অনলাইন
সহযোগীদের খবর
হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় আসামি ৫৩ সাবেক সচিব
অনলাইন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১১ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:৫১ অপরাহ্ন
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় আসামি ৫৩ সাবেক সচিব’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে নির্বিচার গুলি চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা এক মামলায় ৫৩ জন সাবেক সচিবকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সাবেক ওই সচিবেরা ‘ভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট’।
সাবেক ওই সচিবদের ‘ফ্যাসিবাদের সহযোগী, রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা’ হিসেবে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মাত্র এক মাস আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদ থেকে অবসরে যাওয়া মো. মাহবুব হোসেন। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, সাবেক মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, আব্দুস সোবহান সিকদার, তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রমুখ।
গত ২৯ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলাটি করেছেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা মোহাম্মদ জামান হোসেন খান। এখন তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, পাশাপাশি ঠিকাদারি ব্যবসা করেন। তাঁর করা মামলায় মোট ১৯৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। এ ছাড়া সাবেক একজন প্রধান বিচারপতি, দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক একজন চেয়ারম্যান, পুলিশের সাবেক আইজিপিও এই মামলার আসামি। জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদেরের নামও আসামিদের তালিকায় রয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন মামলায় বিচ্ছিন্নভাবে সাবেক কয়েকজন সচিবকে আসামি করা হয়েছে। তবে একটি মামলায় একসঙ্গে ৫৩ জন সাবেক সচিবকে আসামি করার ঘটনা এটিই প্রথম।
মামলার এজাহারে বাদী জামান হোসেন খান উল্লেখ করেছেন, তাঁর মেয়ে সামিয়া খান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ বনশ্রী শাখার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যোগ দিতে সামিয়া আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যায়। সেখানে ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিল। ছাত্র-জনতার মিছিল চলার সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করতে থাকে। এ সময় সামিয়া গুলিবিদ্ধ হয়। তার পায়ে এখনো তিনটি গুলি রয়েছে।
যুগান্তর
‘এসপির ভাইয়ের পুলিশ প্রটোকলে চাঁদাবাজি’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) ইব্রাহিম খলিলের ভাই হুমায়ুন কবির। তিনি ‘জিয়া শিশু একাডেমির মহাপরিচালক পরিচয়ে এলাকায় বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে নেমেছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রভাব বিস্তার করছেন বিভিন্ন দপ্তর-অধিদপ্তরে। এসপির বড় ভাই হিসাবে এলাকায় গেলে পাচ্ছেন ভিআইপি প্রটোকল। পুলিশ এসকর্ট দিতে উপস্থিত থাকেন খোদ বেতাগী থানার ওসি একরামুল হক। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যের পাশাপাশি নানা গুঞ্জন চলছে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে।
এদিকে, পতিত সরকারের দোসর হিসাবে পরিচিত অনেককেই আশ্রয়-প্রশ্রয়ও দিচ্ছেন তিনি। এদের মধ্যে বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম গোলাম কবীরের নামও আছে। এলাকায় ‘ফিফটিন পার্সেন্ট’ হিসাবে পরিচিত এই ব্যক্তিদের নিয়ে ঢাকায় গোপন বৈঠকও করেছেন।
আওয়ামী লীগের এই দুই নেতার বিরুদ্ধে স্থানীয় গণমিলনায়তন নির্মাণে পুকুর চুরির তদন্ত শুরু হয়েছে। গত ১৫ বছরে শত শত কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্যের এই হোতাদের মামলায় আসামি না করার অভয় দিয়ে হুমায়ুন হাতিয়েছেন বিপুল টাকা। নিয়েছেন নতুন বিলাসবহুল গাড়ি। যুগান্তরের অনুসন্ধানে মৎস্য আড়তে চাঁদাবাজি, আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক, এলাকায় পুলিশ এসকর্টের ভিডিওসহ নানা তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘চড়া সুদে নাকাল ব্যবসায়ীরা’। খবরে বলা হয়, দফায় দফায় ঋণের সুদহার বাড়ানোয় চরম সংকটে পড়েছে বেসরকারি খাত। ফলে ব্যবসা প্রসারসহ থমকে রয়েছে বিনিয়োগ। ব্যবসা ও বিনিয়োগে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে রয়েছেন ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। তাঁরা বলছেন, দেশে এখন বিনিয়োগের কোনো পরিবেশ নেই।
