ভারত
বাংলাদেশিরা এলে নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করবে কলকাতার ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ মাস আগে) ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:০৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার কিছু হোটেল বাংলাদেশি পর্যটকদের বয়কটের ডাক দিয়েছে। কিন্তু সেই পথে হাঁটতে রাজি নয় কলকাতার নিউ মার্কেট অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশি পর্যটকদের উদ্দেশ্যে তাদের বার্তা,বাংলাদেশিদের বয়কট তারা করবেন তো নাই, বরং তারা যাতে নিশ্চিন্তে এখানে থাকতে পারেন, ঘোরাফেরা ও কেনাকাটা করতে পারেন সেজন্য যথাসম্ভব নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করবে।
শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে মার্কুইস স্ট্রিট-ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, নিউ মার্কেট ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন এবং হোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশন-র তরফে তাদের নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। মার্কুইস স্ট্রিট-ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি-এর যুগ্ম সচিব মনতোষ সরকার জানান, ফ্রি স্কুল স্ট্রীট,মানকুইস স্ট্রীট ও নিউমার্কেট মূলত বাংলাদেশ ভিত্তিক অঞ্চল। বাংলাদেশি পর্যটকদের উপর নির্ভর করে এখানকার মানি এক্সচেঞ্জ, হোটেল, পর্যটন ব্যবসা। বাংলাদেশের সাম্প্রতি অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে পর্যটক আসা এক দম কমে গিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতি এখানকার ব্যবসার উপর প্রভাব ফেলছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিদের আমরা বিদেশি পর্যটক হিসেবে দেখি না, তারা আমাদের ঘরের সদস্য। তবে সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য কিছু গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু সেদিকে কান না দিয়ে বাংলাদেশের পর্যটকদের জানাবো তারা এখানে আসুন।
ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আলী হোসেইন শেখ ভারত সরকারের কাছে ভিসা প্রক্রিয়া শিথিল করার দাবি জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে যে অবস্থা জারি রয়েছে, তাতে বাংলাদেশের চাহিদা মিটছে না। সেইসাথে মাল্টিপল ভিসা, এমপ্লয়মেন্ট ভিসা চালু করার দাবি জানান তিনি। ব্যবসাবান্ধব পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য ভারত সরকারের কাছেও আবেদন জানান তিনি।
মার্কুইস স্ট্রিট-ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি'র সভাপতি মনতোষ সাহা বলেন, কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে পর্যটকদের যে ঢল ছিল, সেটা এখন নেই। যার কারণে আমরা সবাই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তেমনিভাবে বাংলাদেশিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে সবার আগে দুই দেশের সরকারকে নিজেদের মধ্যে বসে সুষ্ঠু সমাধান বের করতে হবে।
সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ কামরুদ্দিন মালিক জানান, বাংলাদেশের পর্যটকদের মধ্যে একটা আশঙ্কা আছে যে কলকাতায় গেলে কী হবে? কিন্তু আমি বলব আপনার নিশ্চিন্তে আসুন। ব্যবসা আজকে নেই, কালকে আবার ফিরে আসবে। কিন্তু মানুষের মধ্যে বিশ্বাস নষ্ট হয়ে গেলে সেটা ফিরে আসা কঠিন। কারো মনে যেন কোনো আতঙ্ক না থাকে। বাংলাদেশিদের জন্য কলকাতায় হোটেল পাওয়া যাচ্ছে না বলে একটা গুজব রটেছে- এতে কান দেয়া উচিত নয়।
সৌহার্দ্য বাস চলাচলকারী প্রতিষ্ঠান শ্যামলীর মালিক অবনী ঘোষ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াকে দায়ী করে বলেন, কিছু কিছু খবরের কারণে দুই পাড়েই প্রভাব পড়ছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফরে আশা করা যায় দুই দেশের যে জটিলতা সেটা খুলতে পারে। তিনি বলেন, অতিথি হলো দেবদুল্য। আমরা এটা মেনে চলেছি আগামী দিনেও মেনে চলবো। কোথায় কী বলছে তাতে কান দেয়ার দরকার নেই। আমরা বাংলাদেশিদের বয়কট করব না। যতটা পারবো তাদেরকে নিরাপত্তা দেব, সেটা সিসিটিভি দিয়ে হোক বা সার্বক্ষণিক নজরদারি দিয়েই হোক।
বয়কট ভারত। মোদি সরকার যতদিন ভারতে যাবো না ততদিন। এই হোক মোদের অঙ্গীকার।
একই অংগে কত রূপ!! সকাল-বিকাল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন। তাদের কোন আত্ব বিশ্বাস নেই। মিথ্যাচার দিয়ে স্বার্থ হাসিলের নগ্ন প্রচেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের চিরাচরিত অভ্যাস কখনো পরিবর্তন হবে না। এরা সবসয়য় এক চোখ দিয়ে ( শুধু নিজ স্বার্থে) সব কিছু দেখতে পছন্দ করে।
ভারত নিজের স্বার্থেই বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবে।
যত যায় হউক, এখন ইন্ডিয়া যাওয়া যাবে না। মুসলমানদের জন্য ইন্ডিয়া নিরাপদ দেশ না।
কেন? এখন কান্নাকাটি করেন কেন? বাংলাদেশীরা ভারতে না গেলে ভারতের লক্ষ লক্ষ লোকের জীবিকা বন্ধ হয়ে যাবে।
চেষ্টা করবে!!!! মানে কি? ভারতীয়রা মহা মিথ্যাবাদী, এদের মোটেও বিশ্বাস করা যায় না।