ঢাকা, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯ রজব ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

ট্রাক সেল বন্ধ, ৪৩ লাখ পরিবার কার্ড বাতিল

অনলাইন ডেস্ক

(১ সপ্তাহ আগে) ১০ জানুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

mzamin

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘ট্রাক সেল বন্ধ, ৪৩ লাখ পরিবার কার্ড বাতিল’। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য গত অক্টোবর মাসে ট্রাকে করে তেল, ডাল ও চাল বিক্রির কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ফলে টিসিবির পরিবার কার্ড না থাকলেও প্রতিদিন ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাড়ে ২৪ হাজার মানুষ ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য কেনার সুযোগ পেতেন। মাত্র দুই মাস সাত দিন চলার পরে এ কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে সংস্থাটি।

অন্যদিকে গত অক্টোবরে ট্রাকে করে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রির কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এটিও সম্প্রতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনিয়মের অভিযোগে সারা দেশে টিসিবির এক কোটি পরিবার কার্ডের মধ্যে ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল করা হয়েছে।

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এমনিতে নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষ কষ্টে রয়েছেন। এ অবস্থায় ট্রাক সেলের মতো কর্মসূচি আরও বাড়ানো প্রয়োজন। উল্টো এসব কর্মসূচি বন্ধ বা আওতা কমানোর ফলে গরিব ট্রাক সেল বন্ধ

গত বছরের পুরো সময়জুড়ে দেশের মানুষ উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে ছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত বছর টানা ৯ মাস খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল দুই অঙ্কের ঘরে। বিশেষ করে বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে চাল, পেঁয়াজ, আলু, মুরগি, ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে গত ২৪ অক্টোবর থেকে ঢাকা মহানগরের ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরের ২০টি স্থানে ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করে টিসিবি। প্রতিটি ট্রাকে ৩৫০ জনের পণ্য থাকত। ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল, পাঁচ কেজি চাল ও দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারতেন। এতে একজন গ্রাহকের অন্তত ৩৫০ টাকা বা তার বেশি অর্থ সাশ্রয় হয়। গত ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে এ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

টিসিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত অক্টোবরে তাঁরা সাময়িকভাবে এ কর্মসূচি (ট্রাক সেল) শুরু করেছিলেন। পরে এক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে। এরপর ট্রাক সেল চালু রাখার বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা না আসায় বিক্রি বন্ধ রয়েছে। নতুন নির্দেশনা এলে পুনরায় চালু হবে।

জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। ট্রাক সেল বিক্রির কার্যক্রমটি পুনর্বিবেচনা করা হবে।’

এদিকে গত সেপ্টেম্বর–অক্টোবর মাসে দেশে মুরগি–ডিমসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে গত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ট্রাকে করে কয়েকটি কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু করে সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এর আওতায় সুলভ দামে আলু, ডিম, পেঁয়াজ, পটোলসহ কয়েকটি কৃষিপণ্য বিক্রি করে সংস্থাটি। এই কর্মসূচিও ২৭ ডিসেম্বরের পর থেকে বন্ধ রয়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম জানান, বর্তমানে সবজির দাম কমে যাওয়ায় এখন কৃষিপণ্যের ট্রাক সেল কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। তবে সরকার চাইলে দাম বেশি রয়েছে, এমন কোনো কৃষিপণ্য নিয়ে তাঁরা কাজ করতে পারেন।

যুগান্তর

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর ‘ভিন্নমত বিএনপিসহ বেশির ভাগ দলের’। সংবাদে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। এ সরকারের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য হওয়া উচিত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনকে ফোকাস করা। এমন অভিপ্রায় জানিয়ে দলগুলোর শীর্ষ নেতারা বলছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কারও দাবিও ছিল না। তাছাড়া এই ধরনের সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার কোনো নজিরও নেই। ১৫ বছর ধরে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে তারা আন্দোলন করেছে।

সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য কিছু চিন্তা করা সমীচীন হবে না। বরং কোনো সন্দেহের উদ্রেক হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত থেকে দূরে থাকাটাই মঙ্গল। নেতারা এ-ও মনে করেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে গিয়ে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হলে তখন তাদের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকবে। সুতরাং তাদের ধারণা, সরকার এই পথে হাঁটবে না। বৃহস্পতিবার বিএনপিসহ চারটি জোট ও অন্তত ২০টি দলের শীর্ষ নেতারা যুগান্তরের কাছে প্রায় অভিন্ন এমন প্রতিক্রিয়া করেন।

তবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই ইস্যুতে তাদের অবস্থান এখনো স্পষ্ট করেনি। অপরদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে মন্দ হবে না।

বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি রাজধানীতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। সেখানে কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতীয় পর্যায়ে সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হলেও ঢাকার বাইরে মানুষের মতামতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রাধান্য পাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের মধ্যেও এমন মতামত আছে। ঢাকার বাইরে মতবিনিময় করতে গিয়ে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন এ চিত্র পাচ্ছে বলে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন। এর আগে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের একাধিক মতবিনিময়েও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার বিষয়ে পরামর্শ উঠে আসে।

সোমবার রাতে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠক হয়। এতে নেতারা অভিমত দেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান না। দলটির অভিমত, এই ধরনের সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কোনো নজির নেই। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে জনআকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে এখন সরকারের উচিত জাতীয় নির্বাচনের দিকে ফোকাস করা।

কালের কণ্ঠ

‘রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার পথে দেশ’-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের প্রথমার্ধের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে সার্বিক কার্যক্রমে মনে হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ দিকেও নির্বাচন করা যেতে পারে এমন প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে চলতি বছর নির্বাচন না হলেও এ বছরই রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথনকশা স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বক্তব্যে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনও বলছে, তারা সরকারের ঘোষণা করা সম্ভাব্য সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান  রাজনৈতিক সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। তাঁকে বলা হয়, গত ১৫ বছরে প্রশাসন, পুলিশ, বিচার, ব্যবসাসহ রাষ্ট্রের নানা ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। এটাকে একটা স্বাভাবিক জায়গায় আনতে তো সময় লাগবে।

এর জবাবে জেনারেল ওয়াকার বলেন, ‘এটার জন্য রাজনৈতিক দল ও সরকার লাগবে। রাজনীতিবিদদের এগিয়ে আসতে হবে। রাজনীতি ছাড়া ও রাজনৈতিক সরকার ছাড়া এটা সম্ভব নয়।’ কিন্তু গত পাঁচ দশকে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো অনেক কিছু করেনি, করতে চায়নি।

তাদের ব্যর্থতার জন্যই তো বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে—পত্রিকাটির এ মন্তব্যের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, ‘ঠিক আছে, অতীতে হয়নি। এখন তো সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এ কাজগুলো করতে পারি।’

এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ওয়েবসাইটে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ হয়। তাতে বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করে ১৮ মাস বা দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচনের লক্ষ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনো পরিস্থিতিতে পূর্ণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সমকাল

দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘আসছে রমজানে পণ্যের সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল, গম, ডাল, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা, খেজুরসহ ১১টি পণ্যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণপত্র খোলায় মার্জিন কমানোর নির্দেশনা দিয়েছে। বিশ্ববাজারেও বেশ কিছু ভোগ্যপণ্যের দাম এখন কম। তার পরও চাহিদামতো পণ্য আসছে না। এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর সরবরাহ পর্যাপ্ত না থাকলে রয়েছে দাম বাড়ার শঙ্কা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের (জুলাই-নভেম্বর) আমদানি চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ পণ্য কম এসেছে। খেজুর, পেঁয়াজসহ কিছু নিত্যপণ্যের এলসি গতবারের তুলনায় এবার কম খোলা হয়েছে। জানা গেছে, দেশের ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়তে থাকা এবং শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন আমদানিকারকের অংশগ্রহণ কম থাকা এর মূল কারণ। আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, সরবরাহ ঠিক রাখতে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডালের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের এলসি খোলা হয় রমজানের তিন-চার মাস আগে। কিন্তু চাহিদামতো এলসি সুবিধা দিতে পারছে না কিছু ব্যাংক। ব্যাংলাদেশ ব্যাংক উদ্যোগ নিলেও নানা রকম সংকট আছে ব্যাংকে। চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না ডলার।

টি কে গ্রুপের পরিচালক মো. শফিউল আতহার তাসলিম সমকালকে বলেন, এলসি খুলতে কিছু ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ডলারের বাজার অস্থির থাকায় ছাড়ের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। দেখা গেল, এলসি খোলার সময় প্রতি ডলারের দাম ১২৩ টাকা। কিছুদিন পর তা ১২৭ টাকা হয়ে গেলে মূল্য দেরিতে পেমেন্ট করার সুযোগ কোনো কাজে আসবে না। বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে কিছু জিনিসের দাম স্থিতিশীল থাকলেও আমাদের দেশে অস্থির হয়ে আছে ডলারের বাজার। ডলারের বাজার স্থিতিশীল থাকলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয় আমদানিকারকদের। ব্যাংক সেক্টরের স্থিতিশীলতাও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিছু প্রতিকূলতা থাকলেও রমজানকে কেন্দ্র করে চাহিদামতো পণ্য শেষ পর্যন্ত চলে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমেদ বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর নানান সমস্যার কারণে এখনও প্রত্যাশিত এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। অন্যবারের তুলনায় এলসি কম মনে হচ্ছে।’

কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ব্যবসায়ীরা কত দামে পণ্য এনে কত দামে বিক্রি করছেন, সে বিষয়ে কোনো তদারকি নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক এলসি খুলতে নানা সুবিধা দিলেও ব্যাংক তা কতটুকু মানছে, তার ওপরও তেমন নিয়ন্ত্রণ নেই। এ ছাড়া রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বড় প্রতিষ্ঠানের পলাতক কর্ণধারদের বিকল্প হয়ে কে পণ্য আনবে, কীভাবে আনবে– এসব নিয়েও পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে অস্থিরতা কমছে না বাজারে।

ইত্তেফাক

‘পাঠ্যবইয়ে যত পরিবর্তন’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যবইয়ে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’ অধ্যায়ে প্রথমে রাখা হয়েছে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ছবি। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে স্থান পেয়েছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আর ‘রাজনীতিতে নারী’ শীর্ষক প্রবন্ধে যুক্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। নতুন সংযোজন ‘আমাদের চার নেতা’ অধ্যায়ে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। ইতিহাসের অংশ থেকে অতিবন্দনা-অতিকথন বাদ দেওয়া হয়েছে। আগে যাদের অবদান বই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল এমন অনেকের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

শিক্ষাবিদ, শিক্ষক ও অভিভাকরা অভিন্ন সুরে বলেন, ‘ক্ষমতার পালাবদলে বিগত চার দশকে পাঠ্যবইয়ে বহুবার পরিবর্তন এসেছে। সেখানে একপক্ষ খুশি হলেও অন্যপক্ষ সমালোচনায় মেতে উঠত। এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। অন্তর্বর্তী সরকার বইয়ে জাতীয় সব বীরের অবদানই নির্মোহভাবে তুলে ধরেছে। এতে খুশি অভিভাবক, শিক্ষকসহ সব পক্ষ।’ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা বলেন, সময়ের স্বল্পতায় এবার কাজটি সুনিপুণভাবে করা পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। আগামী বছর আরো ‘সত্যনির্ভর ইতিহাস’ পাঠ্যপুস্তকে তুলে আনতে বদ্ধপরিকর অন্তর্বর্তী সরকার।

শিক্ষাবিদরা বলেন, পাঠ্যবইয়ে দলীয় রাজনীতির প্রভাব দীর্ঘদিনের। যখন যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থেকেছে, তখন তারা নিজেদের গুণগানে ভরিয়ে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকাকালে এককভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কৃতিত্ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। সবশেষ আওয়ামী লীগের টানা   ১৬ বছরের শাসনামলে সব জায়গায় ছিল শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার জয়গান। পাঠ্যপুস্তক থেকে একেবারে মুছে ফেলা হয় জিয়াউর রহমান, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাম। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা তাজউদ্দিন আহমেদের বিশেষ অবদানও ভুলতে বসেছিল শিক্ষার্থীরা। কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর অবদানকেও খাটো করা হয়েছিল। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখা অনেক বীর ছিলেন অপাঙেক্তয়।

‘মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়’ অধ্যায়ের নাম বদলে করা হয়েছে ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’। সেখানে শুরুতে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের একটি দৃশ্য। পুরোনো পাঠ্যবইয়ে ৭ মার্চের ভাষণে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা উল্লেখ করা ছিল। নতুন পাঠ্যবইয়ে জাতির পিতা বাদ দেওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে এ বছর সাতটি গদ্য-পদ্য বাদ দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে যুক্ত করা হয়েছে নতুন আটটি গদ্য-পদ্য। তৃতীয় শ্রেণির বইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী তুলে দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে জাতীয় চার নেতার জীবনী। বাদ গেছে শেখ রাসেলকে নিয়ে লেখা ইংরেজি গদ্যও।

নয়া দিগন্ত

দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর ‘হাসিনার দুর্নীতি অনুসন্ধানে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত’। খবরে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতি খুঁজে বের করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নেতৃত্বে যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ দিকে শেখ হাসিনা, তার ছোটবোন শেখ রেহানাসহ তাদের পরিবারের সব সদস্যের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ-বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চলতি সপ্তাহে বিএফআইইউ দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে।