বরং ব্যবসায়ীরা টিকে থাকার লড়াই করছেন। তথ্য-উপাত্ত বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে নীতি সুদহার বা রেপো রেট আরো ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে ব্যাংকঋণের সুদ। এতে ব্যাংকঋণের ওপর নির্ভরশীল ছোট, মাঝারি ও বড় ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এলসি খোলার হার কমেছে ৭ শতাংশ আর উৎপাদন কমেছে ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে চলমান অস্থিরতায় অত্যাবশ্যকীয় নিত্যপণ্য নয়—এমন পণ্যের চাহিদা কমে গেছে। এতে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের বিক্রিতে ধস নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। সুদহার অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসা সম্প্রসারণ ও নতুন বিনিয়োগের পরিকল্পনা আপাতত তুলে রাখছেন অনেক উদ্যোক্তা।
শুধু সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কৌশলের যৌক্তিকতা নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। বিনিয়োগ কমে যাওয়া, আমদানি-রপ্তানিতে নিম্নগতি ও শ্রমিক অসন্তোষের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে মারাত্মকভাবে। ফলে টান পড়েছে শিল্পোদ্যোক্তাদের আয়ের খাতে। এদিকে কাঙ্ক্ষিত উপার্জন ব্যাহত হওয়ায় সময়মতো ব্যাংকঋণের কিস্তি দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। কারণ বিভিন্ন কারণেই ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে হু হু করে।
সমকাল
‘পাচার অর্থ উদ্ধারে আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ হচ্ছে’-এটি দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠান তথা ল ফার্ম নিয়োগ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আজ রোববার এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। শিগগিরই ওই প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হবে। যোগ্য প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তা নেবে বাংলাদেশ।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার এবং অভিবাসন ব্যয় কমানোর জন্য সহায়তা চেয়ে সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রায় এক ঘণ্টার আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরসহ অনেক দেশে প্রচুর অর্থ পাচার হয়েছে।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানো ছাড়াও এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদে ফরেনসিক অডিটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। এ ছাড়া উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে বেক্সিমকো গ্রুপে রিসিভার নিয়োগ, ব্যাংকিং খাত সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্সের অনুমোদন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অডিট কমিটি পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে অর্থনীতির সমসাময়িক বিষয়ের ওপর একটি উপস্থাপনা দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশ থেকে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশে। পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে এরই মধ্যে এসব দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলমসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে তাদের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এখন সার্বিক সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ হবে। একই সঙ্গে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে আলাদা একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে কমিটি হবে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত করে সনদ বাতিল করতে কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অতিশিগিগরই এ কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে। তবে প্রাথমিক ভাবে এসব কাজ খুব গোপনীয়ভাবেই হচ্ছে। গতকাল রবিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ না নিয়েও জাল সনদ এবং বিভিন্ন তদিবর-সুপারিশে এতদিন যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিয়েছেন তাদের শনাক্ত করে সনদ বাতিল করতে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। জানা গেছে, এ কমিটি সাত সদস্যবিশিষ্ট হতে পারে। কমিটি গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টা এটি অনুমোদন দিলে কাজ শুরু হবে।
