অর্থ-বাণিজ্য
ড্যাপ সংশোধন চান ঢাকার ভূমিমালিকেরা
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১২:২১ অপরাহ্ন
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তৈরি ড্যাপের বিধিমালা সংশোধন চান ঢাকা শহরের ভূমিমালিকেরা। একই সঙ্গে ২০০৮ সালের বিধিমালা অনুসারে ভবন নির্মাণের অনুমতি চান তাঁরা।
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ড্যাপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা শহরের ভূমিমালিকদের সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। এই মালিকদের বেশির ভাগই রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০৮ সালের নিয়ম অনুসারে, রাস্তা অনুযায়ী যেখানে যত তলা ভবন করা যেত, তত তলা অনুমোদন দিতে হবে। ঢাকা শহরের সব রাস্তাকে ন্যূনতম ২০ ফুট করতে হবে। জলাশয়, খাল-বিল, নদীনালা ভরাট বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া ধানের জমিতে ভবন নির্মাণের অনুমতি বন্ধ করা, নির্মাণ অনুমোদন সহজীকরণ এবং রাজউকের হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন ড্যাপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা শহরের ভূমিমালিকদের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. দেওয়ান এম এ সাজ্জাদ। তিনি বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ও নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির লক্ষ্যে দলীয় ও রাজউকের কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তার ছত্রচ্ছায়ায় ঢাকা শহরের বহুবিধ সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে একমাত্র ভবন নির্মাণের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ প্রণয়ন করা হয়, যা ঢাকা শহরের নাগরিকদের মধ্যে বিশাল বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘ড্যাপে ঢাকা শহরের মাত্র ২০ শতাংশ পরিকল্পিত এলাকায় সুউচ্চ ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা রেখে অবশিষ্ট ৮০ শতাংশকে অপরিকল্পিত ট্যাগ দিয়ে ভবনের উচ্চতা ও আয়তন কমিয়ে দেওয়া হয়। যাতে ঢাকা শহরের প্রকৃত ভূমিমালিকেরা কোনোভাবেই ভবন তৈরি করতে না পারেন। যার ফলে নগরবাসীকে আগের ১০ তলা ভবনের জায়গায় ৫ তলা ভবন করতে হচ্ছে। এর ফলে আমরা ব্যাপক ক্ষতি ও চরম বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছি। এতে ঢাকা শহরের প্রকৃত ভূমিমালিকদের ঢাকা শহর থেকে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে কো-সমন্বয়ক হুমায়ন কবির শিমুল, কে এম এজাজ মাহমুদ, সৈয়দা আফসারুন নাহার, তানভিরুল ইসলাম ও আবুল হোসেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।