বিএফআইইউয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, লেনদেন তলব করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে। চিঠিতে তলব করা ব্যক্তির নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত তথ্য দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন (পুতুল) ও ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদের (জয়) ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক (ববি), দুই মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকের হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা কোনো ধরনের আর্থিক অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে এই সাতজনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়। যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে একজন কনিষ্ঠ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিককে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের এক আবাসন ব্যবসায়ী। তবে টিউলিপ সিদ্দিককে ওই ফ্ল্যাটের বিনিময়ে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হয়নি। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ ছিল ওই ব্যবসায়ীর। বিনামূল্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের তথ্য পাওয়া গেছে যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিপত্রেও।

এ ছাড়া সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড এলাকায় এমন একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন, যেটি তার পরিবারকে দিয়েছেন তার খালা শেখ হাসিনার এক মিত্র। হ্যাম্পস্টেডের ফিঞ্চলে রোডের এই ফ্ল্যাট টিউলিপের বোন আজমিনাকে বিনামূল্যে দেয়া হয়েছিল।

বণিক বার্তা

‘বাজেট ও মডেল আওয়ামী লীগের, শতপণ্যের শুল্ক-ভ্যাট বাড়াল অভ্যুত্থানের সরকার’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, রাজস্ব আহরণ না বাড়লেও গোষ্ঠীতন্ত্রের স্বার্থরক্ষায় প্রতি বছরই বাজেটের আকার বাড়িয়েছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্যও বাজেট দেয়া হয়েছিল প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার। এ বাজেট কার্যকরের এক মাসের মাথায় ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার সরকার। ক্ষমতা নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। অভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণকারী এ সরকার গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে বলে প্রত্যাশা ছিল সবার। যদিও এরই মধ্যে সে প্রত্যাশায় ছেদ ঘটেছে। বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেই নতুন করে গতকাল প্রায় একশ পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), সম্পূরক ও আবগারি শুল্ক আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

যেসব পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করা হচ্ছে তার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য না থাকায় সর্বসাধারণের ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না এবং মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করছে সংস্থাটি। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধ, এলপিজি, রেস্তোরাঁর খাবার ও মোবাইল ফোন সেবার ওপরও বাড়তি করারোপ করা হয়েছে, যা মানুষের নিত্যদিনের ব্যবহার্য পণ্য ও সেবা। ফলে এগুলোর কর বাড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের ব্যয় বাড়বে।

রাষ্ট্রপতি গতকাল রাতেই মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করেছেন। এ দুটি অধ্যাদেশ জারির পর এনবিআরের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। এর ফলে বাড়তি করের বিষয়টিও এরই মধ্যে কার্যকর হয়ে গেছে।

আমদানি পর্যায়ে ৩২টি পণ্যের ওপর বিভিন্ন হারে সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আমদানি করা দুই ধরনের বাদামের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। খোসা ছাড়া বা খোসাসহ তাজা বা শুকনা সুপারির ওপর শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। তাজা বা শুকনো আম, কমলালেবু, আঙুর, লেবু, লেবু জাতীয় ফল, তাজা তরমুজ ও পেঁপে, তাজা আপেল ও নাশপাতি, তাজা অ্যাপ্রিকট, চেরি ও পিচ, অন্যান্য তাজা ফল, ফলের রস এবং সবজির রসের ওপর শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।

অপ্রক্রিয়াজাত তামাক ও তামাকের উচ্ছিষ্ট আমদানিতে শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান এবং ফ্লাইং ক্লাবের মাধ্যমে আমদানীকৃত পেইন্টস ও বার্নিশ ও লেকারের ওপর আগে ২০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপিত হতো। এখন সেটি বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। সাবান, সাবান হিসেবে ব্যবহৃত সারফেস অ্যাকটিভ সামগ্রী ও সমজাতীয় পণ্যে শুল্ক ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করা হয়েছে। ডিটারজেন্ট আমদানির ক্ষেত্রে আরোপিত শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে এখন ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকা প্রধান শিরোনাম ‘বনানীর ২০ বিঘা প্রকল্পের ফাইলের হঠাৎ নড়াচড়া’। খবরে বলা হয়, কমবেশি ১৮ বছর পর রাজধানীর বনানী ৫৪ প্লট প্রকল্পের ফাইলগুলোর দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন হওয়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বনানীর এ প্লটগুলো তৎকালীন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও অন্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ওই সরকারের মেয়াদ শেষের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালে বরাদ্দ-সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফাইলগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারও দীর্ঘদিন এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ফাইলের কার্যক্রম শুরু করেছে রাজউক।

জানা গেছে, এখন থেকে বনানীর ওই প্লটগুলোর হস্তান্তর, বন্ধক, নামজারি, নকশা অনুমোদনসহ দাপ্তরিক কোনো কাজে বাধা থাকছে না। কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন বিএনপির ৭ জন নেতার নামে থাকা প্লটের আবেদনপত্র নিয়ে সেগুলোর পরবর্তী কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় কার্যক্রম বন্ধ থাকা বনানীর এ প্লটগুলোর কার্যক্রম শুরু করেছি। যাচাই-বাছাই করে একটা সমাধান করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুল ইসলাম খান গতকাল রাতে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা (মন্ত্রণালয়) অবগত নই।’ 

