অর্থ-বাণিজ্য
রেস্তোরাঁ মালিকদের মানববন্ধনের পর ভ্যাট পুনঃবিবেচনার সিদ্ধান্ত
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৪ সপ্তাহ আগে) ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:১৪ অপরাহ্ন

অর্থবছরের মাঝপথে এসে হঠাৎ রেস্তোরাঁ খাতে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়েছিল, আন্দোলনের মুখে সেখান থেকে সরে এলো সংস্থাটি।রেস্তোরাঁ মালিকদের মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর ভ্যাট পুনঃবিবেচনার সিদ্ধান্ত নিলো এনবিআর। বৃহস্পতিবার সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেয় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। এর মধ্যে ঢাকা জেলার তিন হাজার রেস্তোরাঁ মালিকদের নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের-এনবিআর ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। ভ্যাট পুনঃবিবেচনার এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে সমিতির সভাপতিকে চিঠি দিয়েছে এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি শাখা। পুনঃবিবেচনা করে ভ্যাট কত কমানো হয়েছে, জানতে চাইলে এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (মূসক বিধি) মো. বদরুজ্জামান মুন্সী বলেন, “পুনঃবিবেচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে ডেফিনেটলি কমবে। “হোটেল, রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট আগের মতই ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আদেশ জারি হতে পারে।” ৯ জানুয়ারি রাতে শতাধিক পণ্য ও সেবায় আমদানি, উৎপাদন, সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। তার মধ্যে রেস্তোরাঁর ভ্যাট ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। আর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয় ১৫ শতাংশ। ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সেদিনই বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এরপর বৃহস্পতিবার সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেয় সংগঠনটি। বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সমিতির নেতারা বলেন, সরকার রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ও জনগণের স্বার্থ, জীবন-জীবিকা এবং দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি ‘বিবেচনা না করে’ সিদ্ধান্তে অটল থাকায় সমিতি বাধ্য হয়ে এ কর্মসূচি নিয়েছে। এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি শাখা বুধবারই ভ্যাট পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে সমিতির সভাপতিকে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু সেখানে স্পষ্ট কিছু না থাকায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এনবিআরের সামনে মানববন্ধনে মিলিত হন রেস্তোরাঁ খাতের কয়েকশ মালিক ও কর্মচারী। এ কর্মসূচি শুরুর আগেই ভ্যাট আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর। কিন্তু গেজেট না হওয়ায় কর্মসূচিও চলতে থাকে। ‘চমৎকার সংস্কার, গরিবের ভ্যাটে আমলাদের মহার্ঘ্য ভাতা’, ‘চুরির টাকা উদ্ধার কর, ভ্যাট বৈষম্য দূর কর’ এবং ‘আইএমএফের পরামর্শে ভ্যাট বৃদ্ধি করা চলবে না’– এরম অসংখ্য প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করতে দেখা যায় রেস্তোরাঁ মালিক ও কর্মীদের। ভ্যাট কমিয়ে আগের অবস্থায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন করলে সমিতির মহাসচিব ও মুখপাত্র ইমরান হাসান বলেন, “আমরা এখনও গেজেট পাইনি। মৌখিকভাবে পেয়েছি।"