। সড়কের এই অংশ সওজের আওতায় থাকলেও সংস্থাটির বাধা উপেক্ষা করে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ব্যস্ততম মহাসড়কের পাশে শিশুপার্ক নির্মাণ করেন। বৃহস্পতিবার পার্কটি ভাঙার দরপত্র জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সওজ বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমূল ইসলাম। তিনি বলেন, সওজের আওতাধীন ঢাকা-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়কটির প্রায় ১১ কিলোমিটার অংশ বরিশাল নগরের মধ্যদিয়ে গেছে। ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত দুই লেনের জাতীয় এই মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় নগরীর এই অংশও রয়েছে। কিন্তু সেই ব্যস্থতম মহাসড়কের অর্ধেকটা দখল করে পার্ক নির্মিত হয়েছিল। সেটি অপসারণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের পর দ্রুত পার্কটি অপসারণের মাধ্যমে রাস্তা সচল করা হবে।
জানা গেছে, ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের ১১ কিলোমিটার পড়েছে বরিশাল নগরে। এর মধ্যে মূল শহরের অংশটি ‘সিঅ্যান্ডবি রোড’ নামে পরিচিত। ২০২২ সালে এই সড়কের একটি বাইলেন দখল করে পার্ক নির্মাণ করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) তৎকালীন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। তার প্রয়াত মায়ের নামানুসারে পার্কটির নামকরণ করেন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহানারা বেগম পার্ক। বিসিসির তথ্য অনুযায়ী, পার্কের নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয় ১৪ কোটি টাকা। কমপক্ষে ৫০টি পরিবারের যাতায়াতের সহজ পথ রুদ্ধ করে নির্মিত পার্কে যাতায়াতে শিশুরাও ঝুঁকিতে ছিল। পার্কটি নির্মিত হওয়ায় মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।