বিশ্বজমিন
মার্কো রুবিও হতে পারেন ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মানবজমিন ডেস্ক
(৪ সপ্তাহ আগে) ১২ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৩:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১২ পূর্বাহ্ন
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে তার প্রশাসন গোছানো শুরু করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদে মনোনীত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করেছেন। আলোচনায় আছে আরও অনেকের নাম। এই যেমন তার শীর্ষ কূটনীতিক কে হচ্ছেন? কে হচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা? শীর্ষ কূটনীতিক বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি বাছাই করতে পারেন ফ্লোরিডার রিপাবলিকান নেতা মার্কো রুবিও’কে। তিনি এ পদে যোগ্য বলে মার্কিন বেশ কিছু মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে। তবে তিনিই যে পরবর্তী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন তা নিশ্চিত নয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ট্রাম্প তার ট্রানজিশন টিম গঠন করছেন। সেখানে সিনিয়র পদগুলোতে কাকে বসানো যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই আলোচনায় আছে রুবিওর নাম। তবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার মন এখনও পরিবর্তন করতে পারেন। একজন সিনেটর হিসেবে বেশ পাকা অবস্থান নিয়েছেন মার্কো রুবিও। সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির ভাইস চেয়ার তিনি। ফরেন রিলেশন্স কমিটিতেও তিনি আছেন। বিশেষ করে চীন ও ইরানের প্রতি রুবিওকে পররাষ্ট্রনীতির একজন বাজপাখি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও ইউক্রেনের প্রতি তার সমর্থন আছে, তবু এর আগে বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের ইতি ঘটা উচিত।
উল্লেখ্য, রুবিওর সঙ্গে ট্রাম্পের আছে আন্তরিক সম্পর্ক। তবে সব সময় এমনটা ছিল না। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন এ দু’জনই। অর্থাৎ তখন ট্রাম্প ও রুবিও ছিলেন তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। অভিবাসন সহ বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মধ্যে তীব্র বিরোধ ছিল। এসব বিরোধে সিনেটর রুবিওকে ট্রাম্প ‘লিটল মার্কো’ হিসেবে উপহাস করেছিলেন। অন্যদিকে ট্রাম্পের ‘স্মল হ্যান্ডস’ নিয়ে উপহাস করেন রুবিও। মার্কো রুবিওর বয়স ৫৩ বছর। তিনি ২০১৬ সালের সেই তিক্ততাকে পিছনে ফেলে ট্রাম্পের সঙ্গে তার প্রথম মেয়াদেই সুসম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এবার দলীয় প্রাইমারি নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছিলেন তিনি। মার্কো রুবিও একজন কিউবান শ্রমজীবী পরিবারের সন্তান। ২০১০ সালে প্রথম তিনি সিনেটর নির্বাচিত হন। তখন থেকেই তিনি রিপাবলিকান দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে উঠেছেন।