ভারত
প্যালেস্টাইনের পর এবার বাংলাদেশ লেখা ব্যাগ নিয়ে সংসদে প্রিয়াঙ্কা
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ মাস আগে) ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৪:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৬ অপরাহ্ন
সোমবার 'প্যালেস্টাইন' লেখা ব্যাগ নিয়ে সংসদে উপস্থিত হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। আজ সংসদে 'বাংলাদেশ' লেখা ব্যাগ নিয়ে পৌঁছলেন সোনিয়া কন্যা। সেই ব্যাগে বার্তা লেখা ছিল ‘হিন্দু এবং খ্রিস্টানদের পাশে দাঁড়াতে হবে’।
বাংলাদেশে হিন্দু ও খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রকে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জি জানান প্রিয়াঙ্কা। কংগ্রেস সাংসদের বাংলাদেশ লেখা ব্যাগ দেখে অনুপ্রাণিত হন বিরোধী দলের সাংসদ ও নেতা-কর্মীরাও। এদিন তারাও একই ব্যাগ কাঁধে নিয়ে পড়শি দেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনের’ প্রতিবাদ জানান।
গতকাল বিজয় দিবস উপলক্ষে বলতে উঠে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভারত সরকারের তরফ থেকে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি । আর আজ বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের’ বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হন প্রিয়াঙ্কা। এছাড়াও কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশ, গৌরব গগৈরাও ছিলেন সেখানে। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় প্রিয়াঙ্কা সহ বাকি বিরোধী সাংসদদের হাতে প্ল্যাকার্ড এবং ব্যাগ ছিল।
যদিও ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রিয়াঙ্কা গান্ধির প্রতীকী ইঙ্গিতকে অনর্থক বলে অভিহিত করেছে। বিরোধীদের এই বিক্ষোভ প্রদর্শনকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আমি এটা দেখে অবাক। আমাদের বিরোধী দল সবসময় শুধু মুসলমানদের নিয়েই চিন্তিত। ভারতে 'সংখ্যালঘু' অর্থ বদলে গিয়েছে। কংগ্রেস এবং আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা সংখ্যালঘু বলতে শুধু মুসলমানদেরই বোঝেন। তারা এখন হিন্দুদের জন্য আন্দোলন করছে, তাই এটা একটা বড় পরিবর্তন। সম্ভবত এটাই মোদি ম্যাজিক।'
প্রসঙ্গত সোমবার প্রিয়াঙ্কাকে দেখা যায় বিশেষ এক ব্যাগ কাঁধে নিয়ে সংসদে ঢুকতে। যা নজরে কাড়ে সকলের। ব্যাগটিতে বড় বড় অক্ষরে লেখা প্যালেস্টাইন। এর ঠিক নিচেই আঁকা ছিল একটি তরমুজ। যা প্যালেস্তিনীয় সংহতির প্রতীক। এই ব্যাগকে হাতিয়ার করেই প্রিয়াঙ্কাকে কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ গুলাম আলি খাতনা। সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “খবরে আসার জন্য অনেকে এমন কাজ করেন। সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করলে মানুষ এরকমই পথ অনুসরণ করে থাকেন।”
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
ছোটলোক এবং মিথ্যাবাদী ভারতীয়দের কাছ থেকে এটাই আশা করা যায়।
ভারতের সব দল রাজনৈতিক দৈন্যতায় ভূগছে। উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে রাজনৈতিক ফয়দা লাভের চেষ্টা করছে।বাংলাদেশের হিন্দুরা ভারতের মুসলমানদের চেয়ে অনেক সুখে আছে।আগে ভারতের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা পাচ্ছেন।
ভারতে অবস্থানরত মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশে আগে দাঁড়াতে হবে,তার পরে অন্য দেশ নিয়ে চিন্তা করুন
এসব শুধু প্রোপাগান্ডা এরবেশি কিছু নেই। প্যালেস্টাইন শেষ এবং আরব ও শেষ।