বাংলারজমিন
সাভারে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪ জনের মৃত্যু
অভিযুক্ত বাস ও এম্বুলেন্স চালক গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
১২ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবারসাভারে এম্বুলেন্সের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত বাস ও এম্বুলেন্স চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদেরকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে তাদেরকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সওগাতুল আলম। এর আগে সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে শ্যামলী পরিবহনের বাস চালক জহিরুল ইসলাম ও গাজীপুরের কোনাবাড়ি থেকে এম্বুলেন্স চালক জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার সুতী লাংগল জোরা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে এম্বুলেন্স চালক জাহিদ হাসান (২১) ও দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার চাওলিয়া গ্রামের মৃত গোলাম সরোয়ারের ছেলে শ্যামলী পরিবহনের বাস চালক মো. জহিরুল ইসলাম (৪৮)। পুলিশ জানায়, গত বুধবার দিবাগত রাতে টাঙ্গাইল থেকে ছেলে মুহাইমিন সিদ্দিকী ফুয়াদকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য এম্বুলেন্সে করে রাজধানী ঢাকায় আসছিলেন ফারুক হোসেন সিদ্দিকী ও মহসিনা সিদ্দিকী দম্পতি। সঙ্গে ছিলেন মহসিনার বড় বোন মাহফুজা বেগম। তাদের বহনকারী এম্বুলেন্সটি সাভারের পুলিশ টাউনের কাছে পৌঁছালে ঝুমুর পরিবহন ও শ্যামলী পরিবহনের দু’টি বাস ধাক্কা দিলে এম্বুলেন্সটির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে এম্বুলেন্সে থাকা ফারুক সিদ্দিকী ও তার পরিবারের ৪ সদস্যের পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাভার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রঞ্জু বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাস চালক জহিরুল ইসলাম ও এম্বুলেন্স চালক জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনার সময় তিনটি গাড়ির চালকই আগে যাওয়ার জন্য রাস্তায় প্রতিযোগিতা করছিল। একপর্যায়ে এম্বুলেন্সটি সামনে চলে গেলে অতিরিক্ত গতির কারণে পেছন থেকে একটি বাসের ধাক্কায় এম্বুলেন্স সড়কের ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লেগে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে দায়ের করা মামলায় এম্বুলেন্স ও বাস চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।