বিশ্বজমিন
ইন্ডিয়া ককাসের কো-চেয়ার ওয়াল্টজ হচ্ছেন ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
মানবজমিন ডেস্ক
(৪ সপ্তাহ আগে) ১২ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১২ পূর্বাহ্ন
আসন্ন ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনে ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির খবর আছে। তা হলো প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ট্রাম্প সোমবার তার নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে যার নাম ঘোষণা করেছেন তিনি ইন্ডিয়া ককাসের কো-চেয়ার মাইক ওয়াল্টজ। তিনি ফ্লোরিডার কংগ্রেসম্যান। মার্কিন কংগ্রেসে সুনির্দিষ্ট দেশভিত্তিক গ্রুপ বা ককাসের সবচেয়ে বড় গ্রুপ হলো ইন্ডিয়া ককাস। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, ৫০ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত বিশেষ বাহিনী গ্রিন বেরেটের একটি ইউনিটে কর্নেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে তিনি মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির কঠোর সমালোচক তিনি। দায়িত্ব পালন করেছেন হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটি, হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি এবং হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে। ইউক্রেনকে সহায়তা করতে তিনি আরও বেশি করার জন্য ইউরোপের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনকে সমর্থনের বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এটাই হলো প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য। আফগানিস্তান থেকে ২০২১ সালে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করে নেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এরও কঠোর সমালোচক মাইক ওয়াল্টজ। প্রতিরক্ষা খাতে আরও খরচ বাড়াতে ন্যাটোর প্রতি ট্রাম্প যে চাপ প্রয়োগ করেছেন তার প্রশংসা করেন তিনি। ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করতে চান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ট্রাম্প। তার মতের সঙ্গে তিনি একমত নন। গত মাসে মাইক ওয়াল্টজ বলেন, দেখুন আমরা মিত্র হতে পারি এবং বন্ধু হতে পারি। আমাদের উচিত কড়াভাবে সংলাপে বসা। চীন বিষয়ক টাস্কফোর্সেরও একজন রিপাবলিকান সদস্য মাইক ওয়াল্টজ। যদি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরে কোন যুদ্ধ লেগে যায় তাহলে তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু প্রস্তুত নয়। প্রশাসনে দায়িত্ব পালনের জন্য নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তিনি। তাকে পেন্টাগনের নেতৃত্বের জন্য ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে বসিয়ে দিচ্ছেন ট্রাম্প। এর জন্য সিনেটে কোনো শুনানি বা সিনেটের অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজন নেই। ৫ই নভেম্বরে নির্বাচিত হওয়ার পর দ্রুতই তার প্রশাসন সাজিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে বেছে নিয়েছেন সুসান উইলিসকে। এ পদে তিনিই প্রথম নারী। এর বাইরে তিনি সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন স্টিফেন মিলারকে, যিনি এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির কড়া সমালোচক। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি এই ভিসা বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন।
What is the good news?