ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২ রজব ১৪৪৬ হিঃ

শেষের পাতা

অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করা সব রাজনৈতিক দলের নৈতিক দায়িত্ব

স্টাফ রিপোর্টার
১ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবারmzamin

অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দেয়া ও সার্বিক সহযোগিতা করা সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের নৈতিক দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বলেন, এ বিষয়টিতে যে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে উঠেছে, তা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা প্রয়োজন। এজন্য গণতন্ত্রমনা সব রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও নাগরিক সমাজের মধ্যে জাতীয় সংলাপ জরুরি। 

গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গণফোরামের সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, ছাত্র-জনতা আবারো প্রমাণ করেছে এই দেশ কোনো স্বৈরশাসকের নয়, এই দেশ জনগণের।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে সাম্প্রদায়িক হামলার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটিকে পুঁজি করে অনেকে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সমস্যা নাই, সেটা আমি কিন্তু বলবো না। এটা ব্যতিক্রম, এটাকে যেভাবে দেখিয়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সেটা তো বাংলাদেশ নয়। কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাস ভাঙছে, বিভিন্ন দেশে যে প্রতিক্রিয়া হয়- এই অস্থিরতা কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ অস্থির করছে না, সেই প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। অন্যরা যেটা করছে, সেটা বাংলাদেশে করতে দেয়া হবে না। কিন্তু সাবধান থাকতে হবে- সতর্ক থাকতে হবে; এর মাধ্যমে আগামী বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন- সেটা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেন আমরা ফিরে যেতে পারি। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, বিভিন্ন ঘটনাবলি- যেটা ১৫-১৬ বছরে ছিল না, এখন দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী, বিভিন্ন সংস্থা নামছে, একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে, এসব দাবি-দাওয়ার পেছনে অন্য শক্তি কাজ করছে, কারা এটা- আমাদের বুঝতে হবে। এই শক্তির উৎস কোথায় তা জানতে হবে। ইদানীং যে ঘটনাগুলো ঘটছে ধর্মের নামে, আসলে কি ধর্মের নামে যে দাবি-দাওয়াগুলো, সেগুলো বোঝার জন্য আরেকটু গভীরভাবে দেখতে হবে।

আমীর খসরু বলেন, আমাদের ঐক্যকে অটুট রাখতে হবে। জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে একটা কারণে; মানুষের প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হলে আপনাকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যেতে হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধটা হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। আমরা সম্মিলিতভাবে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয়ে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যেতে হবে। সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি এবং আমরা সেটা করতে চাই এই কারণে- এই সরকারের শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর ছাড়া আর কোনো পথ নেই।

তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে যেন একটা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে পারি; এটা আমাদের লক্ষ্য। সংস্কারের কথা যারা বলে, তার ৩১ দফা সংস্কারের কথা এক বছর আগে তুলে ধরেছি। নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনী সংস্কারসহ যে কয়টি সংস্কার দরকার, সেটা করতে রাজি আছি, সেটা করতে সময় লাগবে না, অতিসত্বর করা যায়। অতিসত্বর নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মালিকানা বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরাম চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসিন মন্টু। কাউন্সিল উদ্বোধন করেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়ার বাবা শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া।

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

Bangladesh Army

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status