ভারত
ফের উত্তপ্ত মণিপুর, পুলিশ সুপারের অফিসে হামলা চালালো উত্তেজিত জনতা
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ সপ্তাহ আগে) ৫ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ৩:৫০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১০ পূর্বাহ্ন
নতুন করে ফের একবার হিংসার ঘটনা ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুরে। কুকি জনজাতির বিক্ষোভ ছিল সেই রাজ্যে। আর তা ঘিরেই নতুন করে অশান্তি ছড়ালো কাংপোকপিতে। শুক্রবার রাতে পুলিশ সুপারের দফতরে হামলা চালিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা কাংপোকপির এসপি অফিসে ঢিল ছুড়েছে এবং পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিশ সুপার মনোজ প্রভাকর মাথায় আঘাত পেয়েছেন। গোটা শহরটি রাত পর্যন্ত অস্থিতিশীল ছিল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে মণিপুরে। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সমস্ত বাহিনীকে অ্যালার্ট করা হয়েছে। একই সঙ্গে মণিপুরের সমস্ত থানাগুলোকেও অ্যালার্ট করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাংপোকপি থেকে যে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়েছে তাতে দেখা গেছে যে হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীরা রাস্তায় হাঁটছে। পুলিশ সুপারের দফতরের কাছে থাকা যানবাহনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হিংসায় রাশ টানতে গত কয়েকমাস ধরে মণিপুরের নানা অঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। কুকি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ইতিমধ্যেই। কয়েকদিন আগেই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং সে রাজ্যের মানুষের কাছে ক্ষমা চান। ২০২৫ সাল রাজ্যের পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সেই চেষ্টা করবেন বলেও মন্তব্য করেন। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠলো উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। কাংপোকপি শহরে ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনাটি কুকি-জো সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলায় ২৪ ঘণ্টার বনধের মধ্যে ঘটেছিলো, যা উপজাতি ঐক্য কমিটি দ্বারা ডাকা হয়েছিল। জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং কুকি-জো নারীদের মধ্যে সংঘর্ষের প্রতিক্রিয়ায় এই বনধ ডাকা হয়।
উল্লেখ্য, কাংপোকপির পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আর তা যাতে সরানো হয় সেই দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানাচ্ছে কুকি জনজাতির মানুষ। আর সেই দাবিতেই মানুষ পথে নামেন দলে দলে। গ্রাম থেকে নিরাপত্তাবাহিনী সরানোর দাবিতে ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশ সুপারের অফিসে। এই হামলায় সুপারের অফিসের পাশাপাশি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে পুলিশের একাধিক গাড়ি
মণিপুর পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, “নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা জবাব দেয় এবং জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পর্যাপ্ত শক্তি প্রয়োগ করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কাংপোকপির পুলিশ সুপার চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং এখন তিনি ভালো আছেন।
বর্তমানে পরিস্থিতি মোকাবেলায় যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। '
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস