ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪ রজব ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

‘উধাও’ হওয়া ভোজ্য তেল বাজারে ফিরেছে

স্টাফ রিপোর্টার
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার

গত কয়েকদিন ধরে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দেয়। ধীরে ধীরে বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় বোতলজাত সয়াবিন। ক্রেতারা তেলের জন্য হন্যে হয়ে ছুটেন দোকান থেকে দোকানে। এই অবস্থার মধ্যে  সোমবার বাণিজ্য উপদেষ্টা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেন। দাম বাড়ানোর পর বদলে গেছে বাজারের চিত্র। এখন প্রায় সব দোকানেই মিলছে তেল। দাম নেয়া হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি। উধাও হওয়া সয়াবিন এত দ্রুত কীভাবে বাজারে আসলো তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ক্রেতাদের। 

সিন্ডিকেট না ভেঙে এভাবে দাম বাড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বৃদ্ধির ঘোষণার পর ডিলাররা বাজারে তেলের সরবরাহ বাড়িয়েছে। বোতলের গায়ে আগের মূল্য লেখা থাকলেও দোকানদাররা নতুন মূল্যে বিক্রি করছেন। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে চার দিনের ব্যবধানে এসেছে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের চারটি জাহাজ। ৫২ হাজার টন সয়াবিন তেল আনা হয়েছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল থেকে। 
সরজমিন মঙ্গলবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফার্মগেট কাঁচা বাজার, মিরপুর, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া ও মোহাম্মদপুর বাজারে ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাওরান বাজারে দেখা গেছে সব দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেলের। বিক্রি হচ্ছে আগের মূল্যের থেকে বেশি দামে। মানা হচ্ছে না সরকার নির্ধারিত মূল্য। শোয়াইব নামে একজন ক্রেতা জানান, তিনি ৫ লিটার সয়াবিন তেল কিনেছেন। বোতলের গায়ে মূল্য ৮১৮ টাকা থাকলেও তার কাছ থেকে রাখা হয়েছে ৮৮০ টাকা। তিনি বলেন, এভাবে সিন্ডিকেটের কাছে সরকার নতি স্বীকার করলে পরিবর্তনটা আসবে কীভাবে। সিন্ডিকেট না ভেঙে দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। দেখেন না দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাজারে এখন প্রচুর তেল দেখা যাচ্ছে। এগুলো তো আগে থেকেই স্টক করে রেখেছেন তারা।

পূর্ব রাজাবাজার এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী জলিলুর রহমান বলেন, প্রতি বছরই শীত মৌসুমে ডিলার ও মালিকরা এমন কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন দাম বাড়ানোর অজুহাতে। এই সিন্ডিকেট ভাঙাটা জরুরি, কয়েক দিন হলো তেল পাচ্ছি না। কেউ অর্ডার কাটতে আসছে না। আজকে থেকে সবাই অর্ডার কাটতে আসছেন। এর মানে তাদের কাছে তেল আগে থেকেই ছিল।

অন্যান্য সকল বাজারে তেলের সরবরাহ বেশি দেখা গেলেও গুলিস্তান কাঁচা বাজারে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এখানে  বেশির ভাগ দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল দেখা যায়নি। দুই চারটি দোকানে রয়েছে অল্পকিছু  তেল। মুদি দোকানি লিটন বলেন, আমাদের বাজারে এখনো তেলের  বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট রয়েছে। আজকেও কোনো কোম্পানি অর্ডার কাটতে আসেনি। 

মিরপুর-১০ কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী সাগর হোসেন বলেন, আজকে আমাদের বাজারে তেলের সরবরাহ মোটামুটি রয়েছে। এখনো স্বাভাবিক হয়নি। তবে অর্ডার কাটতে এসেছে কোম্পানির কর্মকর্তারা। মিরপুরের পল্লবী এলাকার বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে এসব দোকানে বিভিন্ন ব্রান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ানোর এক দিনের কম সময়ে এই তেল কোথা থেকে আসলো এই প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারছেন না দোকানিরা। 

উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী  বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 
 

পাঠকের মতামত

সিন্ডিকেট লীগ ।

Mohammed
১২ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১:১৬ পূর্বাহ্ন

লীগ সিন্ডিকেট

A Rahim
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৫:০৫ অপরাহ্ন

অবৈধ মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে সরকারি উদ্যোগে স্পষ্ট ও সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্হা চাই।

মোঃ মাহফুজুর রহমান
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৩:২৩ অপরাহ্ন

অবৈধ মজুতদারদের গ্রেফতার করে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক অবিলম্বে

ইরফান
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৮:২০ পূর্বাহ্ন

রাষ্ট্র সংস্কারের অন্যতম কাজ হওয়া উচিত রাষ্ট্রদ্রোহি ব্যবসায়ী সিন্ডিক্টকে সমূলে উৎপাটন করা। এই সকল দুর্বৃত্ব দের হাত থেকে আমাদেরকে বাচান। চালের সিন্ডিকেট, ডিমের সিন্ডিকেট,পেয়াজ আলুর সিন্ডিকেট, ভোজ্যতেলের সিন্ডিকেট, কৃষিজাত পণ্যের সিন্ডিকেট, এই সিন্ডিকেটের ফাদ আর কতদিন চলরে? ভাবতে আশ্চার্য্য লাগে যে রাষ্ট্র সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে পারেনা! পণ্য আহরন-সংরক্ষন ও বিতরন ব্যবস্হাপনায় বৈপল্বিক সংস্কার করতে হবে।

তৈমুর
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৭:১৭ পূর্বাহ্ন

শেখ মুজিবের জন্ম দেয়া এসব চোরদের শায়েস্তা করতে পদ্ধতি একটা বের হবে।এরাও পালাবার পথ পাবে না।জনগণ আস্তে আস্তে সজাগ হচ্ছে।

লিমা
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৬:৩২ পূর্বাহ্ন

ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট সরকার ধরছেনা কেন? ভাঙ্গছেনা কেন? আমরা সাধারন জনগন এখানে খুব হতাশ হচ্ছি

Abdul Matin Sikder
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১:১৮ পূর্বাহ্ন

বাঙালি ব্যবসায়ীরা চরিত্র ও বিবেক হীন মুনাফাখোর। এদের সিণ্ডিকেট ভাঙ্গার একমাত্র পথ পর্যাপ্ত আমদানি করে বাজার কে পণ্যের সয়লাব করে ভাসিয়ে দেওয়া । বরং লুকানো মজুদ লোকসান দিয়ে বিক্রিতে বাধ্য করা।

Kazi
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

Hamdard

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status