অনলাইন
অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার ‘অবিশ্বাস্য সম্পদের’ অভিযোগ তদন্তের রিট খারিজ
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:১৪ অপরাহ্ন
অধস্তন আদালতের প্রায় অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার ‘অবিশ্বাস্য সম্পদ’ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার রিটের শুনানি শেষে তা সরাসরি খারিজ করে (সামারিলি রিজেক্ট) আদেশ দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রিটকারী আইনজীবী মো. আমিমুল এহসান জুবায়ের নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ।
এর আগে গতকাল সোমবার অধস্তন আদালতের প্রায় অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার অবিশ্বাস্য সম্পদের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আমিমুল এহসান জুবায়ের।
রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, অবিশ্বাস্য সম্পদ অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার শীর্ষক সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে অধস্তন আদালতের বিচারক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ ও দুর্নীতির বিষয়ে ওঠা অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৪ই অক্টোবর প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার অবিশ্বাস্য সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের অনেকেই অবৈধ উপায়ে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কেউ কেউ আবার হাজার কোটি টাকার মালিক। অনেকের আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে দেশে-বিদেশে। কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি কিনেছেন বেশ কয়েকজন। শত শত বিঘা জমির মালিকানা অর্জন করেছেন কয়েকজন। দুদকের গোয়েন্দা শাখার গোপন অনুসন্ধানে বিচার বিভাগের ৫১ জনের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদের তথ্যও রয়েছে দুদকের কাছে।
বাংলাদেশের বিচারক রা হচ্ছে দেবতুল্য। তাদের ঘটি বাটি র সন্ধান করা নাজায়েজ কাজ।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এস আলম, বেনজীর, কিংবা ছাগল কান্ডের ন্যায় হলো কি?
এতো বড় সন্দেহের সমাধান হওয়া উচিত ছিল আরও তদন্তের মাধ্যমে।
বিষয়টিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দ্রুত মনোযোগ দেওয়া উচিত।
যে মহামান্য বেঞ্চ এই রিট খারিজ করেছেন, সেই বেঞ্চের বিচারকদের সম্পদের তথ্য আগে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন।