ভারত
মসজিদের নীচে মন্দির খোঁজার প্রবণতা সমর্থনযোগ্য নয়: আরএসএস প্রধান
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ মাস আগে) ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৫:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১২ পূর্বাহ্ন
ভারত জুড়ে যেভাবে নানা জায়গায় মসজিদের নীচে মন্দির খোঁজা হচ্ছে তা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। বৃহস্পতিবার পুণেতে একটি ধর্মীয় সভার অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন কট্টর হিন্দুবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের(আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। প্রত্যেক দিন যে ভাবে মন্দির-মসজিদ বিতর্ককে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে, তাতে অসন্তুষ্ট ভাগবত বলেন, অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হওয়ার পর কেউ কেউ মনে করছেন তারা নতুন নতুন জায়গায় একই ধরনের বিষয় সামনে এনে হিন্দুদের নেতা হয়ে উঠবেন। এটা মানা যায় না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশের নানা জায়গায় বিভিন্ন মসজিদের সমীক্ষার দাবি তুলে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে ছোট-বড় নানা ধরনের হিন্দু সংগঠন, কিংবা কোনও হিন্দু নেতা বা ব্যক্তি। উদ্দেশ্য একটাই - সেই মসজিদের স্থানে কোনও যুগে মন্দির ছিল কিনা, সেটা যাচাই করে দেখা। এর জেরে সম্প্রতি দেশের অনেক জায়গাতে অশান্তি, সাম্প্রদায়িক হিংসা পর্যন্ত হয়েছে।
ভাগবত বলেন, রাম মন্দির একটা বিশ্বাস ও আস্থার বিষয় ছিল। আর হিন্দুদের মনে হয়েছিল, এটা অবশ্যই গড়ে তোলা উচিত। কিন্তু, যেভাবে নতুন বেশ কিছু স্থানে একই ধরনের ইস্যু তুলে ধরা হচ্ছে, এবং তার ফলে যে ঘৃণা এবং শত্রুতার বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে, তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু নিয়ে ভাগবতের ব্যাখ্যা, ভারতে সবাই সমান। এখানে সবাই নিজের মতো করে উপাসনা করতে পারেন। বাঁচার জন্য যেটা প্রয়োজন তা হল, সম্প্রীতি আর আইনশৃঙ্খলা মেনে চলা। তিনি আরও বলেন, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। ভারতের সেই নজির গড়ে তোলা উচিত, যেখানে বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী ও সম্প্রদায়ের মানুষ একইসঙ্গে পাশাপাশি সহবস্থান করতে পারে।
ভারত সর্বক্ষেত্রে একটি হিন্দুত্ববাদী দেশ। ওদের প্রত্নতত্ববিদরা তাই অন্য কিছু খোজা বাদ দিয়ে শুধু মসজিদের নিচে মন্দির খুজে পাচ্ছে।
ভারত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বলে আবার আবার ধর্মীয় সংখ্যালগুদের অধিকার হরণ করে তাদের উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার নিপীড়ন চালানো হয়, কট্রর মৌলবাদী সন্ত্রাসী রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে রেখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সপ্ন দেখা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।
একি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে!
তোমাদের চালাকি আর মুসলিম জাতিকে বুঝাতে হবে না। সময় দ্রুত ঘনিয়ে আসছে হিসাব নিকাশ মিলিয়ে নেয়ার। ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা কর আর চুপ থাকো।
এতোক্ষণে অরিন্দম--, ভুতের মুখে রামনাম।
মসজিদ ভেঙ্গে রাম মন্দির নির্মাণ গুজরাট কসাইয়ের রাজনৈতিক উল্থানের সিঁড়ি হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। জনগণ মোদির উপর ক্রমশ সমর্থন হারাচ্ছে ও ঘৃণা জন্মাচ্ছে। রাম মন্দিরটি যদি অন্য কোন জায়গায় নির্মাণ হতো তাহলে সে রাম মন্দির ভাঙ্গার ভবিষ্যৎ কোন পরিকল্পণাও থাকত না। দাঙ্গাও হত না।