বাংলারজমিন
কাউন্সিলর টিপু হত্যা
চরমপন্থিদের দায়ী করছেন পরিবার
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১২ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবারখুলনা সিটি করপোরেশন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অপসারিত কাউন্সিলর গোলাম রব্বানি টিপুর জানাজা শনিবার দুপুরে দেয়ানা উত্তরপাড়া মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়। জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে শনিবার সকালে মরহুমের মরদেহ দেয়ানা বাড়িতে পৌঁছালে আবেগঘন দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সী-গাল পয়েন্টে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন টিপু। এ ঘটনায় রাতেই খুলনা সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইফতেখার চালুসহ দু’জনকে আটক করেছে র্যাব। এদিকে টিপুর হত্যার পেছনে সাবেক এক খুলনার চরমপন্থি নেতাকে দায়ী করেছেন স্ত্রী সাবিহা আক্তার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার স্বামী এলাকায় অনেক জনপ্রিয়তা ছিলেন। তিনি মানুষের সালিশ-দরবার করতেন। এটা ভালো চোখে দেখতেন না এক সময়ের শীর্ষ এক চরমপন্থি দল নেতা। তিনি বিভিন্ন সময় আমার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিতেন। দেয়ানার হোসেন শাহ রোডের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মানুষের জটলা। একপাশে টিপুর ছেলে তাসিন রব্বানি রাহাতকে (১৩) পাশে নিয়ে বসে আছেন দাদা গোলাম আকবর। ছেলের শোকে কাতর তিনি। খুলনা সরকারি ল্যাবরেটরি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাহাতও ছিল বাকরুদ্ধ। টিপুর পরিবার জানান, কক্সবাজারে অনেক আগে থেকেই গোলাম রব্বানি টিপুর মাছের ব্যবসা ছিল। এর আগে লবণের ব্যবসাও ছিল টিপুর। ব্যবসার কারণে টিপুর কক্সবাজারে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। তবে বর্তমানে তিনি জমি-জমার ব্যবসা করতেন। এলাকার শত্রুরাই টিপুকে কক্সবাজারে হত্যা করেছে। কক্সবাজার এলাকায় কোনো লোকের সঙ্গে তার কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। খুলনার কেউ কক্সবাজারের কোনো ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে অথবা এখান থেকে লোক পাঠিয়ে হত্যা করিয়েছে বলে তাদের ধারণা। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সুকৌশলে কক্সবাজারে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে গোলাম রব্বানি টিপুকে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এলাকার অনেকেই জড়িত রয়েছেন। কারণ টিপু সব সময় অস্ত্রসহ দলবল নিয়ে চলাফেরা করতেন। বিভিন্ন কারণে তার অনেক শত্রু ছিল। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৌলতপুর ও খালিশপুর থানায় নিহত টিপুর নামে হত্যা, নাশকতা, ভাঙচুরের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।