অনলাইন
রাষ্ট্র মেরামত না করলে এই জেনারেশন আমাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে: প্রেস সচিব
স্টাফ রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ৩০ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৮:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:০৩ অপরাহ্ন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অনেকে বলেন এত সংস্কার করে কী হবে। আপনারা একটি নির্বাচন দিয়ে চলে যান। কিন্তু আমি বলব, পুরো বাংলাদেশ ঘুরলে দেখতে পারবেন, প্রতিটা দেয়ালে দেয়ালে লেখা আছে এই রাষ্ট্রটাকে মেরামত করতে হবে। তাই আমরা যদি কোনো মেরামতের কাজ না করেই চলে যাই তাহলে এই জেনারেশন আমাদের একদিন কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। আর বলবে যে তোমরা কিছুই করো নাই। শনিবার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম) কর্তৃক বাংলাদেশ ২.০ সংস্কার প্রস্তাব শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজাজ্জের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান প্রমুখ। শফিকুল আলম বলেন, ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিনের গভর্মেন্ট যথাযথ সংস্কার না করে চলে গেছেন। আমরা এটা চাই না, প্রয়োজনে জেলে গিয়ে পচে মরতে চাই, তাও আমরা চাই এখানে একটা ভালো রিফর্ম হোক। এই রাষ্ট্র মেরামতের জন্য পলিটিক্যাল পার্টির পাশাপাশি সব সেক্টরের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে এমন এক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, যার বিপরীতে আমাদের ইতিহাস একদমই উল্টো। আমাদের ইতিহাস নিয়ে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৯৭১ সালের পর পুরো একটা ডিকেড আমরা পতনের রাজনীতি করেছি। খুব সিরিয়াস আলাপগুলো এই দেশে হয় নাই। মোট কথা পুরো ৭০ এর দশক দেখলে দেখা যায়, এটা শুধু খুনোখুনির দশক ছিল। সেটা ছিল পতনের রাজনীতি। সে সময় রাজনৈতিক কোনো সংস্কারের কথাই ছিল না।
তিনি বলেন, পরবর্তী দশকে এসে জিয়াউর রহমান একধরনের রিফর্ম বা ডিসিপ্লিন তৈরি করলেন। উনার পরিকল্পনা ছিল অন্য রকম, আধুনিক বাংলাদেশের যে সব ইন্সটিটিউশনগুলো আছে সেগুলো তার সময় তৈরি করা। প্রেস সচিব বলেন, এর পর আমরা যে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পেয়েছি, সেটাকেও আমরা ১৫ বছরের মধ্যে বিতর্কিত করে ফেলেছি। যখনই সবাই চিন্তা করল এটাকে রিফর্ম করতে হবে তখন (৯৬ সালে) শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এটাকে কবরের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন। পরবর্তীতে ২০০৭-০৮ এ খেয়াল করলে দেখা যায়, সে সময় যে মিলিটারি গভর্মেন্ট, তার ছিল ব্রুটাল। লোকজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে টর্চারের মাধ্যমে নানা তথ্য বের করা হতো। আবার সেগুলো সিডি আকারে বের করে গণমাধ্যমে দেওয়া হতো প্রচারের জন্য। সেই শাসন আমলের দুই বছর খেয়াল করলে দেখা যায়, তাদের শুধু একটাই অ্যাচিভমেন্ট ছিল এক্সিকিউটিভ থেকে জুডিশিয়ারির আলাদা করা হলে। এটা বাদে আর কোনো কিছুই ছিল না।
রাষ্ট্রের কী মেরামত করা হবে? সচিবালয়? মাঠ প্রশাসন? ইতোমধ্যে লুটে খাচ্ছে প্রজাতন্ত্রের রাজারা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পূনর্বাসনের টাকা লোপাট করছে কৃষি বিভাগ। ফেনীতে একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন। ৬টি উপজেলার কোন অফিসারটি দুর্নীতি করেনি।
রাষ্ট মেরামত হতে হবে জনগনের মেন্ডেট নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে জনাব।