এ কমিটি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আবেদন এবং আবেদন ছাড়াও বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয় পুনরায় যাচাই-বাছাই করবে। এ প্রক্রিয়ায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল হতে পারে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিদিন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসছে। প্রাথমিক ভাবে মন্ত্রণালয়ে এসব অভিযোগ জমা রাখা হচ্ছে। পরে মন্ত্রণালয় এসব বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে।
নয়া দিগন্ত
দ্য ডিপ্লোম্যাটের বিশ্লেষণ নিয়ে দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর ‘যে কারণে ব্যর্থ শেখ হাসিনার চায়না মডেল’। খবরে বলা হয়, মার্কিন অনলাইন মিডিয়া দি ডিপ্লোম্যাটের বিশ্লেষণ হচ্ছে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার শাসনের অবসান অনেকের কাছেই বিস্ময়কর। আগের দিনও কেউ তার আসন্ন পতন অনুমান করেননি। অনেকেই মনে করেছিলেন যে হাসিনার শাসন নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতেই থাকবে।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও রাশিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক শক্তিগুলির সাথে দৃঢ় কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। তারপরেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনুমান করেছিলেন যে, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে চীনা ধাঁচের কর্তৃত্ববাদী মডেলের দিকে চলে যাচ্ছে। কারণ হাসিনার ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার কৌশল, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করা এবং একটি ‘অতি প্রতিক্রিয়াশীল’ সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ, যা চীনা শাসন মডেলের কিছু দিককে প্রতিফলিত করে।
চীনের মডেল অনুকরণ করার চেষ্টা সত্ত্বেও হাসিনা দু’টি গুরুত্বপূর্ণ কারণে ব্যর্থ হন। প্রথমত. তার আদর্শ জনগণের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। দ্বিতীয়ত. ২০২১ থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংগ্রাম তার শাসনের বৈধতাকে ক্ষুণœ করে। অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের কাছে হাসিনার শাসনব্যবস্থা চীনের কর্তৃত্ববাদী মডেলের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল।
তার দীর্ঘ মেয়াদে, হাসিনা নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনৈতিক ভারসাম্য ভেঙে বিচার বিভাগ, মিডিয়া ও নির্বাচন ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে দিয়েছিলেন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) মতো, তার সরকার ভিন্ন মত, প্রান্তিক বিরোধী দলগুলোকে দমন করেছিল এবং জঙ্গিবাদ, অপরাধ ও মাদক সম্পর্কিত অপরাধের প্রতি অত্যন্ত অসহিষ্ণু ছিল।
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর ‘State reform the main goal, not just polls’ অর্থাৎ ‘শুধু নির্বাচন নয়, রাষ্ট্রের সংস্কারই মূল লক্ষ্য’
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা গতকাল বলেছেন, শুধু নির্বাচনের জন্য জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে মানুষ প্রাণ দেয়নি, রাষ্ট্রের আগে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন।
রাজধানীর জিরো পয়েন্টে এক সমাবেশে ছাত্র নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং দল ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে, কারণ তাদের রাজনীতিতে থাকার কোনো অধিকার নেই।
ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের রাজনীতিতে থাকার কোনো অধিকার নেই।
বণিক বার্তা
‘বড় প্রকল্পের আয়ে উঠছে না পরিচালন ব্যয় ভর্তুকি দিয়ে কিস্তি শোধ’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, কক্সবাজারে নতুন রেলপথ, ঢাকায় মেট্রোরেল, চট্টগ্রামে টানেল ও পদ্মা সেতু সংযোগ রেলপথ চালু হয়েছে গত দুই বছরে। দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো খাতের মেগা এ চার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণের টাকায়।
চালুর পর প্রকল্পগুলোর আয়-ব্যয়ের যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা যায়, আয় দিয়ে পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ই উঠছে না। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে ঋণ পরিশোধ ব্যয়। চার প্রকল্পে ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫৬ হাজার কোটি টাকা। সুদ ছাড়া বার্ষিক গড় কিস্তি দিতে হচ্ছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। আয় থেকে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান না হওয়ায় ঋণ পরিশোধে সরকারকে দিতে হচ্ছে ভর্তুকি।
যোগাযোগ অবকাঠামো খাতের বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবার আগে ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হয়েছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের, ২০২২ সাল থেকে। প্রকল্পটির জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঋণ দিয়েছে ৯ হাজার ৯৩ কোটি টাকা।
সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, এ দায় পরিশোধ করতে হবে ২০ বছরে। এ হিসাবে বার্ষিক গড় কিস্তির পরিমাণ ৪৫৫ কোটি টাকা। এডিবি ঋণ দিয়েছে তিন ধাপে। চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে বার্ষিক। ২০২৮ সালে তা ৬৬০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে। এর সঙ্গে পরিশোধ করতে হবে ২ শতাংশ সুদও। প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শেষ হবে ২০৪৮ সালে।
আজকের পত্রিকা
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘নাগরিকত্ব ছাড়ার হার বাড়ছে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, নানা কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন বাংলাদেশিরা। অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব ছাড়ার হার দিন দিন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বহাল রেখে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার হার। মূলত দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বাড়ছে বলে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৬০৬ জন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। এই আট বছরে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন ১৪ হাজার ৬৮৫ জন।
২০১৭ সালে ১১৯ জন, ২০১৮ সালে ৩৬৫ জন, ২০১৯ সালে ৩৫৬ জন, ২০২০ সালে ৩২৩ জন, ২০২১ সালে ১৬৫ জন, ২০২২ সালে ৪২১ জন, ২০২৩ সালে ৫৪৮ জন এবং ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০৯ জন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ অর্থনীতি ও প্রযুক্তির দেশ জার্মানির নাগরিকত্ব নেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। এর পরে আছে জার্মানিরই প্রতিবেশী অস্ট্রিয়া এবং পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মন্ত্রণালয় বিভক্ত হওয়ার পর নাগরিকত্ব পরিত্যাগের তথ্য হারিয়ে যায়। ফলে ২০১৭ সালের আগে কতজন বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন, সে তথ্য সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেই। তাঁদের ধারণা, ২০১৭ সালের আগে সংখ্যাটি এখনকার তুলনায় বেশ কম ছিল।
দেশ রূপান্তর
‘রপ্তানি আয়ে বড় সুখবর’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস তৈরি পোশাক খাত। এ খাতের ওপর ভর করেই অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ২০ দশমিক ৬ শতাংশ। আর তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ। আগস্টের শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়া অস্থিরতার কারণে পোশাক রপ্তানি নিয়ে বড় শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। গত মাসেও পোশাক খাতে অসন্তোষ ছিল। প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের রপ্তানি আয়ে বড় সুখবর এসেছে। গতকাল রবিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এসাইকুডা কাস্টমস সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত রিয়েল-টাইম শিপমেন্টের তথ্যের ভিত্তিতে এ কথা জানিয়েছে ইপিবি।
ইপিবির তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরের ধারাবাহিকতায় টানা দ্বিতীয় মাসে পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। আগের বছরের অক্টোবরের তুলনায় গত অক্টোবরে শুধু পোশাক খাতের ওপর ভর করে রপ্তানি আয় ২০ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। বিভিন্ন শিল্প এলাকায় শ্রমিক-অস্থিরতায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়া সত্ত্বেও এমন অগ্রগতি হয়েছে।
বিদেশি মুদ্রা আয়ের বড় দুই খাতেই সুখবর মিলছে টানা দুই মাস ধরে। বিদেশি মুদ্রা আয়ের অন্যতম বড় খাত প্রবাস আয়েও টানা দুই মাসের প্রতি মাসে প্রায় ২৪০ কোটি ডলার আয় হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে রিজার্ভও বাড়ার আশা রয়েছে।
বেশি আসামি দিয়ে মামলা করলে তাদের প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার প্রমাণ করা কঠিন। তাই মামলা গুলি শেষ পর্যন্ত টিকবে না। যারা সরাসরি জড়িত শুধুই তাদের নামে মামলা দিন। বিদেশ আমি আইন সম্বন্ধে কিছু পড়া লেখা করেছি। অন্য কোর্সের অংশ হিসাবে । তাই আইন কিছুটা বুঝি।
বেশি আসামি দিয়ে মামলা করলে তাদের প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার প্রমাণ করা কঠিন। তাই মামলা গুলি শেষ পর্যন্ত টিকবে না। যারা সরাসরি জড়িত শুধুই তাদের নামে মামলা দিন। বিদেশ আমি আইন সম্বন্ধে কিছু পড়া লেখা করেছি। অন্য কোর্সের অংশ হিসাবে । তাই আইন কিছুটা বুঝি।