বিশ্বজমিন
বাংলাদেশ ইস্যুতে যা জানালো মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৩৬ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বলেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। মঙ্গলবার নিয়মিত বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ব্রিফিংয়ে মিলারকে উদ্দেশ্য করে এক সাংবাদিক বলেন, সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক প্রভাবশালী উপদেষ্টা- যাকে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের কথা উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কি উদ্যেগ নেবে বা তাদের এ নিয়ে কোনো উদ্বেগ রয়েছে কিনা? জবাবে ওই মন্তব্য সম্পর্কে অবগত নন বলে জানিয়েছেন ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেছেন, আপনার কাছ থেকেই আমি এটা প্রথম শুনলাম। এ ছাড়া আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। সুতরাং এক্ষেত্রে আমি স্বাভাবিক নিয়মেই আগাবো। কেননা আমি যখন কোনো মন্তব্য দেখিনি বা এর প্রেক্ষাপট জানি না- তা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করব না।
ওই সাংবাদিক শেখ হাসিনার বক্তৃতার ওপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে এর জবাব দেননি মিলার। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
আরেক প্রশ্নে ওই সাংবাদিক বলেন, সেখানে (বাংলাদেশে) ৩০ জনের বেশি সাংবাদিক ৬০ দিনের বেশি সময় ধরে জেলে আটক রয়েছেন। এখন পর্যন্ত যাদের শুনানিও করা হয়নি। এছাড়া কোনো জামিনও মঞ্জুর হয়নি। ইতিমধ্যেই কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স এবং অনেক মানবাধিকার সংস্থা ড. ইউনূসের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে। যেখানে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতেরও স্বাক্ষর রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কি তাদের জামিনের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেবে? জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে লক্ষ্য করে মিলার বলেন, আমি এই সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, যেমনটি আমরা আগের সরকারকেও স্পষ্ট করেছিলাম- যুক্তরাষ্ট্র মনে করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা উচিত। আর এসব মামলার ক্ষেত্রে আইনের শাসন এবং সংবাদপত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মোকাবিলা করা উচিত।
অন্য আরেক সাংবাদিক বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য আরাকান আর্মির দখল নেয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। জবাবে মিলার বলেন, এসব ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন মিলার।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান অগ্রাধিকার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের সময় নিয়ে জানতে চাইলে মিলার এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পাঠকের মতামত
এরা কেউ বাংলাদেশের বন্ধু নয় বরং ভারতীয় সফট পাওয়ার । বিধায় বলা যেতেই পারে এরা সবাই বাংলাদেশের শত্রু।