ভারত
‘কেরালা মিনি পাকিস্তান, জঙ্গিদের ভোটে সাংসদ রাহুল-প্রিয়াঙ্কা'
মানবজমিন ডিজিটাল
(৩ সপ্তাহ আগে) ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৫:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২০ পূর্বাহ্ন
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক তথা মন্ত্রী নীতেশ রানে কেরালাকে ‘মিনি-পাকিস্তান’ হিসাবে বর্ণনা করার পর থেকে তা বিরোধীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। পুনে জেলার পুরন্দর তালুকায় একটি সমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময়, রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী নীতেশ এএনআইকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘কেরালা মিনি পাকিস্তান। তাই রাহুল গান্ধী এবং তার বোন প্রিয়াঙ্কা সেখান থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। সমস্ত সন্ত্রাসীরা তাদের ভোট দিয়েছে। এটাই সত্য, তারা সন্ত্রাসীদের ভোট নিয়ে সাংসদ হয়েছেন।’
মহারাষ্ট্রের বিরোধী পার্টি মহা বিকাশ আঘাডি নীতেশ রানেকে তার মন্তব্যের জন্য নিন্দা করেছে। শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা আনন্দ দুবে পিটিআইকে বলেছেন, ‘বিজেপি নেতারা চিন্তিত কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদি মাত্র এক লাখ ভোটে জিতেছেন, তারা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এতো বড় মার্জিনে জয় হজম করতে পারছেন না৷’
মহারাষ্ট্রের সপা নেতা আবু আজমি বলেন, ‘নীতেশ রানে অত্যন্ত হীন ব্যক্তি। ওনার কাজই হল ঘৃণ্য ভাষণ দেয়া। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চাইলে ওনার জন্য এমন একটি মন্ত্রক তৈরি করতে পারেন যার কাজ হবে দেশে ঘৃণা ছড়ানো। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে ঘৃণ্য ভাষণ ছড়ালে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার। আমাদের সরকার কি নপুংসক হয়ে গিয়েছে? নাহলে কেন এর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়া হয় না?’
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নারায়ণ রানের পুত্র নীতেশের ধর্ম নিয়ে ঘৃণা ভাষণ নতুন কিছু নয়। এই বছরের শুরুতে মুম্বইয়ে গনেশ পুজোয় উপস্থিত হয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, গত এপ্রিল মাসে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুসলিমদের মসজিদে ঢুকে মারার হুমকি দিয়েছিলেন এই বিধায়ক। এবারে তার ঘৃণা ভাষণকে কেন্দ্র করে বিতর্ক জন্ম নেয়ায় নীতেশ রানে বলেন, 'কেরালা ভারতের অংশ। যাইহোক, হিন্দুদের ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যা এমন একটি বিষয় যা সকলেরই উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। হিন্দুদের মুসলমান এবং খ্রিস্টান (ইসলাম এবং খ্রিস্টান) ধর্মে রূপান্তর সেখানে নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে হিন্দু নারীদের টার্গেট করা হয় সেখানে লাভ জিহাদের ঘটনাও বাড়ছে। আমি পাকিস্তানের সাথে (কেরালের) পরিস্থিতি তুলনা করছিলাম। পাকিস্তানে হিন্দুদের সাথে যেভাবে আচরণ করা হয় যদি আমাদের নিজের দেশে এমন পরিস্থিতি হয়, আমাদের অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি আমার বক্তব্যে সেটাই বলার চেষ্টা করছিলাম। রানের দাবি, তিনি ১২ হাজার হিন্দু নারীদের 'ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধা দিয়েছিলেন।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস