বিশ্বজমিন
গত বছরে ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২২০০ অভিবাসী
মানবজমিন ডেস্ক
(২ সপ্তাহ আগে) ৪ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ৯:১৭ অপরাহ্ন
অবৈধ উপায়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে ২০২৪ সালে ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২২০০ মানুষ। এক বিবৃতি’তে এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন ইউনিসেফের ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক রেজিনা ডি ডমিনিসিস। নতুন বছরের প্রাক্কালে লিবিয়ার উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরে ২০ জন যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ হয় একটি বোট। তীব্র ঢেউ উপেক্ষা করে আট বছরের সিরিয়ান বালকসহ সাত ব্যক্তি জীবিত ফিরে আসেন ওই দুর্ঘটনা থেকে। ইতালির পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পূর্বে তারা ল্যাম্পেদুসা দ্বীপে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। ৬ মিটার লম্বা ওই বোট সোমবার রাত দশটার দিকে লিবিয়ার জুয়ারা ত্যাগ করে। এর পাঁচ ঘণ্টা পর নৌকাটি’তে পানি ওঠা শুরু করে। যাতে আতঙ্কিত হয়ে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন বোটে থাকা ২০জন যাত্রী। দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সোমবার ইউরোপ যাওয়ার পথে আরেকটি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় পাঁচ বছরের শিশুসহ দুইজন। উত্তর তিউনিশিয়ার উপকূল রেখার কাছে বোট ভেঙ্গে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ডিসেম্বরে ল্যাম্পেদুসা থেকে উদ্ধার করা হয় এগার বছর বয়সী এক শিশুকে। সাধারণ লাইফ জ্যাকেট পরে দুটি টায়ার আঁকড়ে ছিল ওই শিশু। উদ্ধারকারীদের ওই শিশু জানায়, সে তিন দিন ধরে এ অবস্থায় পানিতে ভাসছিল। ডুবে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয় বোটে থাকা ৪০ যাত্রীর। এক মাস আগে ইতালির উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও নরহত্যার অভিযোগে ফৌজদারি মামলা করে সি-ওয়াচ নামে জার্মান এনজিও। ল্যাম্পেদুসা’তে বোটডুবিতে নিহত ২১ জনের মৃত্যু’কে কেন্দ্র করে ওই মামলা করা হয়। ভূমধ্যসাগরীয় পথ ব্যবহার করে ইউরোপগামী শরণার্থীদের বেশির ভাগ যায় ইতালিতে। ২০১৪ সালের পর থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার সময় ২৫ হাজার ৫০০ মৃত্যু রেকর্ড করেছে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)। ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি গেছেন ৬৬ হাজার ৩১৭ জন। যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। এর কৃতীত্ব দেয়া হয় জর্জিয়ার মেলোনি সরকারের কঠোর নীতি’কে।