রাজউক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি অভিজাত এলাকা বনানীর এসব প্লটের কার্যক্রম আবার চালুর বিষয়টি বেশ জোরেশোরে আলোচনায় আসে। এরই মধ্যে বিএনপিসমর্থিত প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের (অ্যাব) নেতা প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলামকে গত বছরের ২৬ অক্টোবর ২ বছরের জন্য রাজউকের সদস্য (এস্টেট) করা হয়। এরপর সংশ্লিষ্টদের কাছে প্লট-সংক্রান্ত কার্যক্রমের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ চিত্রটি আরও পরিষ্কার হয়। ৮ জানুয়ারি রাজউকের চেয়ারম্যান এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি

কমিটি গঠন করেন। সে কমিটিতেও প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়। এরপর গতকাল এ কমিটি প্রথম সভা করে। প্রথম সভাতেই প্লটবিষয়ক ৭টি আবেদন নিষ্পত্তির বিষয়ে ইতিবাচক মতামত উঠে আসে।

রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে রাজউকের পাঁচটি এলাকার দামি প্লটগুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজউক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে যেসব ফাইলের কার্যক্রম বন্ধ করা হয় তার তালিকায় ছিল বনানীর প্রকল্পটিও। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ৫৪ জনের মধ্যে ৪১ জনই বিএনপির তৎকালীন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য; একজন চারদলীয় জোট সরকারের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সংসদ সদস্য ও একজন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। আর বাকি ১১ জনেরও বেশির ভাগ বিএনপির নেতা ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক, ব্যবসায়ী এবং চাকরিজীবী।

দেশ রূপান্তর

‘বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভর্তুকিনির্ভর বিদ্যুৎ খাতের লোকসান নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে বরং এ খাতের অযাচিত ব্যয় ও অপচয় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জ্বালানি আমদানি ও নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রতিযোগিতামূলক উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়া অনুসরণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, জ্বালানি আমদানিসহ যাবতীয় ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ সহনীয় পর্যায়ে রাখা যাবে। ভর্তুকির পরিমাণ ও বিদ্যুতের দামও কমানো সম্ভব হবে। সনদপ্রাপ্ত এনার্জি অডিটর দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে অডিট করানো হলে কেন্দ্রের দক্ষতা বাড়ানোরও সুযোগ আছে।

সম্প্রতি অনেক দরদাতার অংশগ্রহণের সুযোগ রাখায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের জ্বালানি তেল কেনায় প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ সংস্থা কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এবং জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা একাধিকবার যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছে বিদ্যুতের দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে। তারা অযাচিত ব্যয় ও অপচয়, অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করে ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা হয় এমন উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিলেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তা আমলে নেয়নি।

বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়ে ভর্তুকি সমন্বয় করলে জনঅসন্তোষ বাড়বে বলে সরকার এখন সে পথে যেতে চায় না। সম্প্রতি আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে এসে ঋণ দেওয়ার শর্ত হিসেবে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি সমন্বয়ের জন্য গ্রাহক পর্যায়ে মূল্য বাড়ানোর পরামর্শ দিলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়। জানা গেছে, অন্য যেসব ব্যয় রয়েছে, তা কমানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। খরচ কে কতটা কমাতে পারছে তার ভিত্তিতে এখন থেকে সংস্থা বা কোম্পানিগুলোকে মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।

জ্বালানিবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম গত রবিবার রাতে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় কমাতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) দায়িত্ব দিতে হবে। যাদের পয়সায় এ খাত চলে সেই ভোক্তা এবং বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য অংশীজন নিয়ে বিইআরসি একটি কমিটি গঠন করে দিলে তারাই দেখিয়ে দেবে কীভাবে কোন খাতে অযাচিত ব্যয় ও অপচয় কমানো যায়। আমলাদের কথামতো চিঠি চালাচালি করে খরচ কমানো সম্ভব নয়।’ একসময় গণশুনানির মাধ্যমে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির একক এখতিয়ার ছিল বিইআরসির। আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৩ সালে আইন পরিবর্তন করে নির্বাহী আদেশে খেয়াল-খুশিমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করলে দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলে আবার বিইআরসি তাদের ক্ষমতা ফিরে পায়।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

১০

সহযোগীদের খবর/ হাসিনাকে রেখেই এগোবে ভারত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status