বাংলারজমিন
ধুমধাম করে অসহায় তরুণীর বিয়ে দিলেন ছাত্রদল নেতা
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
১২ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবারবাড়িতে ধুমধাম বিয়ের আয়োজন। বিয়ের গেট, প্যান্ডেল থেকে শুরু করে আছে দেড় শতাধিক মানুষের ভূরিভোজের আয়োজন। দেখে বোঝার উপায় নেই যার জন্য এরকম ধুমধাম আয়োজন সেই কনের বাবা একজন অসহায় হতদরিদ্র রিকশাচালক। অসহায় দরিদ্র বাবা মায়ের কন্যার এমন ধুমধাম বিয়ের আয়োজন করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন রাজিব। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাত্রস্থ করেন এক অসহায় মেয়েকে। জেলা শহরের চর শোলাকিয়া বাদশা মিয়া রোড এলাকায় এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। ছাত্রদল নেতা মো. জাকির হোসেন রাজিব জেলা শহরের শোলাকিয়া বনানী মোড় এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে। বিয়ে সম্পন্ন হওয়া কন্যা নৌশিন রিকশাচালক সিরাজ ও গৃহিণী হাওয়ার মেয়ে। রিকশাচালক সিরাজের কোনো সম্পত্তি না থাকায় তাঁরা চর শোলাকিয়া বাদশা মিয়া রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসায় মানবেতর জীবনযাপন করেন। আর বর তন্ময় করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও পেশায় অটোরিকশা চালক। ছাত্রদল নেতা রাজিবের সহায়তায় মেয়ের বিয়ে দিতে পেরে খুশি আর আবেগের কমতি ছিল না হতদরিদ্র বাবা সিরাজ ও মা হাওয়ার। রাজিবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তারা বলেন, খুব চিন্তায় ছিলাম মেয়ের বিয়ে কিভাবে দিব। বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে গেলেও মনে হচ্ছিলো টাকার অভাবে মেয়ের বিয়েটা ভেস্তে যাবে। তখন খোঁজ পেয়ে রাজিব আমাদের পাশে দাঁড়ায়। আল্লাহ তাকে ফেরেশতা রূপে পাঠাইছে। বর্তমান জামানায় কেউ কারও জন্য এমন উপকার করে না। আমরা আজীবন তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন রাজিব বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছি। বিয়ের খরচ নৌশিনের মা হাওয়ার হাতে তুলে দেই। নৌশিনের বিয়েতে আবেগপ্রবণ ছিলাম আমি। বোনের বিয়েতে ভাই যেমন হয়। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম সোহাগ, কিশোরগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মিজানুর রহমান সাগর, শহীদ জিয়া পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি এসানুল হক তারেক, ছাত্রদল নেতা রনি, শুভ, আব্দুল্লাহ, বর-কনের পরিবারের সদস্যসহ অতিথিরা।