বিশ্বজমিন
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন
উপহার পাওয়া ফ্ল্যাটের বিষয়ে মিথ্যা বলেছিলেন টিউলিপ
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ৬ জানুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন
উপহার পাওয়া ফ্ল্যাটের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি এবং বৃটেনের লেবার পার্টির সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক। এর ফলে বৃটেনের অর্থমন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি বিভাগের দায়িত্ব থেকে তার পদত্যাগের দাবি তুলেছে বিরোধী দলের এমপিরা। এর আগে মেইল অন সানডে নামের একটি পত্রিকা বারবার টিউলিপকে প্রশ্ন করেছে তিনি দুই শয়নকক্ষের ফ্ল্যাটটি উপহার পেয়েছেন কি না। এছাড়া ৭ লাখ পাউন্ড মূল্যের ফ্ল্যাটটির মালিক টিউলিপের স্বৈরশাসক খালার ঘনিষ্ঠ ডেভেলপারের মালিকানাধীন কি না সে বিষয়েও তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তবে তিনি বারবার অস্বীকার করে এসেছেন। টিউলিপ বলেছেন যে, এটি কোনো উপহার নয়। তার দাবি ছিল তার বাবা-মা ওই ফ্ল্যাটটি তার জন্য কিনেছিলেন। এছাড়া গণমাধ্যমটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন টিউলিপ। কিন্তু এখন লেবার পার্টির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে- কিংস ক্রসের ওই ফ্ল্যাটটি আব্দুল মোতালিফ নামের ডেভেলপারের কাছ থেকে উপহার পেয়েছেন টিউলিপ। ওই ডেভেলপার হাসিনার নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামী লীগের একজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি বলেও একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল।
এতে বলা হয়, বর্তমানে বৃটেনের দুর্নীতি দমন কমিশনের আর্থিক বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন ৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক। তাকে সহ তার পরিবারের অন্য চার সদস্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের তদন্ত করছে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন।
এদিকে টিউলেপের বিরুদ্ধে এমন বিতর্ক ওঠায় তার পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন বৃটিশ পার্লামেন্টের বিরোধী শিবিরের এমপিরা। গত রাতে কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা বলেছেন, ফ্ল্যাটের বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে তিনি (টিউলিপ) যেন ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। হ্যারো ইস্টের কনজারভেটিভ এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেন, টিউলিপের নিজ সম্পত্তি সংক্রান্ত অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত। মূলত কি হয়েছিল তা স্পষ্ট করারও আহ্বান জানিয়েছেন ওই এমপি। তিনি বলেন, যদি তিনি ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হন তাহলে তিনি মন্ত্রী পদের জন্য অযোগ্য।
ম্যাট ভিকারস নামের বৃটেনের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী বলেন, সরকারের যেকোনো সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অগ্রহণযোগ্য। আর ওই মন্ত্রী যদি প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের দুর্নীতি দমন বিষয়ক মন্ত্রী হন তাহলে সেটি আরও বেশি প্রশ্নবিদ্ধ।
টিউলিপের বিরুদ্ধে চলমান বিতর্কটি উদ্বেজনক উল্লেখ করে হান্টিংডনের কনজারভেটিভ এমপি বেন ওবেশ-জেক্টি বলেন, এখন যখন জানা গেল ওই ফ্ল্যাট কেনা হয়নি বরং উপহার হিসেবে পেয়েছেন; টিউলিপকে আরও বেশি প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।
গত রাতে মেইল অন সানডে’কে লেবার পার্টির একাধিক সূত্র জানিয়েছে যে, এর আগে ২০২২ সালে যখন টিউলিপ এবং তার পরিবারের কাছে ফ্ল্যাটটি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় তখন তারা জানিয়েছিলেন সেটি ক্রয় করা হয়েছে। তবে গত সপ্তাহ থেকে পরিববার তাদের কথা পাল্টাতে শুরু করেছে।
শনিবার লেবার পার্টির এক ঘনিষ্ঠ সূত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, জীবনের কঠিন মুহূর্ত পার করার সময় একজনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন টিউলিপের পরিবার। যার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ টিউলিপকে ওই ফ্ল্যাটটি উপহার হিসেবে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। একাধিক প্রতিবেদনে ওই ফ্ল্যাট দাতার নাম আব্দুল মোতালিফ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যিনি শেখ হাসিনার খুব কাছের লোক।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই মেইল অন সানডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন লেবার পার্টির একাধিক ব্যক্তি। তারা বলেন, দুই বছর আগে যখন টিউলিপকে ওই ফ্ল্যাটের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তখন যে তারা সঠিক ছিল সে তথ্য যেন প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্তব্য করতে রাজি হননি টিউলিপ সিদ্দিক। তবে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, কীভাবে সম্পত্তির মালিকানা পেয়েছিলেন তা নিয়ে আগের মন্তব্য থেকে সরে এসেছেন টিউলিপ।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, টিউলিপ যখন ভুল বুঝতে পেরেছেন তখনই যে সাংবাদিকরা তাকে ওই ফ্ল্যাটের ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিলেন তাদের সঠিক তথ্য পাওয়ার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন।
বৃটেনের ভূমি নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্যানুযায়ী, ২০০৪ সালের নভেম্বরে কিংস ক্রসের একটি ভবনে তৃতীয় তলার ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা পান টিউলিপ। সেসময় তিনি লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে সবেমাত্র এমএ শেষ করেছেন। এছাড়া সেসময় টিউলিপের কোনো জ্ঞাত আয়ও ছিল না। এর দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে তিনি ওই ফ্ল্যাটটি ক্রয় করেননি। তার কাছে শুধুমাত্র মালিকানা হস্তান্তর করা হয়েছে।
গণমাধ্যমটির অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০১ সালে ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড দিয়ে ওই ফ্ল্যাট কিনেছিলেন আব্দুল মোতালিফ। এর পরের বছর এপ্রিল মাসে টিউলিপের কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি কীভাবে ওই ফ্ল্যাট পেয়েছেন। তখন লেবার পার্টির পক্ষ থেকে ইমেইলে দেয়া জবাবে বলা হয়, ২০ বছর আগে টিউলিপের বাবা-মায়ের যখন বিচ্ছেদ হয়, তখন তারা তাদের পারিবারিক বাড়ি বিক্রি করে দেন। সেই অর্থ দিয়েই কিংস ক্রস এলাকায় তাকে ফ্ল্যাট কিনে দেয়া হয়। এই অর্থ অন্য কোনো উৎস থেকে এসেছে এমন কোনো ইঙ্গিত সম্পূর্ণ ভুল এবং মানহানিকর। টিউলিপের পারিবারিক বাড়ি বিক্রি করার দাবির বিষয়টি নিয়েও তখন অনুসন্ধান চালায় মেইল অন সানডে। তারা জানতে পারে, ২০০২ সাল বা এর আগে টিউলিপের পরিবার কোনো বাড়ি বিক্রি করেনি। এরপর জুলাই মাসে আবারও টিউলিপ ও লেবার পার্টিকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, তিনি আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেন।
টিউলিপের পার্লামেন্টারি অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো এক ইমেইল জবাবে বলা হয়, যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ভুল এবং অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব তথ্য কোনো লেখায় প্রকাশ করার পরিকল্পনা করা হলে টিউলিপ আইনি পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবেন না। আরও বলা হয়, যেমনটা আগেই বলা হয়েছে, টিউলিপের বাবা-মায়ের পরিবারের বাড়ি বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে ওই ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে। টিউলিপ এই কথা বলার পর তখন আর প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি মেইল অন সানডে।
টিউলিপকে ফ্ল্যাট দেয়া আব্দুল মোতালিফ আওয়ামী লীগের একজন ঘনিষ্ঠ সমর্থক। বাংলাদেশে এই দলটি দমনমূলক রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত। যার নেতৃত্বে রয়েছেন টিউলিপের খালা শেখ হাসিনা। গত আগস্টে ছাত্রনাগরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান তিনি। মন্তব্যের জন্য হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি গণমাধ্যমটি।
The innate nature of truth does not remain suppressed for long.
দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গড়ায়......
Thief/corrupt family will be thief/corrupt even in heaven
sheikh family members seems all are dishonest, liar and theif !!
ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ
লুটপাট মিথ্যাচার প্রয়োজনে হত্যা গুম খুনই হলো মুজিব বংশধরদের প্রধান নেশা। পৃথিবীর ভয়াবহতম স্বৈরাচার শেখ হাসিনার স্বৈরাচারীপনা মিথ্যাচার নৃশংসতা দানবীয়তা অপাচার অত্যাচার এক গুয়েমিপনা ইতিহাসে বিরল। তার আত্মীয় স্বজনরাও একই দোষে দুষ্ট। এদের হাতে দেশ জাতি বিশ্ব কেহই নিরাপদ নয়।দুর্বৃত্তায়ন দুর্বিচার এদের মজ্জাগত উপসর্গ।এদের স্পর্শ থেকে দেশ জাতি সমাজ বিশ্ব মুক্তি চায়।
সাড়ে ১৫ বছরে দেশ থেকে বিদেশে যে পরিমাণ অর্থ তাঁরা পাচার করেছেন, তা দিয়ে বাকি জীবন বিদেশে আরাম-আয়েশে কাটিয়ে দেবেন তাঁরা। আফসোস হচ্ছে, তাঁরা যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে ভেগে যেতে পেরেছেন, সে অর্থ দেশের জনগণ হয়তো কখনোই ফেরত পাবেন না।
Full Sheikh family is fully corrupted by born thieves