ইরানে হামাস প্রধানকে হত্যা করার কথা স্বীকার করলো ইসরাইল

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরাইল কাটজ প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন দেশটির বাহিনী গত জুলাইয়ে ইরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যা করেছে। গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ এবং লেবাননে সংঘাতের কারণে তেহরান ও তার চিরশত্রু ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

কাটজ বলেছেন, যখন হুতি সন্ত্রাসী সংগঠন ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে, আমি তাদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই-আমরা হামাসকে পরাজিত করেছি, আমরা হিজবুল্লাহকে পরাজিত করেছি, আমরা ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছি। আমরা সিরিয়ায় আসাদ সরকারকে পতন করেছি। এবার ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের কড়া জবাব দেব আমরা।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে কাটজ বলেন, হুতি বিদ্রোহীদের নেতৃত্বকে ছিন্নভিন্ন করব। ঠিক সেভাবে, যেভাবে আমরা হানিয়েহ, সিনওয়ার, হাসান নাসরল্লাহকে তেহরান, গাজা ও লেবাননে হত্যা করেছি। ইয়েমেনের হোদেদা ও সানাতেই এমনটাই ঘটবে।'

এরপর চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে তার মাথা কেটে নেয়া হবে। ইসরাইলি সেনার নজর থেকে ওরা রেহাই পাবে না, নিজেদের কৃতকর্মের ফল ভুগতে হবে ওদের।

ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি ইসরাইলের ওপর একটি নৌ অবরোধ কার্যকর করার চেষ্টায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। গাজায় ইসরাইলের বছরব্যাপী যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে তারা।

জুলাইয়ের শেষের দিকে তেহরানে ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী দল হামাসের রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলকে দায়ী করে ইরানি কর্তৃপক্ষ। সেই সময়ে হানিয়াহ হত্যার জন্য ইসরাইল সরাসরি কোনো দায় স্বীকার করেনি। হানিয়াহ হামাসের আন্তর্জাতিক কূটনীতির মুখ ছিলেন।

গত ৩১শে জুলাই তেহরানে হানিয়াহকে হত্যার পর হামাস প্রধানের দায়িত্ব নেয় ইয়াহিয়া সিনওয়ার। গত ২১ শে সেপ্টেম্বর তাকেও হত্যা করে ইসরাইল। দক্ষিণ গাজার একটি স্কুলে বোমাবর্ষণে মৃত্যু হয় তার। একইভাবে লেবাননে বাঙ্কারের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জিবুল্লাহ প্রধান নাসরাল্লাহকে হত্যা করে ইসরাইলের গুপ্ত ঘাতকরা।

সূত্র: এনডিটিভি