বিবিধ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
একদিনের জন্য আইএসসিজি প্রধান সমন্বয়কারীর প্রতীকী দায়িত্ব নিল সাহসী তরুণী
(৩ সপ্তাহ আগে) ১২ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ অপরাহ্ন
[ঢাকা, ১১ নভেম্বর, ২০২৪]: সোমবার, সাহসী তরুণী ওয়াহিদা প্রতীকীভাবে একদিনের জন্য ইন্টার-সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) প্রধান সমন্বয়কারী ডেভিড বাগডেনের দায়িত্ব পালন করেন। ওয়াহিদা তার কমিউনিটির ইয়ুথ ক্লাবের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। আর্থিক সংকটের কারণে তার শিক্ষাজীবন একসময় থমকে গিয়েছিল। তবে এসব সমস্যা তাকে শেষপর্যন্ত দমিয়ে রাখতে পারেনি। পড়াশোনার প্রতি তীব্র স্পৃহা নিয়ে ২০২১ সালে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের শিক্ষা ও সুরক্ষা প্রকল্পের সদস্য নির্বাচিত হয় সে। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
বিশ্বজুড়ে ১১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ মেয়েদের অধিকার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে একাধিক টেকওভার অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। এই অনুষ্ঠানটি প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের বিশেষ কর্মসূচি গার্লস টেকওভার ক্যাম্পেইনের অংশ। এবারের জাতিসংঘ ঘোষিত কন্যা শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘গার্লস ভিশন ফর দ্য ফিউচার’, যার লক্ষ্য মেয়েদের ক্ষমতায়ন, তাদের কণ্ঠস্বর বৃদ্ধি এবং এমন নীতিমালা তৈরি করতে সহায়তা করা, যা আমাদের সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত নিশ্চিত করবে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এবার "ইউনাইট ফর পিস" প্রতিপাদ্যটি গ্রহণ করেছে।
সারা দিনে ওয়াহিদা পুরো অফিস ঘুরে দেখেন এবং সহকর্মীদের সাথে পরিচিত হন, নিয়মিত স্টাফ মিটিংয়ে অংশ নেন। এছাড়া ইন্টার-সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) টীমের সাথে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে একটি মিটিংয়ে অংশ নেন।
ওয়াহিদা বলেন, “আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গিয়েছে হয়েছে। এখন আমার লক্ষ্য পরিবার ও কমিউনিটির মধ্যে জেন্ডার সমতা, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, কৈশোরকাল সম্পর্কে সচেতনতা, সুরক্ষা এবং কিশোরী মাতৃত্ব প্রতিরোধের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো।”
ওয়াহিদা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং এমন সামাজিক নিয়ম প্রচার করতে চান যা ক্ষতিকর কার্যকলাপকে নিরুৎসাহিত করবে।
আইএসসিজি’র প্রধান সমন্বয়কারী ডেভিড বাগডেন বলেন, “ওয়াহিদার সাথে দেখা হওয়া আমাকে আবার মনে করিয়ে দিল যে, মানসিক শক্তি বা দৃঢ়তা কোনো বয়সের বিষয় নয়। স্কুল ছাড়ার পর কমিউনিটির জন্য কাজ করতে তার এই পথচলা তরুণ নারীদের শক্তির এক অনন্য উদাহরণ। তার এই প্রচেষ্টা শুধু নিজের ভবিষ্যতের জন্য নয়, বরং অন্য সকল মেয়েদের জন্যও। এটি প্রমাণ করে যে, একটি সচেতন বলিষ্ঠ কণ্ঠ অনেককে বদলে দিতে পারে। আমি নিশ্চিত, ওয়াহিদা ভবিষ্যতে একজন সফল নেতা হবে। টেকনাফে তার গ্রামে গিয়ে সরাসরি দেখতে আমি খুব আগ্রহী। এই উদ্যোগে কীভাবে আমরা আরও শিখতে ও অবদান রাখতে পারি, যা রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্যও উপকারী হবে, তা জানার অপেক্ষায় আছি।”
চলতি বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যুব নারীরা বিভিন্ন দূতাবাস, উন্নয়ন সংস্থা, করপোরেট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন শীর্ষ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করছে, যা তাদের ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল যুব নারীদের জন্য নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চায়। তাদের বিষয়ে সমাজের গতানুতিক ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি কন্যাশিশু ও নারীদের জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করা বিভিন্ন সমস্যাগুলো তুলে ধরতে চায় এবং উন্নতির সম্ভাবনাগুলো খতিয়ে দেখতে চায়।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের গার্লস টেকওভার ক্যাম্পেইনটি কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়নে যে শক্তিশালী বার্তা দেয় তা হলো যখন মেয়েদের সমান সুযোগ ও অধিকার দেওয়া হয়, তারা তাদের জীবন এবং তাদের সম্প্রদায়কে বিকশিত করার ক্ষমতা রাখে।