অনলাইন
প্রফেসর জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু
আরিফ আল মাহফুজ, লন্ডন থেকে
(২ সপ্তাহ আগে) ৯ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:১৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যের 'দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’। বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
'দ্য লন্ডন ক্লিনিক’ এর প্রফেসর জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার এই চিকিৎসা শুরু হয়। বুধবার সাংবাদিকদের দেয়া ব্রিফিংয়ে ডা. জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, এদিন সকালে বেগম জিয়াকে ক্লিনিকে ভর্তি করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বাংলাদেশে করা চিকিৎসার নথিপত্র ও মেডিসিন পর্যবেক্ষণ করে তার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। ডাক্তার কেনেডির তত্ত্বাবধানে অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া হবে। পরবর্তীতে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদেক্ষেপ নেয়া হবে।
বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে, তবে দীর্ঘ যাত্রার কারণে একটু ক্লান্ত আছেন জানিয়ে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসকেরা যতদিন প্রয়োজন মনে করবেন ততদিন তিনি 'দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’ই ভর্তি থাকবেন। তবে
লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকেরা ছুটি দিলে বিএনপি চেয়ারপারসন কিছুদিন বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় বিশ্রাম নিতে যাবেন। সেখানেও তাকে ফলোআপে রাখা হবে।
উল্লেখ্য , উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়া বুধবার লন্ডন স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রয়্যাল স্যুট ভিআইপি লাউঞ্জে প্রোটোকল প্রদান করে । সেখানে তাকে অভ্যর্থনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হন বেগম জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধু ডাক্তার জুবাইদা রহমান। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিনী শর্মিলা রহমানও উপস্থিত ছিলেন । এছাড়াও বেগম জিয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ। দীর্ঘ ৭ বছর পর মা ছেলের সাক্ষাতে এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে যান ক্লিনিকের উদ্দেশ্যে। এসময় প্রিয় নেত্রীকে একনজর দেখার জন্য ভিড় জমান স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিস, ,আর্থ্রাইটি , লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্টসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় আসা জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তার শরীরের রক্তনালীতে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের এভার কেয়ার হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। তবে সূত্র জানিয়েছে, লন্ডন ক্লিনিকে বেগম জিয়ার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সম্ভব না হলে ডাক্তার ও পরিবারের সদস্যদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেয়া হতে পারে।
আপোষহীন নেত্রীর দ্রুত সুস্হতা কামনা করি।আল্লাহ সহায় হোন।আল্লাহ তাকে দীর্ঘজীবি করুন।
May Almighty bless her.
Allah Rabbul Aalameen Shefa dan korun.aameen
মা নেত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি