শেষের পাতা
জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য
বিচারপতিকে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবারবিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে একটি মামলার রায়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আশরাফুল কামাল আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়েন। একপর্যায়ে আইনজীবীরা তার ওপর ডিম ছুড়ে মারেন। পরে তিনি এজলাস থেকে নেমে যেতে বাধ্য হন। গতকাল দুপুর সোয়া ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, আইনজীবীরা ক্ষোভ থেকে এমন কাজ করেছেন। এই বিচারপতি রাজনীতি বেশি চর্চা করেন এবং পক্ষ-বিপক্ষ নির্ধারণ করে বিষোদগার করেন। এজন্য একপর্যায়ে আইনজীবীরা তাকে ডিম ছুড়ে মারেন। পরে বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান।
জিয়াকে নিয়ে যা বলেন বিচারপতি:
২০১৬ সালে ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল তার পর্যবেক্ষণের একাংশে বলেন, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাকবাকুম করে ক্ষমতা নিয়ে নিলেন, তথা রাষ্ট্রপতির পদ দখল করলেন। একবারও ভাবলেন না, তিনি একজন সরকারি কর্মচারী। সরকারি কর্মচারী হয়ে কীভাবে তিনি রুলস ভঙ্গ করেন। ভাবলেন না তার শপথের কথা। ভাবলেন না, তিনি দেশকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে মৃত্যুকে বরণ করার শপথ নিয়েছিলেন। ভাবলেন না, তিনি এবং তারা ব্যর্থ হয়েছিলেন দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করতে।
বিচারপতি বলেন, আমরা জানি ডাকাতরা সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করে। ডাকাতদের যে নেতৃত্ব দেয় তাকে ডাকাত সর্দার বলে। ডাকাতি করার সময়ে ডাকাতরা বাড়িটি বা ঘরটি কিছু সময়ের জন্য অস্ত্রের মুখে দখল করে এবং মূল্যবান দ্রব্যাদি লুণ্ঠন করে। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান গংরা দেশে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও অস্ত্র এবং অবৈধ কলমের খোঁচায় নির্বাচিত জাতীয় সংসদকে ভেঙে ডাকাতদের মতো অবৈধভাবে জোরপূর্বক জনগণের ক্ষমতা ডাকাতি করে দখল করেন। যে বিচার বিভাগ এবং এর বিচারকদের ওপর আইনগত দায়িত্ব ছিল সংবিধানের সামান্যতম বিচ্যুতিকে রক্ষা করা, সংরক্ষণ করা এবং নিরাপত্তা প্রদান করা; সেই বিচার বিভাগ এবং এর তৎকালীন বিচারকরা সংবিধানকে এককথায় হত্যা করলেন, জনগণের রায় ডাকাতি করে ‘জনগণের নির্বাচিত সংসদকে বাতিল করলেন। অপরদিকে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান একজন সরকারি কর্মচারী হয়েও আর্মি রুলস ভঙ্গ করে জনগণের রায়ে নির্বাচিত জাতীয় সংসদকে হত্যা করে দেশের সংবিধানকে হত্যা করে অস্ত্রের মুখে অন্যায়ভাবে, অসৎভাবে হত্যাকারীদের দোসর হয়ে জনগণকে চরম অবজ্ঞা করে ক্ষমতা দখল করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী তথা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস এবং জামায়াতে ইসলামীকে এদেশে পুনর্বাসন করেন। তাদের রাজনীতি করার অধিকার দেন। তাদের নাগরিকত্ব দেন। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সংসদ সদস্য করেন এবং তাদের মন্ত্রী বানিয়ে, তাদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের সঙ্গে বেঈমানি করেন। এরপরেও কি বাংলাদেশের জনগণ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা বলতে পারে?
বিচারপতি আরও বলেন, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান শুধু জাতির পিতা ও তার পরিবারের এবং জাতীয় চার নেতা হত্যাকারীদের শুধু দোসরই হননি, বরং তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছেন রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য ইত্যাদি বানিয়ে। তিনি আরও জঘন্য যে কাজটি করেন তা হলো, তিনি জনগণের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের হত্যার বিচার বন্ধ করে দায়মুক্তি আইন প্রণয়ন করেন। অর্থাৎ তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকে এই দায়মুক্তি আইন দ্বারা সমর্থন দিয়ে প্রমাণ করেন তিনিও জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারী এবং জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদেরই একজন।
বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অভিযোগ, কয়েক দিন আগে একটি মামলার রায় দেন এই আদালত। ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে জিয়াউর রহমান প্রাসঙ্গিক না হলেও এই বিচারপতি জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে ‘অশালীন’ মন্তব্য করেন। এ নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল কয়েকদিন ধরেই। আইনজীবীরা জানান, আজ এই বিচারপতি এজলাসে উঠলে কয়েকজন আইনজীবী সেখানে উপস্থিত হয়ে বলেন- আপনি এই চেয়ারে বসে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন। আপনার এই চেয়ারে বসার অধিকার নেই। একপর্যায়ে তারা বিচারকের দিকে ডিম ছুড়ে মারেন।
যারা বিচারকের আসনে বসে দলীয় রাজনীতিকের মতো আচরন করে তাদের এই পদে থাকার কোন অধিকার নেই।
এই বিচারক আওয়ামী রাজনীতির বয়ান দিয়ে তার আসনকে অপমানিত করেছেন। তাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় আনা উচিত!
