অনলাইন
বিএনপির আইনজীবী
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে সাজা দেয়া হয়েছিল
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৬ পূর্বাহ্ন
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আইনজীবী ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল। বহুল আলোচিত ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মৃত্যুদণ্ড-যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
কায়সার কামাল বলেন, ‘এই মামলায় মোট চারটি চার্জশিট দেয়া হয়েছে। প্রথম তিনটি চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম ছিল না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর চতুর্থ চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত করে।’
তিনি বলেন, ‘আজ প্রমাণিত হয়েছে এই চার্জশিট আইনবহির্ভূত ছিল। তাই এই চার্জশিটে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল তারা এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।’
কামাল আরো বলেন, ‘যারা এই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন এবং আপিল করেছেন বা আপিল করেননি সবাইকে এই মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।
এভাবে তারেক রহমান ন্যায়বিচার পেয়েছেন। আজ প্রমাণিত হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে যে মামলায় সাজা দেয়া হয়েছিল।’
উল্লেখ্য, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সবাই খালাস পেয়েছেন। রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত ও প্রায় ৩০০ জন আহত হন। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ওই হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পান।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়া বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৮ জন পলাতক এবং ৩১ জন কারাগারে রয়েছেন।
আওয়ামীলীগ খমতায় এলে আবার মামলা সচল হবে
আবার সেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তারেক জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হলো। তাহলে কি মুফতি হান্নানসহ অনেক আসামী হাওয়া ভবনে হাওয়া খেতে যেত না-কি?