ফের গ্রেপ্তারের মুখোমুখি দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন

ফের গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল। তাকে গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন দেশটির তদন্তকারী সংস্থার সদস্যরা। নতুন করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর বুধবার ইউন সুক ইয়োলের বাসভবন ঘেরাও করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে এবারও তারা প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। সেখানে জড়ো হয়েছে ইয়োলোর হাজার হাজার সমর্থক। এছাড়া নিয়ম অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের বাসভবনে কড়া নিরাপত্তায় রয়েছেন প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিসের (পিএসএস) সদস্যরা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, ইউন সুক ইয়োলের বিরুদ্ধে তদন্তকারীদের নতুন করে পরোয়ানা জারির আবেদনের পর মঙ্গলবার তা মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে প্রথমবার তাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তবে ইউনের গ্রেপ্তারের সময় সব রকমের সংঘর্ষ এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং মোক। তদন্তকারীদের দেশটির নাগরিক এবং প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীদের সঙ্গে যেকোনো রকমের সংঘর্ষ যথাসাধ্য এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকে শীত উপেক্ষা করে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়েছে হাজার হাজার সমর্থক। বুধবার ভোর রাতের আগ থেকেই সেখানে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন তারা। এছাড়া তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বাধা দিতে বাস এবং কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করেছে পিএসএস-এর সদস্যরা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকেই সেখানে ব্যারিকেড মজবুত করেছে তারা। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের শুরুতে দেশে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল। এর জেরে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। কিন্তু তাকে পদত্যাগে ব্যর্থ হন তারা। এরপর তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের বিল পাস করা হয়। আইনত প্রেসিডেন্ট পদে থাকলেও কার্যত তিনি এখন প্রেসিডেন্টের কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ মামলায় ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে। যার তদন্ত শুরু করেছে দেশটির আর্থিক দুর্নীতি তদন্ত কমিশন। ইউনকে যদি নতুন পরোয়ানায় গ্রেপ্তারে সক্ষম হন তদন্তকারীরা, তাহলে তিনি হবেন গ্রেপ্তার হওয়া প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাটি প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন তিনি।