দেশ বিদেশ
‘বাংলাদেশের ক্ষমতার পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা ভারতও বিশ্বাস করে না’
মানবজমিন ডেস্ক
১২ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবারবাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। তিনি বলেছেন, ঢাকার ক্ষমতার পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার দাবি ‘অযৌক্তিক’। ভারতের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও বিশ্বাস করেন যে, ঢাকার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত ছিল না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন হিন্দুস্তান টাইমস। এতে বলা হয়, শুক্রবার সকালে হোয়াইট হাউসের রুজভেল্ট কক্ষে নির্বাচিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাইডেন প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে তুলে ধরেন সুলিভান। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ভারতীয় এক সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমেরিকান নাগরিককে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠার পর নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটনের সম্পর্কে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট ঘটনার পূর্ণাঙ্গ জবাবদিহিতা অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, ২০শে জানুয়ারি বাইডেন প্রশাসনের দায়িত্ব শেষ হওয়ার পরেও ওই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। দুই দেশ এ বিষয়ে অগ্রগতি করেছে তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গভীরতাই প্রকাশ করে। তবে মার্কিন মুল্লুকে ক্ষমতার পরিবর্তনে উভয় দেশের কৌশলগত বিনিয়োগে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করেন সুলিভান। সমপ্রতি ভারত সফর সম্পর্কে তার কাছে বিভিন্ন ইস্যু সম্পর্কে জানতে চায় হিন্দুস্তান টাইমস। গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন হত্যা, ধনকুবের গৌতম আদানি এবং বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদল উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমটি জানতে চেয়েছে, মোদি সরকারের অভিযোগ হচ্ছে এসব ঘটনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপ স্টেট’ জড়িত। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দাবি ভারতকে অস্থিতিশীল করছে ‘ডিপ স্টেট’। এ বিষয়ে সুলিভান বলেন, আমি বিনয়ের সঙ্গে এসব ধারণা প্রত্যাখ্যান করছি। কেননা, আমি নিজেই ডিপ স্টেটের প্রতিনিধিত্ব করি। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকায় ঘটে যাওয়া অভ্যুত্থানের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার বিষয়টি হাস্যকর। ভারতের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের ভিত্তিতে আমি বলতে পারি তারাও এ কথা বিশ্বাস করেন যে, ঢাকার ক্ষমতা পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত নেই।
ফেসিস্ট সরকারে প্রতি দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে এটা বাংলাদেশের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল, আর কারও বা কোনো দেশের কৃতিত্ব নেই। এটাই বাস্তবতা।
হাসিনার পতন এ দেশের ইসলাম ধর্মীয় ও গণতন্ত্র প্রিয় মানুষের ঘৃনার চরম বহি:প্রকাশ। তারা মনে করে একজন ফেরাউনকে বিদায় করেছে। এখানে বাইরের কোন হাত নেই।