বাংলারজমিন
স্বৈরাচারের পুনরুত্থান যেন না ঘটে: ফয়সল চৌধুরী
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
৯ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবারকানাডা বিএনপি’র সভাপতি ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সল আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচার শাসকগোষ্ঠীর পতন হয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা গণরোষের ভয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও দেশবিরোধী তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সে জন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে থাকা সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যাতে স্বৈরাচারের পুনরুত্থান যেন বাংলার মাটিতে আর না ঘটে। দলকে কিভাবে আরও জনগণের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া যায় সেজন্য বিএনপি’র সকল স্তরের নেতাকর্মীদের কাজ করে যেতে হবে। রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে স্বাগত জানাতে গেলে দলীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। কানাডা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি কাউন্সিলের নির্বাহী সভাপতি দেশে আগমন উপলক্ষে সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে স্বাগত ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মৌলভীবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মহসিন মিয়া মধু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহিতুর রহমান হেলাল, মাহমুদুর রহমান, মনোয়ার আহমেদ রহমানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দরা।
ফয়সল আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীদের ও নির্যাতন, দমন-পীড়ন গুম-খুন মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন এনিয়ে বর্হিবিশ্বে তিনি সোচ্চার হয়েছিলেন। কানাডাসহ ইউএসএ তে দেশে গণতন্ত্র মানবাধিকার ফিরিয়ে আনা আন্দোলনের সূচনা করেন। বেগম জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানের ওপর মিথ্যা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের জন্য কানাডার ৬২ জন এমপি তখন তাদের মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তি দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল। বেগম জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য কানাডিয়ান মিনিস্ট্রি অ্যান্ড ফরেন এফেয়ার্সের ভাইস চেয়ারম্যান মি: বার্জারেন্ট সরাসরি ফ্যাসিস্ট হাসিনার কাছে চিঠি দেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের ভুয়া ও ডামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে কানাডিয়ান বাংলাদেশ ককাসের চেয়ারম্যান মি: ব্রেড রেড, ভাইস চেয়ার সালমা জাহিরসহ ককাসের ১২ জন এমপি বিবৃতি দেন। এছাড়া ওয়াশিংটন, অটোয়া বিভিন্ন সেমিনারে ফয়সল আহমেদ চৌধুরী যোগদান করে দেশের মানবাধিকার এবং বিরোধী দলীয় অসংখ্য নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।