হাসিনা সরকার এমন কিছু অসভ্য লোককে বিচারপতি সহ বিভিন্ন পদে বসিয়েছে ,যারা তার পদের মর্যাদা টুকুও রক্ষা করার জ্ঞান রাখে না ।
বিচারক তৎকালীন সরকার প্রধানকে খুশি করতে এই ধরনের বয়ান দিয়েছেন। অথবা, তাকে দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। তবে, একজন বিচারককে তার পরিধি নিয়ে থাকা উচিৎ।
যারা বিচারকের আসনে বসে দলীয় রাজনীতিকের মতো আচরন করে তাদের এই পদে থাকার কোন অধিকার নেই।
এই জাতীয় বিচারক নামক দালালদের দ্রুত অপসারণ জরুরি
এ বিচারক খন্ডিত ইতিহাস টেনে আওয়ামী বয়ান হাজির করেছেন । শহীদ জিয়া জাতিকে ভারতীয় আধিপত্য বাদ থেকে যেভাবে রক্ষা করেছেন জেনারেল ওয়াকারের কারনে এ বিচারপতি বেঁচে গেছেন বোঝার ক্ষমতা নাই।
এই বিচারক এখনও চাকুরীতে রয়েছে কি করে।
এরা সুবিধাভোগী বিচারক। আসলে এদেরকে বিচারক না বলে দালাল বলা উচিত
ডিম মারা ঠিক হয়নি। জুতা মারা উচিৎ ছিল।
যারা বিচারকের আসনে বসে দলীয় রাজনীতিকের মতো আচরন করে তাদের এই পদে থাকার কোন অধিকার নেই। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তাকে অপসারণ করা হোক।
পতিত স্বৈরাচারের দোসররা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে এখনও বসে আছে। এরা সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের অনুসারী। এই সকল সুবিধাবাদি/দুর্বৃত্ত নামধারী বিচারকদের কে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হউক। অগ্রহণযোগ্য মন্তব্যের জন্য এই বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে হবে।
অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করার জন্য এই বিচারপতির পদত্যাগ সময়ের দাবী।
জুতা না মেরে ডিম মারা - এটা আবার কেমন সুশীলপনা?
এই বিচারকের পদচ্যুতি অত্যন্ত জরুরী।
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিৎ না তারপরেও ঐ বিতর্কিত বিচারপতি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজে দলকানা হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত রায় দিয়েছেন। তাই এক কথায় বলা যায় "যেমন কর্ম তেমন ফল"। অনাকাঙ্খিত হলেও দলকানা বিচারপতির জন্য উপযুক্ত ফল!
ধন্যবাদ জানাই বিজ্ঞ আইনজীবীদের। যারা ন্যায় বিচার করবেন তারাই যদি পা চাটা গোলাম হন তখন আইনজীবীরা আর বসে থাকতে পারেন না।
এই বিচারক তো শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ। এ ধরনের শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদকে বিচারক হিসাবে সম্মান দেখাতে আমারা বাধ্য কিনা? বড়ই অবাক লাগে, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে উদ্ধার করা বাংলাদেশে এরা এখনও বিচারক!!! চি: চা: চি:
অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করার জন্য এই বিচারপতির পদত্যাগ সময়ের দাবী।
আইনজীবীরা সঠিক কাজ করেছেন l ওই বিচারক রাষ্ট্রের বেতনভোগী একজন চাকর হয়ে সরকারি কর্মচারীদের রুল অফ বিসনেস এন্ড বিহেভিয়ার লঙ্ঘন করে দলীয় তস্করের মতো আচরণ করেছেন l ওনাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিত l
জানিনা এজলাস রাজনৈতিক মঞ্চ কী না - কিন্তু নৈরাজ্য যে রাষ্ট্রের সর্বত্র বিরাজমান, তারই একটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ ...............
Thanks বাংলাদেশ
পতিত স্বৈরাচারের দোসররা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে আছে এখনও। এদেরকে এই সমস্গুহ রুত্বপূর্ণ পদে রাখলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা হবে। সরকারের দায়িত্ব এদের এই গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেয়া।
খাঁটি দেশপ্রেমিক তথা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে দেশের এই দুর্দিনে মহান বিচারকের অবিস্মরণীয় নির্ভেজাল মন্তব্য। ধন্যবাদ।
আওয়ামীলীগ
এরা হলো সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগ গুন্ডা লীগের অনুসারী। এই সকল দুর্বৃত্ত নামধারী বিচারকদের কে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হউক।
এই বিচারক এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করার পরো কিভাবে এজলাসে বসেন। বিবেক বিবর্জিত, দলকানা বিচারক আজ পর্যন্ত যা রায় দিয়েছেন তা পূর্ণ বিবেচনার দাবি রাখে।নিতী নৈতিকহীন, দুর্নীতিবাজ, পদলোভী বিচারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এই বিচারপতিরা নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। পক্ষপাতহীন ন্যায় বিচার তার কাছ থেকে আশা করা যায়না। সুতরাং, তাকে পদচ্যুত করতে হবে। আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারীরা বিচারালয়ে এবং সরকারি চাকরিতে যেখানে পাওয়া যাবে সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বৈরাচারের দালাল এসব বিচারকরা বহাল থাকলে মানুষ ন্যায় বিচার পাবেনা এবং এরা বিতর্কিত মন্তব্য করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব এদের বহিষ্কার করতে হবে।
আইনজিবীরা সঠিক কাজটি ই করেছেন কেননা একজন দলকানা লোক বিচারক হওয়ার নৈতিকতা রাখেন না