অনলাইন
বিমানবন্দরে নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় পুলিশের দুঃখপ্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:০৯ অপরাহ্ন
নূরুল কবির। ছবি: সংগৃহীত
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। এসবি ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পুলিশের বিশেষ শাখা জানায়, বিগত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলের ‘ব্লকড লিস্ট’-এর কারণে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে। এ তালিকায় কয়েক হাজার লোককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যাতে করে তাদের বিদেশ সফরের সময় আটকে দেয়া যায় বা বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত রাখা যায়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পুলিশের বিশেষ শাখা আগের তালিকা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ভিন্নমতাবলম্বী, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের বাদ দিতে শুরু করে। কাজটির বেশিরভাগই হাতে-কলমে করা হচ্ছে। ফলে তালিকার কিছু নাম এখনো রয়ে গেছে। তালিকাটি দ্রুত যাচাই করে সংশোধন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এসবি জানায়, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের বন্ধু। দেশ ও জনগণের সেবায় পুলিশ বাহিনী দৃষ্টান্ত গড়তে চায়।
উল্লেখ্য, নূরুল কবির এক সেমিনারে যোগ দিতে কলম্বো যাচ্ছিলেন। সেখানে যাওয়া এবং ফেরার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হন তিনি।
They helped all the fascists and their collaborators and criminal to escape the justice . But they tried to stop Mr Kobir a prominent patriot of Bangladesh. What a ridiculous service they providing to the nation.
পুলিশের ব্যাখ্যা বা অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। জনাব নুরুল কবির কে না চিনলে সেই পুলিশ কে ইমিগ্রেশনে দায়িত্ব দেয়া ঠিক হয়নি। তাদের মাথায় এখনো আওয়ামী ভূত রয়ে গেছে।
একটা জিনিস পরিস্কার যে এই পুলিশ বাংলাদেশের না। সাংবাদিক নুরুল কবিরকে চিনেন না এবং তিনি কোন মতবাদের মানুষ এটা যদি ঐ পুলিশ অফিসার না জানেন তাহলে উনি এয়ারপোর্ট এর মত একটা গুরুত্বপূর্ণ যায়গায় কিভাবে দায়িত্ব পালন করেন। এই পুলিশ বাহিনীই আবার এয়ারপোর্ট এর নিরাপত্তা দিতে চায় যারা নাকি দেশের একমাত্র বিমানবন্দরকে অরক্ষিত রেখে অস্র সস্র ফেলে পালিয়ে যায়।
এ ধরনের ঘটনায় অবাক হওয়ার কিছুই নেই। সেক হাসিনা প্রশাসন যন্ত্রের যাদের দিয়ে নিযুত কোটি নির্যাতন করিয়েছিল তারা তো এখনও প্রশাসন যন্ত্রে আছে এবং বহাল তবিয়তে ই সক্রিয় আছে। ড.ইউনূসের বর্তমান সরকার এদের নিষ্ক্রিয় করার স্ব ক্ষমতা আছে বলে মনে হয়না। তাই আপাতত 'কর্তৃপক্ষের দু:খ প্রকাশ' এ ই আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
পুলিশ আর মানুষ হবে না, ওরা লীগ ই রয়ে গেল।
এই অজুহাত অগ্রহণযোগ্য।
ওই পুলিশ সদস্যের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করা দরকার। তার ব্যাকগ্রাউন্ড কি? সে কি স্বৈরাচারের দোসর কিনা?
বৃক্ষের নাম ফলে পরিচয়। পুলিশ মুখে যতই মধুর সুরে বলুক জনগণের বন্ধু তা ফলে পরিচয় দিতে পারছে না। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মত আমরাও চাই পুলিশ জনগণের বন্ধু হিসাবে আবির্ভুত হোক। আমরাও পারি এটি বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে চাই।
Withdrawal is no punishment.
তালিকার বয়ানটি গতানুগতিক । পুলিশের মাথায় পচন রোগ থাকলে কোন আন্দোলন বা সংস্কার সবই ব্যর্থ হবে। জনাব নূরুল কবিরকে চেনেন না এমন পুলিশ অফিসার দেশে আছেন নাকি? ওদের একটা তালিকা করে সংশোধন হতে বলুন।