বাংলারজমিন
বিএনপি নেতার বাড়িতে চুরি হওয়া গরু দিয়ে বিরিয়ানি, আটক ২
মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
১২ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবারমাদারগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরী বিরুদ্ধে চুরি হওয়া গরু দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করার অভিযোগ উঠেছে। ১১ই জানুয়ারি সকালে আদারভিটা ইউনিয়নের কয়ড়া চৌধুরী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ মুক্তা চৌধুরীর বাড়ি থেকে চুরি হওয়া ষাঁড় গরুর মাথা ও চামড়া উদ্ধার করে এবং ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সুমন ও কসাই বজলু রহমান নামে দুজনকে আটক করে মাদারগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর গরুর মালিক মাদারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার ৫নং জোড়খালি ইউনিয়নের খামার মাগুরা গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে কৃষক এফাজ উদ্দিনের বাডী থেকে মধ্য রাতে ১টি ষাঁড় গরু চুরি হয়। টের পেয়ে রাত থেকেই এলাকার লোকজন কে সাথে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গরু খোঁজাখুঁজি করে। একপর্যায়ে লোকজন কসাই বজলুকে গরুকাটার সরঞ্জাম নিয়ে রাস্তায় দেখে সন্দেহ করে। তাকে জিজ্ঞাসার এক পর্যায়ে বলেন, গরুটি চৌধুরী বাড়িতে জবাই করে বিরিয়ানি রান্না করা হচ্ছে। পরে ওই বাড়িতে তিনি তার হারিয়ে যাওয়া গরুর মাথা ও চামড়া দেখে তার গরু শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমন ও বজলুকে আটক করলেও অভিযুক্ত মুক্তা পালিয়ে যায়। মাদারগঞ্জ উপজেলা মহিলা দলের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী প্রত্যাশী মোছা: ইতি বেগমের সমর্থনে তার স্বামী আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরী তার বাড়িতে বিরিয়ানি রান্না করে দলের সমাবেশে ভূরিভোজের আয়োজন করেন। চুরি হওয়া গরু দিয়ে বিরিয়ানি এমন খবর মুহূর্তেই এলাকার মধ্যে ছডিয়ে পড়লে এলাকার শত শত মানুষ দেখতে এসে সব বিরিয়ানি লুটতরাজ করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মুক্তা জানান, তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলে একটি সমাবেশে তার এলাকা থেকে যাওয়া কর্মীদের খাওয়ানোর জন্য বজলু কসাইকে ৭৬ কেজি মাংসের অর্ডার দেন।
বজলু কসাই তার বাড়িতে একটি ষাঁড় গরু এনে জবাই করে তাকে ৭৬ কেজি মাংস দিয়ে ৪৬ হাজার টাকা নিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, তার প্রতিবেশী একজন দলীয় পদ-পদবীর জন্য তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাসান আল মামুন বলেন, শনিবার মাদারগঞ্জ থানায় আটককৃত দক্ষিণ কয়ড়া গ্রামের সুমন, বজলু ও মাহমুদুল হাসান মুক্তাকে আসামি করে মামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে, অভিযুক্ত মুক্তা চৌধুরী পলাতক রয়েছে।