অর্থ-বাণিজ্য
প্রায় শতভাগ বীমাদাবি পরিশোধ সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ৭:৫৩ অপরাহ্ন
দেশের অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যেও গ্রাহকের বীমাদাবি পরিশোধ অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশের অন্যতম লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত বীমাদাবি পরিশোধে ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ২০৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে কোম্পানিটি।
কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানান, ২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষে ৩৮০ কোটি টাকার বেশি বীমাদাবি হিসেবে পরিশোধ করে অন্যন্য উচ্চতায় পৌছেছে দেশের চতুর্থ প্রজন্মের এই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিটি। কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালে সোনালী ১২৪ কোটি টাকার কিছু বেশি বীমাদাবি পরিশোধ করেছিল। ২০২৪ সালে শুধু ডিসেম্বরেই ৬৯ কোটি ৩৭ লাখ ২৭ হাজার ৫শত ১৫ টাকার বীমাদাবি পরিশোধ করেছে কোম্পানিটি। যার মধ্যে রয়েছে মৃত্যুবীমা, মেয়াদপুর্তি সুবিধা, সহযোগী বীমা ও প্রত্যাশিত সুবিধা।
আইডিআরএ'র নভেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, ছয়টি কোম্পানি ৯৯ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বীমাদাবি পরিশোধ করেছে যার মধ্যে ৯৯.১১ শতাংশ করেছে সোনালী লাইফ। সব থেকে ভালো পারফর্মিং ৬টি কোম্পানির মধ্যে টাকার অঙ্কে ৩৮০ কোটি টাকা বীমাদাবি পরিশোধ করেছে সোনালী।
ভোলা চরফ্যাশনের নুর-এ আলম ২০২৪ সালের জুলাইয়ে আকস্মিক মৃত্যুবরন করেন। মরহুমের স্ত্রী বিবি জান্নাত বলেন, বীমার পুর্নদাবি ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা তিন দিনের মধ্যে পরিশোধ করেছে সোনালী লাইফ। নুর-এ আলমের মতোই হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে সোনালী লাইফ আস্থার মূর্তপ্রতীক হয়ে উঠেছে।
লক্ষীপুরের দেলোয়ার হোসেন গত বছরের জুনে মৃত্যুবরন করেন। সোনালীতে তার তিন সন্তানের সবার নামে একটি করে মোট তিনটি শিক্ষাবীমা করা ছিল। দেলোয়ারের স্ত্রী তাসলিমা আখতার বলেন, মাত্র পাঁচদিনের মধ্যে সোনালীর প্রতিনিধিরা আমাদের এইসব দাবি বুঝিয়ে দিয়েছেন।
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক শেখ মো ড্যানিয়েল বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কাজ পরিচালনা, প্রিমিয়াম দেয়ার সহজ পদ্ধতি, আধুনিক ইআরপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে কাজ পরিচালনা, সঠিক সময়ে বীমাদাবি পরিশোধ সহ অসংখ্য ইতিবাচক দিক রয়েছে, যা সোনালীকে করেছে অনন্য। প্রতিটি গ্রাহকের বীমাদাবি যথাসময়ে পরিশোধ করা সোনালী লাইফের অন্যতম মূল অঙ্গীকার।
পাঠকের মতামত
এদেশে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর রেগুলেটরী বডির কোন সৎ এবং সঠিক নেই। শুধুই পকেট কাটা। আবার কমিশনের নামে চলছে আর এক বিশৃংখলা। সাধারন বীমায় কমিশন প্রদানে ব্যাংকারদের দৌরাত্ম থামছেইনা। কমিশন বন্ধ হওয়া দরকার।